শিলিগুড়ি, 27 ডিসেম্বর : প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya) ফোন করাতেই শিলিগুড়ির পৌরনিগমের ভোটে প্রার্থী হতে চলেছেন সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য ৷ এই যুক্তি মানতে নারাজ তৃণমূলের গৌতম দেব (tmc leader goutam deb criticises cpim leader ashok bhattacharya on buddhadeb bhattacharya phone call issue) ৷ শিলিগুড়ি পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসকের দাবি, বিধানসভা ভোটে হারার পর এটা পূর্বনির্ধারিতই ছিল ৷
প্রসঙ্গত, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়রের ফোনে কথার বিষয়টি রবিবার সামনে আসে ৷ সিপিএম (CPIM) সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি পৌরনিগম যে করেই নিজেদের দখলে রাখতে হবে জানিয়ে অশোক ভট্টাচার্যকে ফোন করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ৷ অশোক ভট্টাচার্যকেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা বলেন তিনি ৷ তবে তাঁকে প্রার্থী হতে বলেছেন কি না, সেই বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি ৷
অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya) বলেন, "আমাকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ফোন করেছিলেন । তবে প্রার্থী হতে বলেননি । দলকে জেতানোর কথা বলেছেন ।" এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গতবার শিলিগুড়ি পৌরনিগমে বোর্ড গড়েছিল বামেরা ৷ মেয়র হয়েছিলেন অশোক ভট্টাচার্য ৷ শিলিগুড়ি ছিল রাজ্যের একমাত্র পৌরনিগম যেখানে ক্ষমতায় ছিল বামেরা ৷
তাই এবার ওই বোর্ড দখলে মরিয়া তৃণমূল (Trinamool Congress) ৷ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবকেই সামনে রেখে এবার সেখানে ভোটের লড়াই হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর ৷ তার আগে বুদ্ধদেবের এই বার্তা সেখানকার বাম-কর্মীদের চাঙ্গা করবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের ৷
যদিও গৌতম দেবের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, বুদ্ধ-অশোক ফোনালাপের বিষয়টিকে তিনি গুরুত্ব দিতে নারাজ ৷ বরং বুদ্ধদেবের ফোনের কথা বলে অশোক ভট্টাচার্য সহানুভূতি চাইছেন বলে তাঁর মত ৷ তাঁর কথায়, "নিজেরাই বলছেন ৭০ বছরের বেশি থাকতে পারবেন না । উনি দাবি করছেন তিনি সন্ন্যাস নিচ্ছেন । আর দেখাতে চাইছেন যে তিনি অপরিহার্য । তিনি এখন সহানুভূতি চাইছেন ।"
শিলিগুড়ি বিধানসভায় বিজেপির কাছে হেরেছিলেন অশোক ভট্টাচার্য ৷ তৃতীয় হয়েছিলেন ৷ সেই প্রসঙ্গ টেনে গৌতম দেব (Goutam Deb) ‘সহানুভূতি’ কটাক্ষ করেছেন ৷
আরও পড়ুন : All Party Meeting : বকেয়া পৌরসভা নির্বাচনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে কমিশনের ডাকে আজ সর্বদলীয় বৈঠক
এদিকে শিলিগুড়িতে আগামী মাসেই পৌরভোটের সম্ভাবনা রয়েছে (Siliguri Municipal Corporation Election 2022) ৷ তাই সবদলই ঘর গোছাতে মরিয়া ৷ ফলে এই ধরনের রাজনৈতিক তরজা ও চমক আপাতত চলতেই থাকবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত ৷