মালদা, 24 অগস্ট: রাস্তা সংস্কারের দাবিতে গ্রামেগঞ্জে বিক্ষোভ কিংবা ভোট বয়কটের হুমকি মাঝেমধ্যেই শোনা যায় (Villagers Protest) । কিন্তু বেহাল রাস্তার জন্য এ বার পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে ইডির হানার দাবি উঠল ৷ পুরাতন মালদার যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেউলি গ্রামের ঘটনা (Villagers demand ED search at pradhan house) ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দু'এক বছর নয় । দীর্ঘ 20 বছর ধরে তাঁরা রাস্তার যন্ত্রণা ভোগ করছেন । তাঁদের কথা যে খুব একটা মিথ্যে নয়, তা রাস্তার দশা দেখলেই বোঝা যায় । বৃষ্টির পর ওই রাস্তা দিয়ে মানুষের হাঁটাচলা, আর সার্কাসের ট্র্যাপিজের দড়িতে খেলোয়াড়দের ব্যালেন্স রাখা, একই ব্যাপার । স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তা সংস্কারের জন্য তাঁরা বহুবার পঞ্চায়েতে আর্জি জানিয়েছেন । কিন্তু তাঁদের ভোগান্তি এখনও যায়নি ।
গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ নাজমুল হক বলেন, "20 বছর ধরে রাস্তা নিয়ে আমাদের ভোগান্তি চলছে । একাধিকবার পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে গ্রামের সবাই মিলে গিয়েছি । কিন্তু প্রতিবারই তিনি বলেন, ভোটের পর করে দেব । এভাবে 20 বছরে অনেক ভোট চলে গেল । এ দিকে এই রাস্তা দিয়ে কোনও প্রসূতি কিংবা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না । তাঁদের কাঁধে তুলে পাকা রাস্তা পর্যন্ত নিয়ে যেতে হচ্ছে । গ্রামে কোনও গাড়ি ঢোকে না । এ নিয়ে পঞ্চায়েতে আবেদন জানানোয় প্রধানের পেটোয়া কিছু ছেলে আমাদের সঙ্গে মসকরা করছে । আমাদের দাবি, এখানকার প্রধানের বাড়িতেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো ইডিকে দিয়ে তল্লাশি চালানো হোক । তিনি যে কত টাকা আত্মসাৎ করেছেন, তার কোনও ঠিকানা নেই ।"
গ্রামের এক বৃদ্ধা শ্রীমতি চৌধুরী বলেন, "আমাদের খেটে খেতে হয় । কিন্তু কাজ করার সময় এই রাস্তায় মাঝেমধ্যেই আছাড় খেতে হয় । জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায় । রোগীদের সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় না । সময়মতো হাসপাতালে না নিয়ে যেতে পারায় গতকালই এক যুবতী মারা গিয়েছে । আমরা রাস্তার দ্রুত সংস্কার চাইছি ।"
আরও পড়ুন: দেড় লাখ টাকায় ভুয়ো সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ তৃণমূল নেতার
পঞ্চায়েত প্রধান নুর হকের দাবি, "আমি কারও সঙ্গে কখনও দুর্ব্যবহার করি না । এই অভিযোগে দুঃখিত । 1993 সাল থেকে আমি দেউলি সংসদের সদস্য । এখন অন্য জায়গার সদস্য হলেও ওই গ্রামে আমি বহু কাজ করে দিয়েছি । ওই গ্রামের রাস্তা গতবারও সংস্কার করা হয়েছে । রাস্তাটি সংস্কারের জন্য 100 দিন প্রকল্পে কাজ ধরা ছিল । কিন্তু ওই প্রকল্পের টাকা না আসায় কাজ করা যায়নি । তবু পঞ্চায়েতের তরফে ওই রাস্তায় জন্য আমরা দু'লক্ষ টাকার টেন্ডার পাস করিয়ে ওয়ার্ক অর্ডার বের করেছি । 15-20 দিনের মধ্যেই কাজ হয়ে যাবে ।"