শিলিগুড়ি, 23 এপ্রিল : নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ছয় শিশু-সহ গ্রেফতার 13 জন রোহিঙ্গা ৷ এনজেপি স্টেশনের জিআরপি’র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্রীয় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর গোয়েন্দারা তাঁদের ফরেনার্স অ্যাক্টে গ্রেফতার করেছে (Central IB of Siliguri Detected 13 Suspected Rohingyas from NJP Station) ৷ জানা গিয়েছে, তাঁরা জম্মু ও দিল্লি থেকে শুক্রবার দু’ভাগে এনজেপি-তে এসে পৌঁছেছিলেন ৷ তাঁরা অসম হয়ে ত্রিপুরা দিয়ে বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পে যাওয়ার পরিকল্পনায় (Rohingyas Plan to Escape Bangladesh Via Tripura) ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷
জিআরপি’র তরফে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত 12টা 45 মিনিটে শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর গোয়েন্দারা এনজেপি স্টেশনের 1 নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে 13 জন সন্দেহভাজন রোহিঙ্গাকে আটক করে ৷ ধৃতেরা জম্মু ও দিল্লি থেকে দু’ভাগে এনজেপি স্টেশনে এসে পৌঁছয় (Rohingyas Came from Jammu and Delhi) ৷ জিআরপি’র তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ধৃতেরা জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে দিল্লি আসে ৷ তার পর সেখান থেকে বাসে মুজফ্ফরনগর যায় ৷ সেখান থেকে বাসে শিলিগুড়িতে গিয়ে পৌঁছয় ৷ ধৃতের একজনের কাছ থেকে এনজেপি থেকে ধর্মনগরের একটি ট্রেনের টিকিট পাওয়া গিয়েছে ৷
13 জন রোহিঙ্গার মধ্যে 6 শিশু রয়েছে ৷ বাকি 7 জনের মধ্যে 2 জন মহিলা রয়েছেন ৷ জিআরপি’র তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তাঁরা ৷ ধৃতদের মধ্যে 5 জন 6 শিশুকে নিয়ে জম্মুতে থাকতেন ৷ আর বাকি দু’জনের একজন হরিয়ানার মেওয়াট এবং আরেকজন দিল্লির উত্তমনগরে থাকতেন ৷
আরও পড়ুন : Rohingya Arrested from NJP Station: এনজেপি স্টেশন থেকে গ্রেফতার 7 রোহিঙ্গা
ধৃত রোহিঙ্গারা হল, আব্দুল রাকিম, নুর ইসলাম, মনুয়ারা বেগম, সামদা বেগম এবং মহম্মদ আয়ুব মায়ানমারের মংডু জেলার বাসিন্দা ৷ মহম্মদ হারিশ মায়ানমারের নাকুরা জেলার বাসিন্দা এবং মহম্মদ আব্দুল্লার বাড়ি মায়ানমারের আইক্কা জেলায় ৷ বাকি 6 শিশু’র বাড়িও মংডু জেলায় ৷
গ্রেফতার হওয়া এই রোহিঙ্গাদের কে বা কারা সীমান্ত পেরোতে সাহায্য করেছিল, তা জানা যায়নি ৷ পাশাপাশি, তাঁদের জম্মু থেকে ট্রেন ও পরে বাস এবং সবশেষে অসমের ট্রেনের টিকিট কে করে দিয়েছিলেন ? তা জানা যায়নি ৷ তবে, আরও বড় প্রশ্ন এই রোহিঙ্গারা মায়ানমার থেকে ভারতে কেন ঢুকেছিলেন ? তাহলে কেন বাংলাদেশে যাচ্ছিলেন ? তাহলে কি ভারতে কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে ঢুকেছিলেন তাঁরা ? জিআরপি সূত্রে খবর, ধৃত রোহিঙ্গাদের কয়েকজন বাংলাদেশের শরণার্থী শংসাপত্র দেখিয়েছে ৷ তবে, সেগুলি আসল না নকল তা তদন্ত সাপেক্ষ ৷ যদি আসল হয়, তাহলে তাঁরা কেন ভারতে এলেন ? কী উদ্দেশ্যে তাঁরা দিল্লি ও জম্মুতে গেলেন ? কোনও জঙ্গি যোগ রয়েছে কি না ? এমন একাধিক প্রশ্ন উঠছে ৷ একমাত্র ধৃতদের জেরা করেই এই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর আধিকারিকরা ৷
জিআরপি’র তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এনজেপি থেকে মোট 56 জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