ETV Bharat / city

লকডাউনের জের, সুদ কমিয়ে কর আদায় বাড়াতে চায় শিলিগুড়ি পৌরনিগম

লকডাউনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত পৌরকর আদায় ব্যবস্থা ৷ আর্থিক সংকটের মুখে শিলিগুড়ি পৌরনিগম ৷ কর আদায় ব্যবস্থায় জোর দিতে রাজ্যকে প্রস্তাব শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ৷

siliguri-municipality-proposes-to-the-state-government-to-insist-on-tax-collection
কর আদায়ে জোর দিতে রাজ্য সরকারকে প্রস্তাব শিলিগুড়ি পৌরনিগমের
author img

By

Published : Jun 30, 2020, 7:36 PM IST

শিলিগুড়ি, 25 জুন : লকডাউনের জেরে শিলিগুড়িতে ভেঙে পড়েছে পৌর কর আদায় ব্যবস্থা । লকডাউন চলায় কাজকর্মের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার জেরে একদিকে বাসিন্দাদের আর্থিক অনটন ৷ অন্যদিকে, অনলাইনে কর জমা দেওয়ার সুযোগ না থাকায় কোরোনা পরিস্থিতিতে বহু মানুষ পৌর কর জমা দেননি । টানা এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আর্থিক সংকট দেখা দিতে পারে । ফলে, কর আদায় ব্যবস্থায় জোর দিতে রাজ্যের অনুমোদনের জন্য সুদ কমানো-সহ বেশ কিছু প্রস্তাব পাঠিয়েছে শিলিগুড়ি পৌরনিগম ।

পরিষেবার বিনিময়ে জল কর, সম্পত্তি কর ছাড়াও বিল্ডিং প্ল্যান পাস করা বা ট্রেড লাইসেন্স ফি-সহ বেশ কিছু কর সংগ্রহ করে শিলিগুড়ি পৌরনিগম । লকডাউন পরিস্থিতিতে এই কর আদায় কার্যত অর্ধেক হয়ে গেছে । ফলে, টান পড়ছে পৌরনিগমের নিজস্ব আয়ে । পৌরনিগম কর্তৃপক্ষের দাবি, যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছিল, তাতে এই পরিস্থিতি হবে তা বোঝা যাচ্ছিল । তবে লকডাউন পুরোপুরি উঠে গেলে ফের বেড়ে যাবে কর আদায় ।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ঠিক কী অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে শিলিগুড়িতে কর আদায় :

এপ্রিল মাসে সংগৃহীত করের পরিমাণ ছিল মাত্র 39 লাখ 62 হাজার 570 টাকা । মে মাসে তা বেড়ে হয় 1 কোটি 27 লাখ 12 হাজার 917 টাকা । গত আর্থিক বছরে এপ্রিলে পৌরনিগমের কর সংগ্রহের পরিমাণ ছিল 2 কোটি 85 লাখ 51 হাজার 235 টাকা । গত আর্থিক বছরে মে মাসে এই আদায় ছিল 1 কোটি 54 লাখ 62 হাজার 534 টাকা ।

এ বিষয়ে পৌরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, "এই মুহূর্তে আমাদের কর আদায় কমেছে । কিন্তু, তা বলে কর আদায় একদম তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে তা নয় । আসলে মানুষের একাংশের হাতে টাকা নেই । আর একটা অংশ ভিড়ের মধ্যে এসে কর দিতে চাইছেন না । তাঁরা অনলাইনে কর দিতে চাইছেন । কিন্তু সেই ব্যবস্থা আমাদের নেই । ফলে, পৌরনিগমে কর দিতে আসেননি অনেকেই ।"

পৌরনিগমের ট্যাক্স কালেক্টর ইন-চার্জ বিশ্বময় ঘোষ বলেন, "আমাদের কর্মীরা বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানগুলিতে বকেয়া কর সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন । সুদ আরও কমাতে বোর্ডের তরফে রাজ্যের কাছে কিছু প্রস্তাব গেলেও তা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা আসেনি । ফলে সেসব প্রস্তাব কার্যকর করা যায়নি । " পৌর কমিশনার সোনম ওয়াংডি ভুটিয়া জানান, " 5 টি বোরো থেকে ট্যাক্স কালেকশন করা হয় । বকেয়া করের ক্ষেত্রে তা জমা দিলে কিছু ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা ছিল । তা 31 মার্চের পরেও বহাল রয়েছে । ফলে এই সময়ে ট্যাক্স জমা দিলে বাসিন্দারা কিছু ছাড় পাচ্ছেন । তবে সাধারণ সময়ে যে পরিমাণ ট্যাক্স আদায় হয়, এই সময়কালে তা আদায় হচ্ছে না । তবে তিনি আরও জানান, কর আদায় কম হওয়ায় নিজস্ব আয় কমেছে ঠিকই । কিন্তু দৈনন্দিন পরিষেবা ও জরুরি পরিষেবায় তার প্রভাব পড়েনি । আমরা জঞ্জাল সাফাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছি । আশা করছি কর আদায় ফের বাড়বে । তা না হলে করণীয় ঠিক করতে প্রশাসক বোর্ডের সদস্যরা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন । আপাতত চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য কোরোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন । আরও এক সদস্য কোরোনায় আক্রান্ত । অন্য প্রশাসক বোর্ডের সদস্যদের একাংশ হোম আইসোলেশনে আছেন । তারা এলে ট্যাক্স আদায় বাড়াতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । "

