শিলিগুড়ি, 10 জানুয়ারি : শিলিগুড়ি সংলগ্ন পতিরামজোতের বাসিন্দা অলোক দাস । পেশায় ব্যবসায়ী । স্ত্রী-ছেলে নিয়ে সংসার । গত 6 জানুয়ারি বাড়ি থেকে বেরিয়ে বেপাত্তা হন । ওইদিন না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজ শুরু করেন । পরেরদিন গাজলডোবা সংলগ্ন একটি জঙ্গলে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায় । কীভাবে মাটিগাড়া থেকে গাজলডোবায় পৌঁছালেন অলোক? উত্তর খুঁজতে নেমে পুলিশের হাতে উঠে আসে লুটপাটের তথ্য । রিমা রায় নামে মাটিগাড়ার বাসিন্দা এক মহিলা নাকি এ সবের পিছনে। নেপথ্যে প্রেমের সম্পর্ক ।
অলোক ও রিমা একই পাড়ার বাসিন্দা । আগে থেকেই একে অপরকে চিনতেন । সম্প্রতি ফোন নম্বর আদানপ্রদান হয় তাঁদের মধ্যে । ফোনালাপেই বন্ধুত্ব এবং প্রেমপর্ব জমে ওঠে অলোক ও রিমার । একমাস প্রেমপর্বের পর দেখা করতে বলেন রিমা । শিলিগুড়ি সংলগ্ন গাজলডোবা এলাকায় অলোককে ডাকেন তিনি । নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে পৌঁছে যান অলোক । এরপর থেকে ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয় । অচৈতন্য অলোককে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে ভরতি করা হয় । জ্ঞান ফিরলে তিনি পুলিশকে জানান, রিমা তাঁকে ঠান্ডা পানীয় খেতে দিয়েছিলেন । তা খাওয়ার পরেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন অলোক । দীর্ঘক্ষণ অচৈতন্য অবস্থায় সেখানে পড়েছিলেন । অলোকের অভিযোগ, তিনি সংজ্ঞাহীন হতেই রিমা তাঁর সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা, মোবাইল লুট করেন । মোবাইল, আংটি, নগদ 20 হাজার টাকা নিয়ে রিমা পালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি ।
আরও পড়ুন : জলপাইগুড়িতে বাড়িতে চুরি, লুট নগদ ও গয়না
আক্রান্তের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে রিমাকে গ্রেপ্তার করে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের মিলনপল্লি ফাঁড়ির পুলিশ । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধৃত মহিলা একা এই ঘটনায় জড়িত নন । তাঁর সঙ্গে অন্য কেউ যুক্ত থাকতে পারেন । পুলিশের সন্দেহের তালিকায় রিমার স্বামীও রয়েছেন ।