শিলিগুড়ি, 22 এপ্রিল : বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা বন্ধ (Bagdogra Airport Closed due to Crack in Runway) হতেই বিপাকে পড়েছেন নিত্যযাত্রী থেকে পর্যটকরা । ক্রমশ ভিড় বাড়ছে ট্রেনে । এতে বিমান যাত্রীদের প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকছে শতাব্দী, রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলি । এই ক’দিনে এক ধাক্কায় অনেকটাই চাহিদা বাড়ল শতাব্দী এক্সপ্রেসের । তাই যাত্রীদের চাহিদা মেটাতে ও পর্যটকদের ভিড় সামাল দিতে অতিরিক্ত কামরা যুক্ত করা হল ওই ট্রেনে । পাশাপাশি চালু করা হচ্ছে আরও দু’টি জোড়া সামার স্পেশাল ট্রেন । এই নিয়ে মোট দশটি স্পেশাল ট্রেন চালু করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল (North East Frontier Rail) ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম সঞ্জয় চিলওয়রওয়ার বলেন, "শতাব্দী এক্সপ্রেস অন্যতম প্রিমিয়াম ট্রেন ৷ বিমানবন্দর বন্ধ থাকাতে তার চাহিদা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়তে দেখা যাচ্ছে । সেই কারণেই নতুন আরও তিনটি কোচ ওই ট্রেনে যুক্ত করা হয়েছে । প্রতিটি কোচেই 100 শতাংশ আসন বুকিং হয়ে যাচ্ছে । যেহেতু ওই ট্রেনের যাত্রার সময় অনেকটাই কম এবং যাত্রাও আরামদায়ক । সেই কারণেই এই ট্রেনের চাহিদা অনেকগুন বেড়েছে ।" রেলের তরফে জানা গিয়েছে, শতাব্দী এক্সপ্রেসের (Shatabdi Express) এই তিনটি কোচের মধ্যে রয়েছে দু’টি চেয়ারকার এবং একটি এক্সিকিউটিভ চেয়ার কার থাকছে ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই জোড়া সামার স্পেশাল ট্রেন (Summer Special Train) মূলত উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ পর্যন্ত চলাচল করবে । 29 এপ্রিল থেকে 3 জুন পর্যন্ত চলবে । ওই ট্রেন ভোর 4টেয় এনজেপি থেকে ছাড়বে ও বিকেল 3টেয় কলকাতা পৌঁছবে । আরেকটি কলকাতা থেকে রাত 11টায় ছাড়বে ও সকাল সাড়ে 10টায় এনজেপি পৌঁছবে ।
অন্যদিকে, 24, 26 এপ্রিল ও 1 মে একটি ট্রেন এনজেপি থেকে পৌনে একটায় ছাড়বে ও ওইদিন রাত 12টায় হাওড়া পৌঁছবে । হাওড়া থেকে 23, 25 ও 30 এপ্রিল ট্রেন ছাড়বে ও পরেরদিন সকাল 10টায় ট্রেন এনজেপি পৌঁছবে । আগামী 25 এপ্রিলের যদি বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক না হয় সেক্ষেত্রে রেল চিন্তাভাবনা করছে পরিষেবাকে আরও বৃদ্ধি করানোর ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, উত্তরবঙ্গে আসা পর্যটক থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীদের একটা বড় অংশ নির্ভর করে বিমান পরিষেবার উপর । তবে রানওয়েতে মেরামতের জন্য আগামী 25 এপ্রিল পর্যন্ত বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে । আর এতেই ক্রমশই চাপ বাড়ছে ট্রেন পরিষেবার ওপর ।
তবে যে সমস্ত পর্যটক কিংবা নিত্যযাত্রীরা সাধারণত বিমানে ভ্রমণ করেন, তাঁদের ট্রেনে সফরের ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকছে শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম ট্রেন । এর প্রধান কারণ এই ট্রেনগুলি অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়ার মধ্যে যাতায়াতে স্টপেজ কম থাকায় অনেকটাই সফরে সময় কম লাগে । তাছাড়াও এই ট্রেনের সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিদিন ভোরে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতায় গিয়ে রাতে ফিরে আসা যায় । পাশাপাশি বিমানের মতো সম্পূর্ণ ট্রেন বাতানুকূল ও আরামদায়ক সিট এবং খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে । তাই বিমান পরিষেবা বাতিল হতেই বিমান যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে শতাব্দী এক্সপ্রেসে ।
আরও পড়ুন : Toy Train Joy Ride : ভরা মরশুমে ব্যাপক চাহিদা টয়ট্রেনের, সংখ্যা বাড়ল জয় রাইডের