শিলিগুড়ি, 25 জুন : লকডাউনের জেরে শিলিগুড়িতে ভেঙে পড়েছে পৌর কর আদায় ব্যবস্থা । লকডাউন চলায় কাজকর্মের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার জেরে একদিকে বাসিন্দাদের আর্থিক অনটন ৷ অন্যদিকে, অনলাইনে কর জমা দেওয়ার সুযোগ না থাকায় কোরোনা পরিস্থিতিতে বহু মানুষ পৌর কর জমা দেননি । টানা এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আর্থিক সংকট দেখা দিতে পারে । ফলে, কর আদায় ব্যবস্থায় জোর দিতে রাজ্যের অনুমোদনের জন্য সুদ কমানো-সহ বেশ কিছু প্রস্তাব পাঠিয়েছে শিলিগুড়ি পৌরনিগম ।

পরিষেবার বিনিময়ে জল কর, সম্পত্তি কর ছাড়াও বিল্ডিং প্ল্যান পাস করা বা ট্রেড লাইসেন্স ফি-সহ বেশ কিছু কর সংগ্রহ করে শিলিগুড়ি পৌরনিগম । লকডাউন পরিস্থিতিতে এই কর আদায় কার্যত অর্ধেক হয়ে গেছে । ফলে, টান পড়ছে পৌরনিগমের নিজস্ব আয়ে । পৌরনিগম কর্তৃপক্ষের দাবি, যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছিল, তাতে এই পরিস্থিতি হবে তা বোঝা যাচ্ছিল । তবে লকডাউন পুরোপুরি উঠে গেলে ফের বেড়ে যাবে কর আদায় ।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ঠিক কী অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে শিলিগুড়িতে কর আদায় :

এপ্রিল মাসে সংগৃহীত করের পরিমাণ ছিল মাত্র 39 লাখ 62 হাজার 570 টাকা । মে মাসে তা বেড়ে হয় 1 কোটি 27 লাখ 12 হাজার 917 টাকা । গত আর্থিক বছরে এপ্রিলে পৌরনিগমের কর সংগ্রহের পরিমাণ ছিল 2 কোটি 85 লাখ 51 হাজার 235 টাকা । গত আর্থিক বছরে মে মাসে এই আদায় ছিল 1 কোটি 54 লাখ 62 হাজার 534 টাকা ।

এ বিষয়ে পৌরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, "এই মুহূর্তে আমাদের কর আদায় কমেছে । কিন্তু, তা বলে কর আদায় একদম তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে তা নয় । আসলে মানুষের একাংশের হাতে টাকা নেই । আর একটা অংশ ভিড়ের মধ্যে এসে কর দিতে চাইছেন না । তাঁরা অনলাইনে কর দিতে চাইছেন । কিন্তু সেই ব্যবস্থা আমাদের নেই । ফলে, পৌরনিগমে কর দিতে আসেননি অনেকেই ।"

পৌরনিগমের ট্যাক্স কালেক্টর ইন-চার্জ বিশ্বময় ঘোষ বলেন, "আমাদের কর্মীরা বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানগুলিতে বকেয়া কর সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন । সুদ আরও কমাতে বোর্ডের তরফে রাজ্যের কাছে কিছু প্রস্তাব গেলেও তা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা আসেনি । ফলে সেসব প্রস্তাব কার্যকর করা যায়নি । " পৌর কমিশনার সোনম ওয়াংডি ভুটিয়া জানান, " 5 টি বোরো থেকে ট্যাক্স কালেকশন করা হয় । বকেয়া করের ক্ষেত্রে তা জমা দিলে কিছু ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা ছিল । তা 31 মার্চের পরেও বহাল রয়েছে । ফলে এই সময়ে ট্যাক্স জমা দিলে বাসিন্দারা কিছু ছাড় পাচ্ছেন । তবে সাধারণ সময়ে যে পরিমাণ ট্যাক্স আদায় হয়, এই সময়কালে তা আদায় হচ্ছে না । তবে তিনি আরও জানান, কর আদায় কম হওয়ায় নিজস্ব আয় কমেছে ঠিকই । কিন্তু দৈনন্দিন পরিষেবা ও জরুরি পরিষেবায় তার প্রভাব পড়েনি । আমরা জঞ্জাল সাফাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছি । আশা করছি কর আদায় ফের বাড়বে । তা না হলে করণীয় ঠিক করতে প্রশাসক বোর্ডের সদস্যরা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন । আপাতত চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য কোরোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন । আরও এক সদস্য কোরোনায় আক্রান্ত । অন্য প্রশাসক বোর্ডের সদস্যদের একাংশ হোম আইসোলেশনে আছেন । তারা এলে ট্যাক্স আদায় বাড়াতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । "

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.