ETV Bharat / city

সরকারি পদে বসেও পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব বংশীবদন ! - demand for Kamtapur state

KPP নেতা অতুল রায় ও গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন নেতা বংশীবদন বর্মণ যৌথভাবে তৈরি করেন ভূমিপুত্র ঐক্য মঞ্চ ৷ গতকাল শিলিগুড়িতে পৃথক রাজ্যের দাবিতে মহকুমাশাসকের দপ্তরে ডেপুটেশন জমা দেন তাঁরা ৷

ভূমিপুত্র ঐক্যমঞ্চের মিছিল
author img

By

Published : Sep 5, 2019, 4:31 AM IST

Updated : Sep 5, 2019, 4:53 AM IST

শিলিগুড়ি ও কোচবিহার, 5 সেপ্টেম্বর : পৃথক রাজ্যের দাবিতে শিলিগুড়িতে মিছিল করল ভূমিপুত্র ঐক্য মঞ্চ । KPP নেতা অতুল রায় ও গ্রেটার কোচবিহার পিপলস আসোসিয়েশন নেতা বংশীবদন বর্মণের নেতৃত্বে প্রায় হাজার কর্মী, সমর্থক মিছিল করে মহকুমাশাসকের দপ্তরে গিয়ে কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবি জানান ।

বংশীবদন বর্মণ রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান ৷ সেইসঙ্গে রাজবংশী উন্নয়ন বোর্ডেরও চেয়ারম্যান ৷ সরকারি পদে থাকা সত্ত্বেও পৃথক রাজ্যের দাবিতে পথে নেমেছেন? তাঁর বক্তব্য, এই পদে সরকার তাঁকে বসিয়েছে রাজবংশীদের উন্নয়নের জন্য ৷ কিন্তু এই বোর্ডের মাধ্যমে যে আর্থিক সহায়তা সরকার করছে তাতে একটা জনজাতির উন্নয়ন সম্ভব নয় ৷ সরকারি চেয়ারে বসে যদি জনগণের কাজ করতে না পারা যায় তাহলে সেই চেয়ারের কোনও মূল্য নেই ৷ বলেন, "ভূমিপুত্রদের সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব ৷ চেয়ারের লোভ নেই ৷ সরকার যদি মনে করে সরিয়ে দেবে, তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই ৷"

অন্যদিকে KPP নেতা অতুল রায় বলেন, "কোচবিহারের চুক্তি অনুযায়ী আমরা বাঙালি নই ৷ বাংলার পদানত হয়ে আমরা থাকতে চাই না ৷ বাংলার সংস্কৃতি, শিক্ষা আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ অনুপ্রবেশের চাপে আমরা বিপন্ন ৷ তাই ভূমিপুত্র ঐক্যমঞ্চের লক্ষ্য পৃথক রাজ্য ৷" যদিও এর আগে এই ধরনের আন্দোলন হয়েছিল ৷ পৃথক রাজ্যের দাবি উঠেছিল ৷ তারপরও বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূলকে সমর্থন করেছিল KPP । এবিষয়ে অতুলবাবু বলেন, "কিছু শর্তসাপেক্ষে আমরা বিগত ভোটে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম । তবে বর্তমানে দূরত্ব বজায় রেখে চলছি ৷ কোচবিহার রাজ্যের ভারতভুক্তি চুক্তি মানতে হবে সরকারকে ।"

গতকাল ভূমিপুত্র ঐক্য মঞ্চ মহকুমাশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেয় ৷

শিলিগুড়ি ও কোচবিহার, 5 সেপ্টেম্বর : পৃথক রাজ্যের দাবিতে শিলিগুড়িতে মিছিল করল ভূমিপুত্র ঐক্য মঞ্চ । KPP নেতা অতুল রায় ও গ্রেটার কোচবিহার পিপলস আসোসিয়েশন নেতা বংশীবদন বর্মণের নেতৃত্বে প্রায় হাজার কর্মী, সমর্থক মিছিল করে মহকুমাশাসকের দপ্তরে গিয়ে কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবি জানান ।

