মালদা, 17 জুলাই: দীর্ঘ দিন ধরেই মদের আসর ও জুয়ার ঠেক চলছে বামনগোলার মদনাবতী এলাকায় ৷ এই ঘটনার প্রতিবাদ করেই আক্রান্ত স্থানীয় বাসিন্দা বিমল ঘোষ ৷ এমনকী তাঁর প্রাণনাশেরও চেষ্টা করা হয়েছে (tmc-larder-threatens protestor over antisocial activity at Bamangola) ৷ অভিযোগের তীর মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাণু রায়ের স্বামী পিন্টু রায় ৷ অভিযোগ অস্বীকার পিন্টু রায়ের ৷ পালটা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তাঁর ৷
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের ডোবাপাড়া এলাকায় মদের আসর ও জুয়ার ঠেক বসে ৷ এই ঠেকে মদত দেওয়ার অভিযোগ পিন্টু রায়ের বিরুদ্ধে ৷ এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন ছানা ব্যবসায়ী বিমল ঘোষ ৷ অভিযোগ তার পরেই এরপরেই পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী পিণ্টু রায় দলবল সহ হাঁসুয়া ও চাকু নিয়ে বিমলবাবুকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন। বিমলবাবু বলেন, “এলাকায় মদের ঠেক, জুয়ার আসর, তোলাবাজি চালাচ্ছে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী পিণ্টু রায়। ওনার স্ত্রী মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। শাসকদলের নাম ভাড়িয়ে এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে ওরা। বিষয়টি পুলিশে একাধিকবার জানানো হলেও কোনও ফল হয়নি। গতকালও জুয়ার ঠেক বসেছিল। আমি প্রতিবাদ করায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে ওরা। বিষয়টি বামনগোলা থানায় জানিয়েছি।”
আরও পড়ুন: মিলছে প্রাণনাশের হুমকি ! জামিনের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ফ্যাক্ট-চেকার জুবেইর
বিমল ঘোষের কথা স্বপক্ষে আরও এক বাসিন্দা জানান, “শনিবার বিমলবাবু বাজারে যাচ্ছিলেন। সেই সময় জুয়ার ঠেক তাঁর নজরে আসে। বিমলবাবু প্রতিবাদ করায় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী পিণ্টু রায় প্রথমে হাঁসুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে । পরে চাকু দিয়ে গলায় আঘাত করে। এর আগে এ ধরনের আসর নিয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি। আমরা এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা চাইছি।”
তৃণমূল প্রধানের স্বামী তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ পিন্টু বাবু জানান, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃ্ষ্টি হচ্ছিল ৷ তাতে বাধা দেওয়ায় তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর ৷