শিলিগুড়ি, 16 জুলাই: রাজ্য পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়িতে । চাকরি দেওয়ার নাম করে 10 লক্ষ টাকারও বেশি প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ । এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া হল পুলিশের ভুয়ো প্রশিক্ষণও । শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ল প্রতারকরা ।
জানা গিয়েছে প্রতারিতরা প্রত্যেকেই অন্য জেলার যুবক যুবতী । ঘটনায় এক মহিলা-সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে । শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পশ্চিম) কুনওয়ার ভূষণ সিং বলেন, "মোট 18 জনকে প্রতারণা করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি । মধ্যবিত্ত পরিবারের বেকার যুবক যুবতীদের ফাঁদে ফেলে পুলিশ, হোমগার্ড, ট্রাফিক পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা হয়েছে । এক একজনের কাছ থেকে 30 হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে । প্রধাননগর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে । পরবর্তী তদন্তের জন্য রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, ও সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়েছে ।"
ধৃতরা হল লক্ষণ চৌধুরী, বিশু দাস ও চন্দ্রা দাস । প্রত্যেকে বালুরঘাটের বাসিন্দা । প্রতারিত 18 জন যুবক যুবতীদের মধ্যে একজন মালদা ও বাকিরা বালুরঘাটের বাসিন্দা । তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরেকজন মূল পাণ্ডার নাম জেনেছে পুলিশ (Three arrested for Fake Police Recruitment in Siliguri) । সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ ।
এর আগে দার্জিলিং, সেবক, দুধিয়া, মিরিকে একইভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 3 নম্বর ওয়ার্ডের বাঘাযতীন কলোনিতে মহানন্দা নদীর ধারে একইভাবে চলছিল প্রশিক্ষণ । সেই সময় গোপনসূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় প্রধাননগর থানার পুলিশ । পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কথায় অসঙ্গতি মেলে । এরপরই তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয় ।
আরও পড়ুন: সংবাদমাধ্যমের অফিসের আড়ালে অবৈধ কল সেন্টার, আটক 29
টানা জেরার পর গোটা ঘটনাটি জানা যায়। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে রাজ্য পুলিশের খাকি উর্দি ও টুপি । প্রতারকদের মধ্যে একজন নিজেকে ইনসপেক্টর পদমর্যাদার বলে পরিচয় দিত বলে তদন্তে উঠে এসেছে । প্রতারণা চক্রে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।