ETV Bharat / city

Bengal Civic Polls 2022 : ইংরেজবাজারে 15নং ওয়ার্ডে নির্দলপ্রার্থী স্যাক্সোফোনিস্ট সাদিয়া

ইংরেজবাজার পৌরসভার 15নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাদিয়া খাতুন (Saxophonist Candidate for Municipality Election in English Bazar) ৷ পারিবারিক সূত্রে তিনি শিল্পী ৷ বাবার সঙ্গে ব্যান্ডে স্যাক্সোফোন বাজান ৷ সেই সাদিয়া আসন্ন পৌরসভা ভোটে নির্দল প্রার্থী 15নং ওয়ার্ড থেকেই ৷

WB Civic Polls 2022 Saxophonist Sadia Khatun Independent Candidate from Ward No 15 in English Bazar
WB Civic Polls 2022 Saxophonist Sadia Khatun Independent Candidate from Ward No 15 in English Bazar
author img

By

Published : Feb 18, 2022, 8:15 PM IST

মালদা, 18 ফেব্রুয়ারি : তিনি মালদা শহরের বাঁশিওয়ালা ৷ তিনি সাদিয়া খাতুন ৷ জার্মানির হ্যামেলিনের মতো এই শহরও তাঁর সুরের পিছু নেয় ৷ হ্যান্স ডোবারটিন বেঁচে থাকলে তিনি মালদা শহরের এই মেয়েকে নিয়ে কিছু লিখতেন কিনা জানা নেই ৷ তবে, তাঁর সুরের মূর্ছনায় তিনিও যে কিছুটা সময় থমকে দাঁড়াতেন, তা নিশ্চিত ৷ সেই মেয়েই এবার সুরের বার্তা নিয়ে ভোট লড়াইয়ের মাঠে ৷ তাঁর পিছনে হাঁটছেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশও ৷ ভোটের ফল কী হবে জানা নেই ? তবে, লড়াইয়ে নেমেই এলাকায় গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছেন সাদিয়া (Saxophonist Candidate for Municipality Election in English Bazar) ৷

বাইশের সাদিয়া রাজনীতিতে মোটেই সড়গড় নন ৷ গুছিয়ে ঠিকমতো কথাও বলতে পারেন না ৷ বাড়ি মালদা শহরের মীরচকে ৷ ঠাকুরদা, বাবা, সবাই স্যাক্সোফোনে সুর নিয়ে খেলা করেন। ৷ ছোটবেলায় তিনিও সেই দলেই নাম লিখিয়ে ছিলেন ৷ হাতে যখন স্যাক্সোফোন থাকে, তখন সেই যন্ত্রের চাবিগুলিতে সাদিয়ার আঙুল যেন তাঁর মনের কথা বের করে আনে ৷ সাদিয়ার কথায়, “ছোট থেকেই বাড়িতে ঠাকুরদা-বাবাকে এই যন্ত্র বাজাতে দেখেছি ৷ আমারও খুব ভাল লাগে সুর ৷ তাই অল্প বয়সেই বাবা-ঠাকুরদার কাছে এই যন্ত্রে তালিম নিতে শুরু করেছি ৷”

অভাবের সংসার ৷ বাবা সফি শেখের নিজস্ব ব্যান্ড রয়েছে ৷ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাজনা বাজিয়েই উপার্জন তাঁর ৷ তবে পেশা আর শিল্পের সাধনাকে তিনি সবসময় আলাদা জায়গায় রেখেছেন ৷ স্যাক্সোফোন তাঁর নেশা, ব্যান্ড পেশা ৷ বাবার হাত ধরে এখন সাদিয়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্যাক্সোফোনে সুর তোলেন ৷ দুর্গাপুজো কিংবা যে কোনও অনুষ্ঠানে তাঁর সুরে থমকে যায় মানুষের পা ৷ কয়েক মুহূর্তেই ভিড় জমে যায় তাঁর সামনে ৷ ভেবেছিলেন, ভোটে সেই স্যাক্সোফোন প্রতীকেই লড়বেন ৷ কিন্তু, তা হয়নি ৷ কারণ, তেমন কোনও প্রতীক নির্বাচন কমিশনের কাছে নেই ৷

আরও পড়ুন : Plastic Rice in Mid Day Meal : চাঁচলে মিড-ডে মিলে প্লাস্টিকের চাল মেশানোর অভিযোগ, নমুনা চেয়ে পাঠালেন বিডিও