বংশীবদন বর্মণ রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান ৷ সেইসঙ্গে রাজবংশী উন্নয়ন বোর্ডেরও চেয়ারম্যান ৷ সরকারি পদে থাকা সত্ত্বেও পৃথক রাজ্যের দাবিতে পথে নেমেছেন? তাঁর বক্তব্য, এই পদে সরকার তাঁকে বসিয়েছে রাজবংশীদের উন্নয়নের জন্য ৷ কিন্তু এই বোর্ডের মাধ্যমে যে আর্থিক সহায়তা সরকার করছে তাতে একটা জনজাতির উন্নয়ন সম্ভব নয় ৷ সরকারি চেয়ারে বসে যদি জনগণের কাজ করতে না পারা যায় তাহলে সেই চেয়ারের কোনও মূল্য নেই ৷ বলেন, "ভূমিপুত্রদের সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব ৷ চেয়ারের লোভ নেই ৷ সরকার যদি মনে করে সরিয়ে দেবে, তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই ৷"

অন্যদিকে KPP নেতা অতুল রায় বলেন, "কোচবিহারের চুক্তি অনুযায়ী আমরা বাঙালি নই ৷ বাংলার পদানত হয়ে আমরা থাকতে চাই না ৷ বাংলার সংস্কৃতি, শিক্ষা আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ অনুপ্রবেশের চাপে আমরা বিপন্ন ৷ তাই ভূমিপুত্র ঐক্যমঞ্চের লক্ষ্য পৃথক রাজ্য ৷" যদিও এর আগে এই ধরনের আন্দোলন হয়েছিল ৷ পৃথক রাজ্যের দাবি উঠেছিল ৷ তারপরও বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূলকে সমর্থন করেছিল KPP । এবিষয়ে অতুলবাবু বলেন, "কিছু শর্তসাপেক্ষে আমরা বিগত ভোটে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম । তবে বর্তমানে দূরত্ব বজায় রেখে চলছি ৷ কোচবিহার রাজ্যের ভারতভুক্তি চুক্তি মানতে হবে সরকারকে ।"

গতকাল ভূমিপুত্র ঐক্য মঞ্চ মহকুমাশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেয় ৷

Intro:পৃথক রাজ্যের দাবিতে শিলিগুড়িতে মিছিল করল ভূমিপুত্র ঐক্য মঞ্চ। কেপিপি নেতা অতুল রায় ও গ্রেটার কোচবিহার পিপলস আসোসিয়েশনের বংশীবদন বর্মনের নেতৃত্বে এদিন এক হাজার কর্মী সমর্থক মিছিল করে মহকুমা শাসকের দপ্তরে গিয়ে কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবি জানান।


Body:রাজবংশী ভাষা একাডেমি ও রাজবংশী উন্নয়ন পর্যদ গঠন করা হলেও তা জাতি বিকাশে যথেষ্ট নয় বলে জানালেন ভাষা একাডেমির চেয়ারম্যান বংশীবদন বর্মন। তিনি এদিন বলেন রাজ্যের দেওয়া ওই দুই সংস্থার চেয়ারম্যান পদে থাকলেও ফের আলাদা রাজ্যের দাবিতে পথে নেমেছি। আমরা আলাদা রাজ্য চাই। প্রয়োজনে সরকার আমায় ওই পদগুলি থেকে সরিয়ে দিক। তিনি এদিন আরো বলেন আমরা সকলেই ভূমিপুত্র। তাই ঐক্যমঞ্চে এসেছি। রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের ব্যবহার করে ভোট যেতে। কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ হয় না। আলাদা রাজ্য আমাদের একমাত্র দাবি। তাই ফের আন্দোলন শুরু করেছি। এদিন অতুল রায় বলেন বিজেপির ছোট রাজ্যের তত্ত্ব আমরা বিশ্বাস করি না। কিছু বিষয় রাজ্যের অধীনে থাকে। তাই কিছু শর্তে আমরা বিগত ভোটে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু এখন ফের আন্দোলন শুরু করেছি। এই আন্দোলন চলবে। কোচবিহার রাজ্যের ভারতভুক্তি চুক্তি মানতে হবে সরকারকে।


Conclusion:এদিন এই ভূমিপুত্র ঐক্যমঞ্চের মিছিলের জেরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড। দুপুরে দু দলের নেতারা মহকুমা শাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্বারকলিপি জমা দেন।
Last Updated : Sep 5, 2019, 4:53 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.