ETV Bharat / city

"বর্তমান চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে ভোট হলে ২-৩টি ওয়ার্ডেও জয় পাবে না তৃণমূল" - ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশ

সম্প্রতি ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তৃণমূলেরই বেশিরভাগ কাউন্সিলর ৷ এরপর দুই পৌরসভার দলের সব কাউন্সিলরকে কলকাতায় তলব করেন ফিরহাদ হাকিম ৷ সব শুনে দুই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ৷ যদিও তাতে বিশেষ একটা খুশি নন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা ৷

পুরাতন মালদা পৌরসভা
author img

By

Published : Sep 4, 2019, 5:02 AM IST

Updated : Sep 4, 2019, 7:32 AM IST

মালদা, 4 সেপ্টেম্বর : চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে গর্জন করলেও বর্ষাতে পারলেন না পুরাতন মালদার বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা ৷ কলকাতায় পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে কার্যত ধমক খেয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আস্থা দেখিয়েই ফিরতে হয়েছে তাঁদের ৷ তবে জেলার দুই পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম ৷ এতেই নিজেদের নৈতিক জয় দেখছেন পুরাতন মালদার বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা ৷ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কাউন্সিলর বৈশিষ্ঠ্য ত্রিবেদী বলেন,"জেলার দুই পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে ২০২০ সালে পৌর নির্বাচন হলে কোনওটাতেই দল ২-৩টি ওয়ার্ডেও জিততে পারবে না ৷"

সম্প্রতি ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তৃণমূলেরই বেশিরভাগ কাউন্সিলর ৷ অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ সংকট মেটাতে তড়িঘড়ি মালদায় পাঠানো হয় জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত দলীয় পর্যবেক্ষক গোলাম রব্বানিকে ৷ কিন্তু তিনি কিংবা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর এই সংকট থেকে দলকে উদ্ধার করতে পারেননি ৷ তাই রবিবার দুই পৌরসভার দলের সব কাউন্সিলরকে কলকাতায় তলব করেন ফিরহাদ হাকিম ৷

পুরাতন মালদার বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর বৈশিষ্ঠ্য ত্রিবেদী বলেন, "পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকার পর প্রথমে জেলা নেতৃত্ব আমাদের তলব করে ৷ সেখানে পর্যবেক্ষক গোলাম রব্বানি ও জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর আমাদের কথা শোনেন ৷ সেই সময় এই অনাস্থা ডাকার হোতা ভাইস চেয়ারপার্সন চন্দনা হালদারই তাঁদের সমস্ত কথা খুলে বলেন ৷ তবে জানিয়ে দিয়েছিলাম, আমরা কেউই দলের বাইরে যাব না ৷ এর আগেও আমরা কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে দলে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলাম ৷ কিন্তু তখন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷ এরপর মৌসম নুরকে জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় ৷ দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি প্রত্যেক কাউন্সিলরের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেন ৷ প্রত্যেক কাউন্সিলরই তাঁকে কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে জানান ৷ এটা তিনি স্বীকারও করেছেন ৷ তখনই তিনি দুই পৌরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে কলকাতায় বসার কথা বলেন ৷ আমরা তাঁকে তখনই জানিয়ে দিয়েছিলাম, দল বললে আমরা নিজেদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেব৷ কিন্তু তাঁর কথায় আমরা কলকাতা থেকে ফিরে সেই প্রস্তাব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিই ৷" কলকাতার বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দুই পৌরসভাতেই বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর ও দলের শহর সভাপতিকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে হবে ৷ সেই কমিটি সবার অভিযোগ শুনবে ৷ ফিরহাদ হাকিম জানান, দুই পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্ত করে দেখার জন্য কমিটি গঠিত হবে ৷ তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না ৷

বৈশিষ্ঠ্য ত্রিবেদীর বক্তব্য

দলের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও বৈশিষ্ঠ্য ত্রিবেদী বলেন, "এখনই যদি দুই চেয়ারম্যানের লাগাম না কষা হয়, তবে ২০২০ সালে জনগণ এর বিচার করবে ৷ এই দুই চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ভোট হলে ইংরেজবাজার কিংবা পুরাতন মালদা, কোথাও ২-৩টি ওয়ার্ডেও দলের প্রার্থীরা জিততে পারবে না ৷ এটা আমি আগাম বার্তা দিয়ে রাখলাম ৷ আমরা দলকে গুরুত্ব দিচ্ছি, তবে দল আমাদের কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে কিনা, এখন সেটাই দেখার ৷ আমি পৌরমন্ত্রীকে বলেই দিয়েছি, দলের প্রত্যেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক ৷ আমি পাঁচবারের কাউন্সিলর ৷ আমার বিরুদ্ধেও গোড়া থেকে তদন্ত করা হোক ৷ তবে যাই হোক না কেন, অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করবই ৷"

