শিলিগুড়ি, 22 জুলাই : দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও মেলেনি করোনার টিকা ৷ আর তাই পৌর প্রশাসক পরিদর্শনে আসতেই তাঁর সামনে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন লাইনে দাঁড়ানো মহিলারা ৷ বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 23 নম্বর ওয়ার্ডের মাতৃসদন হাসপাতাল পরিদর্শনে যান পৌর প্রশাসক গৌতম দেব ৷ সঙ্গে ছিলেন দার্জিলিংয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত-সহ অন্য পৌর আধিকারিকরা ৷ মাতৃসদনে ঢোকার মুখে পৌর প্রশাসক গৌতম দেবকে সামনে পেয়েই অভিযোগ জানাতে এগিয়ে আসেন মহিলারা ৷ মহিলারা গৌতম দেবকে জানান, ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর শেষ বেলায় তাঁদের জানানো হচ্ছে, 130 জনের বেশি কাউকে টিকা দেওয়া হবে না ৷ এই ঘটনায় মহিলারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন ৷ বিষয়টি শুনে সমাধানের আশ্বাস দেন গৌতম দেব ৷
আরও পড়ুন : সাধারণ মানুষের হয়রানি দূর করতে শিলিগুড়ি পৌরনিগমে চালু ই-পোর্টাল
এদিন পৌরনিগমের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজে ব্যবহারের জন্য বেশ কিছু জমি পরিদর্শন করেন গৌতম দেব ৷ 42 নম্বর ওয়ার্ড, সেবক রোড ও 23 নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে থাকা পৌরনিগমের অব্যবহৃত জমিতে নতুন স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি ৷ এইসব জায়গায় হাসপাতাল, টিকাকরণ কেন্দ্র-সহ একাধিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ৷ এদিন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে জমি পরদর্শনের পর তাঁদের প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করারও নির্দেশ দেন গৌতম দেব ৷
আরও পড়ুন : রাজভবনকে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছেন রাজ্যপাল, তোপ গৌতম দেবের
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গৌতম দেব বলেন, ‘‘পৌরনিগমের বেশ কিছু জমি পরিদর্শন করলাম ৷ দীর্ঘদিন ধরে এগুলি ব্যবহার করা হচ্ছিল না। ফেলে রাখা হয়েছিল ৷ ফলে জমি দখল হয়ে যাচ্ছিল ৷ এইসব জায়গা এবার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরির জন্য ব্যবহার করা হবে ৷’’ এছাড়া, টিকা নিয়ে মানুষের ভোগান্তির সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে গৌতম বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত টিকা হাতে না থাকলে কিছু করার নেই ৷ তবে আধিকারিকদের জানানো হয়েছে, প্রতিদিন কতজনকে টিকা দেওয়া হবে, তা আগে থেকে নোটিস দিয়ে সকলকে জানানো হোক বা মাইকিং করা হোক ৷’’