ইংরেজবাজার পৌরসভার 15 নং ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী সাদিয়া (Saxophonist Sadia Khatun Independent Candidate from Ward No 15 in English Bazar) ৷ স্যাক্সোফোনের বদলে ঢোল তাঁর নির্বাচনী প্রতীক ৷ সেই প্রতীক নিয়েই প্রচারে বেরিয়েছেন সাদিয়া খাতুন ৷ ঢোল বাজিয়ে চলছে তাঁর প্রচার ৷ মানুষের কাছে নত হয়ে ভোট চাইছেন ৷ কিন্তু, এখনও বিপক্ষ প্রার্থীদের কথার তীরে সেভাবে বিঁধতে পারেননি ৷ মেয়ে যে এখনও ভোট রাজনীতিতে পোক্ত হতে পারেনি, তা বিলক্ষণ জানেন সফি শেখ ৷ তবে, তিনিও এক্ষেত্রে সড়গড় নন ৷ কারণ, সুর আর রাজনীতির মধ্যে যে বিস্তর ফারাক ৷

ইংরেজবাজারে 15নং ওয়ার্ডে নির্দলপ্রার্থী স্যাক্সোফোনিস্ট সাদিয়া

আরও পড়ুন : TMC Inner Clash : হরিশ্চন্দ্রপুরে পুকুর কাটাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

15 নং ওয়ার্ডে এ বার ছ’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৷ প্রধান চারটি দলের সঙ্গে রয়েছেন দুই নির্দল ৷ তাঁদের মধ্যে একজন সাদিয়া ৷ এই ওয়ার্ড থেকে জিতেই ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ এবার তাঁর স্ত্রী গায়ত্রী ঘোষ এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ৷ ধারে-ভারে অনেকটাই এগিয়ে ৷ প্রচারে বেরিয়ে ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে সাদিয়া জানালেন, “নির্বাচনের ময়দানে নেমে খুব ভাল লাগছে ৷ আমি মানুষের পাশে থাকতে চাই, মানুষের কাজ করতে চাই, মানুষকে ভালবাসতে চাই ৷ এর বেশি কিছু চাই না ৷”

অন্যদিকে সফি সাহেব বলছেন, “15 নং ওয়ার্ডে এর আগে অনেক কাউন্সিলর এসেছেন ৷ কিন্তু, তাঁদের কারও কাজকর্মের ধরন আমাদের পছন্দ নয় ৷ তাঁরা এই ওয়ার্ডের বাসিন্দাও নন ৷ ফলে আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কোনও কাজ হয় না ৷ এলাকার প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করার জন্যই মেয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছে ৷ প্রচারে বেশ ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে ৷”

27 ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন, 15 নং ওয়ার্ডের প্রায় 3600 ভোটার কার পাশে দাঁড়াবে তা সময় বলবে ৷ তবে, নির্দল সাদিয়ার প্রচারে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অনেক মানুষকেই অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে ৷ যা শাসকদল বা অন্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বেশ চিন্তার ৷

মালদা, 18 ফেব্রুয়ারি : তিনি মালদা শহরের বাঁশিওয়ালা ৷ তিনি সাদিয়া খাতুন ৷ জার্মানির হ্যামেলিনের মতো এই শহরও তাঁর সুরের পিছু নেয় ৷ হ্যান্স ডোবারটিন বেঁচে থাকলে তিনি মালদা শহরের এই মেয়েকে নিয়ে কিছু লিখতেন কিনা জানা নেই ৷ তবে, তাঁর সুরের মূর্ছনায় তিনিও যে কিছুটা সময় থমকে দাঁড়াতেন, তা নিশ্চিত ৷ সেই মেয়েই এবার সুরের বার্তা নিয়ে ভোট লড়াইয়ের মাঠে ৷ তাঁর পিছনে হাঁটছেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশও ৷ ভোটের ফল কী হবে জানা নেই ? তবে, লড়াইয়ে নেমেই এলাকায় গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছেন সাদিয়া (Saxophonist Candidate for Municipality Election in English Bazar) ৷

বাইশের সাদিয়া রাজনীতিতে মোটেই সড়গড় নন ৷ গুছিয়ে ঠিকমতো কথাও বলতে পারেন না ৷ বাড়ি মালদা শহরের মীরচকে ৷ ঠাকুরদা, বাবা, সবাই স্যাক্সোফোনে সুর নিয়ে খেলা করেন। ৷ ছোটবেলায় তিনিও সেই দলেই নাম লিখিয়ে ছিলেন ৷ হাতে যখন স্যাক্সোফোন থাকে, তখন সেই যন্ত্রের চাবিগুলিতে সাদিয়ার আঙুল যেন তাঁর মনের কথা বের করে আনে ৷ সাদিয়ার কথায়, “ছোট থেকেই বাড়িতে ঠাকুরদা-বাবাকে এই যন্ত্র বাজাতে দেখেছি ৷ আমারও খুব ভাল লাগে সুর ৷ তাই অল্প বয়সেই বাবা-ঠাকুরদার কাছে এই যন্ত্রে তালিম নিতে শুরু করেছি ৷”