মালদা, 4 সেপ্টেম্বর : চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে গর্জন করলেও বর্ষাতে পারলেন না পুরাতন মালদার বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা ৷ কলকাতায় পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে কার্যত ধমক খেয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আস্থা দেখিয়েই ফিরতে হয়েছে তাঁদের ৷ তবে জেলার দুই পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম ৷ এতেই নিজেদের নৈতিক জয় দেখছেন পুরাতন মালদার বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা ৷ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কাউন্সিলর বৈশিষ্ঠ্য ত্রিবেদী বলেন,"জেলার দুই পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে ২০২০ সালে পৌর নির্বাচন হলে কোনওটাতেই দল ২-৩টি ওয়ার্ডেও জিততে পারবে না ৷"

সম্প্রতি ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তৃণমূলেরই বেশিরভাগ কাউন্সিলর ৷ অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ সংকট মেটাতে তড়িঘড়ি মালদায় পাঠানো হয় জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত দলীয় পর্যবেক্ষক গোলাম রব্বানিকে ৷ কিন্তু তিনি কিংবা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর এই সংকট থেকে দলকে উদ্ধার করতে পারেননি ৷ তাই রবিবার দুই পৌরসভার দলের সব কাউন্সিলরকে কলকাতায় তলব করেন ফিরহাদ হাকিম ৷

পুরাতন মালদার বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর বৈশিষ্ঠ্য ত্রিবেদী বলেন, "পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকার পর প্রথমে জেলা নেতৃত্ব আমাদের তলব করে ৷ সেখানে পর্যবেক্ষক গোলাম রব্বানি ও জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর আমাদের কথা শোনেন ৷ সেই সময় এই অনাস্থা ডাকার হোতা ভাইস চেয়ারপার্সন চন্দনা হালদারই তাঁদের সমস্ত কথা খুলে বলেন ৷ তবে জানিয়ে দিয়েছিলাম, আমরা কেউই দলের বাইরে যাব না ৷ এর আগেও আমরা কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে দলে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলাম ৷ কিন্তু তখন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷ এরপর মৌসম নুরকে জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় ৷ দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি প্রত্যেক কাউন্সিলরের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেন ৷ প্রত্যেক কাউন্সিলরই তাঁকে কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে জানান ৷ এটা তিনি স্বীকারও করেছেন ৷ তখনই তিনি দুই পৌরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে কলকাতায় বসার কথা বলেন ৷ আমরা তাঁকে তখনই জানিয়ে দিয়েছিলাম, দল বললে আমরা নিজেদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেব৷ কিন্তু তাঁর কথায় আমরা কলকাতা থেকে ফিরে সেই প্রস্তাব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিই ৷" কলকাতার বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দুই পৌরসভাতেই বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর ও দলের শহর সভাপতিকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে হবে ৷ সেই কমিটি সবার অভিযোগ শুনবে ৷ ফিরহাদ হাকিম জানান, দুই পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্ত করে দেখার জন্য কমিটি গঠিত হবে ৷ তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না ৷

বৈশিষ্ঠ্য ত্রিবেদীর বক্তব্য

দলের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও বৈশিষ্ঠ্য ত্রিবেদী বলেন, "এখনই যদি দুই চেয়ারম্যানের লাগাম না কষা হয়, তবে ২০২০ সালে জনগণ এর বিচার করবে ৷ এই দুই চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ভোট হলে ইংরেজবাজার কিংবা পুরাতন মালদা, কোথাও ২-৩টি ওয়ার্ডেও দলের প্রার্থীরা জিততে পারবে না ৷ এটা আমি আগাম বার্তা দিয়ে রাখলাম ৷ আমরা দলকে গুরুত্ব দিচ্ছি, তবে দল আমাদের কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে কিনা, এখন সেটাই দেখার ৷ আমি পৌরমন্ত্রীকে বলেই দিয়েছি, দলের প্রত্যেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক ৷ আমি পাঁচবারের কাউন্সিলর ৷ আমার বিরুদ্ধেও গোড়া থেকে তদন্ত করা হোক ৷ তবে যাই হোক না কেন, অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করবই ৷"

