শিলিগুড়ি, 22 সেপ্টেম্বর : ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপে নাম জড়িয়েছে শিলিগুড়ি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক অধ্যাপকের । ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশের দ্বারস্থ হয় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ । এরপরেই ওই অধ্যাপককে শোকজ় করে কলেজ কতৃপক্ষ । শুক্রবার তাঁকে শোকজ় করা হয় । এরপর থেকেই লাগাতার পিওন বুক মারফৎ শোকজ় নোটিশ পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয় কলেজ কতৃপক্ষের তরফে ৷ যদিও প্রতিক্ষেত্রেই অধ্যাপকের অনুপস্থিতির জেরে ফিরতে হয় কলেজের কর্মীদের । মঙ্গলবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে ।
ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ ইশুতে চলতি মাসের 14 তারিখ পরিচালন সমিতির বৈঠকে বসে কলেজ কতৃপক্ষ । বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় তদন্ত চলাকালে ওই অধ্যাপককে সমস্ত দ্বায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে । একইসঙ্গে শোকজ়ের সিদ্ধান্তও হয় সেই বৈঠকে । এরপরেই 18 সেপ্টেম্বর ওই অধ্যাপককে শোকজ় করা হয় । প্রথমে ই-মেল মারফৎ শোকজ় নোটিস পাঠানো হয় ওই অধ্যাপককে । পাশাপাশি শনিবার সকালেই স্পীড পোস্ট মারফৎ শোকজ় নোটিস পাঠানো হয় অধ্যাপকের বাড়ির ঠিকানায় । অন্যদিকে, পিওন বুক মারফৎ শোকজ় নোটিস পাঠানো হয়। যদিও এখনও অবধি পিওন বুক মারফৎ পাঠানো সেই শোকজ় নোটিস অধ্যাপকের হাতে পৌঁছায়নি।
আজ বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে কলেজের চার মহিলাকর্মী ওই অধ্যাপকের বাড়ি যান । সেখানে পৌঁছে অধ্যাপকের খোঁজ করতেই জানতে পারেন অধ্যাপক বাড়িতে নেই ৷ কখন ফিরবেন তা স্পষ্ট নয় । এরপরেই ফিরে যান তারা ।
আরও পড়ুন : মার্কশিটে নম্বর বাড়াতে টাকা চেয়েছেন অধ্যাপক ? অভিযোগ দায়ের ছাত্রীর
এবিষয়ে এক কলেজ কর্মী রিঙ্কু মজুমদার বলেন, “এর আগেও দু'বার আসা হয়েছিল শোকজ় নোটিস দেওয়ার জন্য । এই নিয়ে তিনদিন হল । অধ্যাপক বাড়িতে নেই বলে প্রতিবার ফিরে যেতে হচ্ছে । আগামীকালও আসব।”
শিলিগুড়ি কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি জয়ন্ত কর বলেন, “তিনটি পদ্ধতিতে শোকজ় নোটিস পাঠানো হচ্ছে ওই অধ্যাপককে । সাতদিন পর্যন্ত পিওন বুক মারফৎ শোকজ় নোটিস নিয়ম করে রোজ পাঠানো হবে যতদিন না উনি তা গ্রহণ করছেন ।”
অন্যদিকে জানা গেছে, ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ ইশুতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই তদন্ত জোড়ালো করেছে পুলিশ । বর্তমানে ঘটনার তদন্ত ভার রয়েছে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ACP-র হাতে। ঘটনার তদন্ত জারি রেখেছেন তিনি ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বেশকিছু তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ হয়েছে । ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য তা পাঠানো হয়েছে । আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট আসতে পারে । পাশাপাশি, ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে ওই অধ্যাপককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে বলেও খবর । তদন্তের খাতিরে অধ্যাপকের ভয়েস রেকর্ড করাও হতে পারে।