অভাবের সংসার ৷ বাবা সফি শেখের নিজস্ব ব্যান্ড রয়েছে ৷ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাজনা বাজিয়েই উপার্জন তাঁর ৷ তবে পেশা আর শিল্পের সাধনাকে তিনি সবসময় আলাদা জায়গায় রেখেছেন ৷ স্যাক্সোফোন তাঁর নেশা, ব্যান্ড পেশা ৷ বাবার হাত ধরে এখন সাদিয়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্যাক্সোফোনে সুর তোলেন ৷ দুর্গাপুজো কিংবা যে কোনও অনুষ্ঠানে তাঁর সুরে থমকে যায় মানুষের পা ৷ কয়েক মুহূর্তেই ভিড় জমে যায় তাঁর সামনে ৷ ভেবেছিলেন, ভোটে সেই স্যাক্সোফোন প্রতীকেই লড়বেন ৷ কিন্তু, তা হয়নি ৷ কারণ, তেমন কোনও প্রতীক নির্বাচন কমিশনের কাছে নেই ৷

আরও পড়ুন : Plastic Rice in Mid Day Meal : চাঁচলে মিড-ডে মিলে প্লাস্টিকের চাল মেশানোর অভিযোগ, নমুনা চেয়ে পাঠালেন বিডিও

ইংরেজবাজার পৌরসভার 15 নং ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী সাদিয়া (Saxophonist Sadia Khatun Independent Candidate from Ward No 15 in English Bazar) ৷ স্যাক্সোফোনের বদলে ঢোল তাঁর নির্বাচনী প্রতীক ৷ সেই প্রতীক নিয়েই প্রচারে বেরিয়েছেন সাদিয়া খাতুন ৷ ঢোল বাজিয়ে চলছে তাঁর প্রচার ৷ মানুষের কাছে নত হয়ে ভোট চাইছেন ৷ কিন্তু, এখনও বিপক্ষ প্রার্থীদের কথার তীরে সেভাবে বিঁধতে পারেননি ৷ মেয়ে যে এখনও ভোট রাজনীতিতে পোক্ত হতে পারেনি, তা বিলক্ষণ জানেন সফি শেখ ৷ তবে, তিনিও এক্ষেত্রে সড়গড় নন ৷ কারণ, সুর আর রাজনীতির মধ্যে যে বিস্তর ফারাক ৷

ইংরেজবাজারে 15নং ওয়ার্ডে নির্দলপ্রার্থী স্যাক্সোফোনিস্ট সাদিয়া

আরও পড়ুন : TMC Inner Clash : হরিশ্চন্দ্রপুরে পুকুর কাটাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

15 নং ওয়ার্ডে এ বার ছ’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৷ প্রধান চারটি দলের সঙ্গে রয়েছেন দুই নির্দল ৷ তাঁদের মধ্যে একজন সাদিয়া ৷ এই ওয়ার্ড থেকে জিতেই ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ এবার তাঁর স্ত্রী গায়ত্রী ঘোষ এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ৷ ধারে-ভারে অনেকটাই এগিয়ে ৷ প্রচারে বেরিয়ে ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে সাদিয়া জানালেন, “নির্বাচনের ময়দানে নেমে খুব ভাল লাগছে ৷ আমি মানুষের পাশে থাকতে চাই, মানুষের কাজ করতে চাই, মানুষকে ভালবাসতে চাই ৷ এর বেশি কিছু চাই না ৷”

অন্যদিকে সফি সাহেব বলছেন, “15 নং ওয়ার্ডে এর আগে অনেক কাউন্সিলর এসেছেন ৷ কিন্তু, তাঁদের কারও কাজকর্মের ধরন আমাদের পছন্দ নয় ৷ তাঁরা এই ওয়ার্ডের বাসিন্দাও নন ৷ ফলে আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কোনও কাজ হয় না ৷ এলাকার প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করার জন্যই মেয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছে ৷ প্রচারে বেশ ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে ৷”

27 ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন, 15 নং ওয়ার্ডের প্রায় 3600 ভোটার কার পাশে দাঁড়াবে তা সময় বলবে ৷ তবে, নির্দল সাদিয়ার প্রচারে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অনেক মানুষকেই অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে ৷ যা শাসকদল বা অন্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বেশ চিন্তার ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.