Intro:মালদা, ০৩ সেপ্টেম্বর : চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে গর্জন করলেও বর্ষাতে পারলেন না পুরাতন মালদার বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা৷ গতকাল কলকাতায় পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে কার্যত ধমক খেয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আস্থা দেখিয়েই ফিরতে হয়েছে তাঁদের৷ তবে গতকাল কলকাতার বৈঠকে জেলার দুই পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন পৌরমন্ত্রী৷ এতেই নিজেদের নৈতিক জয় বলে মনে করছেন পুরাতন মালদার বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা৷ অন্তত আজ পুরাতন মালদা পৌরসভার তৃণমূলি কাউন্সিলর বৈশিষ্ঠ্য ত্রিবেদীর গলায় সেটাই শোনা গেছে৷ তাঁর মন্তব্য, জেলার দুই পৌরসভায় বর্তমান চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে ২০২০ সলের পৌরনির্বাচন হলে কোনও পৌরসভাতেই তৃণমূল ২-৩টি ওয়ার্ড পাবে না৷ Body:         উল্লেখ্য, সম্প্রতি মালদা জেলার দুই পৌরসভা, ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসেন দলীয় সিংহভাগ কাউন্সিলর৷ সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় পড়ে যায় শাসকদলের অন্দরে৷ গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বও৷ সংকট মেটাতে তড়িঘড়ি মালদায় পাঠানো হয় এই জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত দলীয় অবজারভার গোলাম রব্বানিকে৷ কিন্তু তিনি কিংবা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর এই সংকট থেকে দলকে উদ্ধার করতে পারেননি৷ তাই গতকাল দুই পৌরসভার দলীয় সব কাউন্সিলরকে কলকাতায় তলব করেন পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ গতকাল সন্ধেয় সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ বৈঠকের পর হাতে গোনা দু'একজন ছাড়া কোনও কাউন্সিলর এখনও মালদায় এসে পৌঁছোননি৷ যাঁরা মালদায় এসেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর আশিস কুণ্ডু ও পুরাতন মালদা পৌরসভার কাউন্সিলর বৈশিষ্ঠ্য ত্রিবেদী৷ আশিসবাবু ক্যামেরার সামনে এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি৷ তবে বৈশিষ্ঠ্যবাবু আজ নিজেদের ডাকা অনাস্থা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন৷Conclusion:         বৈশিষ্ঠ্যবাবু বলেন, "পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকার পর প্রথমে জেলা নেতৃত্ব আমাদের তলব করে৷ সেখানে অবজারভার গোলাম রব্বানি ও জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর আমাদের কথা শোনেন৷ সেই সময় এই অনাস্থা ডাকার হোতা, ভাইস চেয়ারপার্সন চন্দনা হালদারই তাঁদের সমস্ত কথা খুলে বলেন৷ তবে আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম, আমরা কেউই দলের বাইরে যাব না৷ এর আগেও আমরা কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে দলে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলাম৷ কিন্তু তখন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ এরপর মৌসম নূরকে জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি প্রত্যেক কাউন্সিলরের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেন৷ প্রত্যেক কাউন্সিলরই তাঁকে কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে কথা বলেন৷ এটা তিনি স্বীকারও করেছেন৷ তখনই তিনি দুই পৌরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে কলকাতায় বসার কথা বলেন৷ আমরা তাঁকে তখনই জানিয়ে দিয়েছিলাম, দল বললে আমরা নিজেদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেব৷ কিন্তু তাঁর কথায় আমরা কলকাতা থেকে ফিরে সেই প্রস্তাব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিই৷ কলকাতার বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দুই পৌরসভাতেই বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর ও দলের শহর সভাপতিকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে হবে৷ সেই কমিটি সবার অভিযোগ শুনবে৷ পৌরমন্ত্রী জানান, দুই পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্ত করে দেখার জন্য কমিটি গঠিত হবে৷ তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না৷ তবে একটা কথা বলে দিতে পারি, এখনই যদি দুই চেয়ারম্যানের লাগাম না কষা হয়, তবে ২০২০ সালে জনগণ এর বিচার করবে৷ এই দুই চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ভোট হলে ইংরেজবাজার কিংবা পুরাতন মালদা, কোথাও ২-৩টি ওয়ার্ডেও দলের প্রার্থীরা জিততে পারবে না৷ এটা আমি আগাম বার্তা দিয়ে রাখলাম৷ আমরা দলকে গুরুত্ব দিচ্ছি, তবে দল আমাদের কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে কিনা, এখন সেটাই দেখার৷ আমি পৌরমন্ত্রীকে বলেই দিয়েছি, দলের প্রত্যেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক৷ আমি পাঁচবারের কাউন্সিলর৷ আমার বিরুদ্ধেও গোড়া থেকে তদন্ত করা হোক৷ তবে যাই হোক না কেন, অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করবই৷"
Last Updated : Sep 4, 2019, 7:32 AM IST

For All Latest Updates

TAGGED:

maldaTMC
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.