শিলিগুড়ি, 26 মার্চ : ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকল দুই বাংলার মানুষ । বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এক হল এপার-ওপার । এক হল সীমান্তের দুপারের মানুষের আবেগ, ভালোবাসা । যৌথ কুচকাওয়াজে অংশ নিল বিএসএফ ও বিজিবি ৷
শুক্রবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ফুলবাড়ি–বাংলাবান্ধা সীমান্তে দু-দেশের মানুষ মিষ্টি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন । দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা যৌথ কুচকাওয়াজ হয় । বিএসএফ ও বিজিবির আধিকারিকরা মুক্তিযুদ্ধে বলিদান দেওয়া শহিদদের স্মরণ করেন । সীমান্তের শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় । পূর্ব ঘোষিত অনুষ্ঠান অনুযায়ী এদিন সীমান্তের গেট খুলে দেয় বিএসএফ । রাধাবাড়ি বিএসএফ-এর শিলিগুড়ি আঞ্চলিক সদর কার্যালয়ের তরফে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে কুচকাওয়াজের জন্য নির্ধারিত স্থানটিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল । কুচকাওয়াজ দেখতে সীমান্তে পরিচয়পত্র দেখিয়ে কাটাতারের ভেদাভেদ উড়িয়ে জিরো পয়েন্টে আসেন দুই দেশের সাধারণ নাগরিক ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্বাধীনতার 50 বছর, ভারতের লক্ষ্য ‘সোনালি অধ্যয়’ ফিরিয়ে আনা
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের উত্তরবঙ্গের আইজি সুনীল কুমার, শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্র প্রতাপ সিং । বিজিপির পক্ষে পঞ্চগড়ের রিজিওনাল কমান্ডেন্ট কাইসর হাসান মালিক, 18 বিজিবি লেফটেন্যান্ট কমান্ডেন্ট খন্দেকর আনিসুর রহমান প্রমুখ । ওয়াঘা সীমন্তে যেমন কুচকাওয়াজ হয় ঠিক সেই কায়দায় দুই বাংলার জওয়ানরা কুচকাওয়াজ করেন এদিন ৷