শিলিগুড়ি, 11 জানুয়ারি : গোরু পাচারকাণ্ডে নাম উঠে এসেছে বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারের । আর তারপর থেকেই পরই সতর্ক বিএসএফ । আর কোনও জওয়ান বা আধিকারিক যাতে এসব ঘটনায় জড়িয়ে না পড়ে বা কেউ জড়িয়ে রয়েছে তা দেখতে কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে । যদি ওই ধরনের ঘটনায় বিএসএফের কারও নাম জড়ায় তবে তা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দোষী হলে কোর্ট মার্শাল পর্যন্ত হতে পারে । সোমবার উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ারের আইজির পদে যোগ দিয়ে একথা জানান সুনীল কুমার ।
বিএসএফ-এর শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ারের সদর কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, বিএসএফ-এর হেড কোয়ার্টারের পাশাপাশি তাঁরাও প্রত্যেক জওয়ান এবং আধিকারিকদের উপর নজর রাখছেন । কোথাও খামতি পেলেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে । গোরুপাচারের মতো অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ মিললেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
তিনি জানান, সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ মানুষ যাতে কোনওভাবেই সীমান্ত দিয়ে গোরু, মাদক পাচারের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে বিশেষ নজর রাখার পাশাপাশি সচেতন করা হচ্ছে । শুধু তাই নয়, কোনও জওয়ানের বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহার, মারধর, গুলি চালানোর অভিযোগ পেলেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুনীল কুমার জানান, এছাড়া সীমান্ত এলাকায় পাচারকারীদের ধরতে স্নিফার ডগের ব্যবহার করা হচ্ছেে। গত দশদিনে স্নিফার ডগের মাধ্যমে দশটি পাচার সংক্রান্ত বিষয়ের সমাধান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ারের অধীন 936 কিলোমিটার ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। যার মধ্যে 55 কিলোমিটার নদী এবং 109 কিলোমিটার জায়গা ফেন্সিং ছাড়া রয়েছে । ওই সব এলাকায় বিশেষ নজর রাখার পাশাপাশি টহলদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি ।