শিলিগুড়ি, ১৪ মার্চ : শিলিগুড়ি শহরের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ বাড়াতে হবে, শিলিগুড়ি পৌরনিগমের দ্বিতীয় মাসিক অধিবেশনে এমন প্রস্তাব পাস করা হল (siliguri city development)। রাজ্য সরকারের মাধ্যমে ওই প্রস্তাব পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। সোমবার শিলিগুড়ি পৌরনিগমের দ্বিতীয় মাসিক অধিবেশনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন মেয়র গৌতম দেব। এদিনের মাসিক অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী, মেয়র পারিষদ-সহ অন্যান্য কাউন্সিলররা।
এদিনের মাসিক অধিবেশনে কাউন্সিলরদের তরফে মাত্র 6টি প্রশ্ন করা হয়। প্রথমটি করেন সিপিএম কাউন্সিলর শরদিন্দু চক্রবর্তী। তিনি শহরে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি হওয়ায় জঞ্জাল সাফাই, স্প্রে করা, বরোর মাধ্যমে ফগিংয়ের কথা জানান। দ্বিতীয় প্রশ্ন করেন সিপিএম কাউন্সিলর মৌসুমী হাজরা। তিনি বেশ কয়েকমাস ধরে আটকে থাকা পুরবাসীর সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের বিভিন্ন ভাতা কবে থেকে চালু হবে তা জানতে চান। এর পাশাপাশি বিজেপি কাউন্সিলর অমিত জৈন ও বিবেক সিং নিকাশি নালা এবং পানীয় জলের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও আর এক বিজেপি কাউন্সিলর অনিতা মাহাতো তার ওয়ার্ডের গঙ্গানগরে থমকে থাকা পানীয় জলের প্রকল্প পুনরায় দ্রুত চালুর আবেদন জানান। শেষে বরাদ্দ বাড়ানো নিয়ে কেন্দ্র সরকারের কাছে প্রস্তাব পেশ করা হয়।
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি পুর এলাকায় প্রতি বছর 10 কোটি টাকা সম্পত্তি কর আদায় করা হয়। যা অন্তত 16 কোটি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে শিলিগুড়িতে যেভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই অনুযায়ী কর আদায় হচ্ছে না। অথচ কলকাতা পৌরনিগমের কর একই সময়ে প্রায় দু‘শো কোটি টাকা আদায় হয়ে থাকে। শহর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন খাতে যে পরিমাণ কর আদায় করে, থাকে তার নগন্য অংশ শহরের জন্য বরাদ্দ করা হয়।
এ বিষয়ে গৌতম দেব বলেন, "আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও একাধিক রাজ্য শিলিগুড়ির সীমান্তের সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ কর কেন্দ্রীয় সরকার শিলিগুড়ি থেকে আদায় করে, সেই পরিমাণ অনুযায়ী বরাদ্দ করে না। সেজন্য এদিনের মাসিক অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকার যাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে সেই প্রস্তাব পাস হয়েছে। রাজ্যের মাধ্যমে সেই প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের সরকারের কাছে পাঠানো হবে।"