ETV Bharat / city

বর্ষায় বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হওয়ায় ক্ষোভ - ফুলহরের বাঁধ মেরামতির কাজ

ফুলহরের বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হল । কিন্তু বর্ষাকালে এই কাজ শুরু হওয়ায় ক্ষোভ গ্রামবাসীদের । তাদের অভিযোগ, বর্ষায় বাঁধ তৈরির বালির বস্তা জলেই যাবে । এই বিষয়ে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেই তিনি কাজ শুরু করেছেন । তিনি আরও জানান, বর্ষায় বাঁধের অস্থায়ী মেরামতির কাজ হবে । বর্ষার শেষে স্থায়ীভাবে কাজ হবে ।

repair work of  dam started in the rainy season
বর্ষায় বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু
author img

By

Published : Jun 13, 2020, 1:07 AM IST

মালদা, 12 জুন : বর্ষা শুরু হতে ফুলহরের বাঁধ মেরামতির কাজে হাত পড়ল ৷ আজ মানিকচকের শংকরটোলা ঘাটে ফুলহরের ভাঙন বিধ্বস্ত বাঁধ সংস্কারের অস্থায়ী কাজ শুরু হয় ৷ এই কাজ শুরু করান জেলা পরিষদের সভাধিপতি ৷ এদিকে বর্ষার মধ্যে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হওয়ায় ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছে এলাকার বাসিন্দারা ৷ তাদের অনেকেরই বক্তব্য, বর্ষায় বালির বস্তা জলেই যাবে ৷ তার সুযোগ নেবে দালালচক্র ৷ এলাকার অনেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এই কাজে দালালরাজ বরদাস্ত করা হবে না ৷ তবে ভাঙন রোধের স্থায়ী কাজ কবে হবে, তা জানে না কেউ ৷

উল্লেখ্য, গত কালীপুজোর সময় হঠাৎ শংকরটোলা ঘাটে ফুলহরের ভাঙন শুরু হয় ৷ আটটি বাড়িও নদীগর্ভে তলিয়ে যায় ৷ বর্ধিষ্ণু ওই এলাকার অনেকেই প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় ৷ এই অবস্থায় এলাকাবাসী দাবি তোলে, বর্ষার আগেই ওই বাঁধ মেরামত করতে হবে ৷ তা না হলে এবারের বর্ষায় নদীর জল বাঁধ আরও কেটে ফেলবে ৷ এতে বিপন্ন হয়ে পড়বে শংকরটোলার সঙ্গে গোটা মথুরাপুর এলাকা ৷ এনিয়ে আন্দোলনে নামে CPI(M) ৷ তাতে শামিল হয় এলাকার বহু মানুষ ৷ অবশেষে আজ থেকে বালির বস্তা ফেলে সেই বাঁধ অস্থায়ীভাবে রক্ষা করার কাজ শুরু করল জেলা সেচ দপ্তর ৷

মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন , “আজ থেকেই শংকরটোলা ঘাটে ফুলহর নদীর বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে ৷ কয়েকদিন আগে রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরা একটি রাজনৈতিক দলের লোকজন এনিয়ে অনেক চিৎকার চ্যাঁচামেচি করেছে ৷ এনিয়ে আমি অনেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম ৷ তাঁদের উদ্যোগে এই কাজ দ্রুত শুরু করা গেল ৷ এই কাজের জন্য প্রায় 43 লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে ৷ আপাতত বর্ষা মরশুমকে সামনে রেখে অস্থায়ী মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে ৷ পরবর্তীতে ওই ভাঙা বাঁধের স্থায়ী মেরামত করা হবে ৷ ” এদিকে এই কাজ নিয়ে আন্দোলন শুরু করা CPI(M) জেলা কমিটির সদস্য দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, “বর্ষার সময় বাঁধ মেরামতির কাজে হাত দেওয়া হয়েছে ৷ এতে সাধারণ মানুষের কতটা উপকার হবে জানা নেই ৷ তবে একশ্রেণির পকেট যে ভরবে তা বিলক্ষণ বলা যায় ৷ আমাদের দাবি, কোনও অস্থায়ী কাজ নয়, শংকরটোলা সহ গোটা মথুরাপুরকে বাঁচাতে স্থায়ীভাবে বাঁধ মেরামত করতে হবে ৷ এই দাবিতে আমরা আবার এলাকার মানুষকে নিয়ে আন্দোলনে নামব ৷” এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা দুঃখু মণ্ডল, নিবারণ মণ্ডলরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই কাজে কোনও দালালরাজ মেনে নেওয়া হবে না ৷ এই কাজের উপর বর্ষা মরশুমে গোটা মথুরাপুর এলাকার ভাগ্য নির্ভর করছে ৷ কিন্তু বর্ষার মধ্যে এই অস্থায়ী কাজ বাঁধকে কতটা রক্ষা করতে পারবে তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারাও ৷

মালদা, 12 জুন : বর্ষা শুরু হতে ফুলহরের বাঁধ মেরামতির কাজে হাত পড়ল ৷ আজ মানিকচকের শংকরটোলা ঘাটে ফুলহরের ভাঙন বিধ্বস্ত বাঁধ সংস্কারের অস্থায়ী কাজ শুরু হয় ৷ এই কাজ শুরু করান জেলা পরিষদের সভাধিপতি ৷ এদিকে বর্ষার মধ্যে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হওয়ায় ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছে এলাকার বাসিন্দারা ৷ তাদের অনেকেরই বক্তব্য, বর্ষায় বালির বস্তা জলেই যাবে ৷ তার সুযোগ নেবে দালালচক্র ৷ এলাকার অনেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এই কাজে দালালরাজ বরদাস্ত করা হবে না ৷ তবে ভাঙন রোধের স্থায়ী কাজ কবে হবে, তা জানে না কেউ ৷

উল্লেখ্য, গত কালীপুজোর সময় হঠাৎ শংকরটোলা ঘাটে ফুলহরের ভাঙন শুরু হয় ৷ আটটি বাড়িও নদীগর্ভে তলিয়ে যায় ৷ বর্ধিষ্ণু ওই এলাকার অনেকেই প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় ৷ এই অবস্থায় এলাকাবাসী দাবি তোলে, বর্ষার আগেই ওই বাঁধ মেরামত করতে হবে ৷ তা না হলে এবারের বর্ষায় নদীর জল বাঁধ আরও কেটে ফেলবে ৷ এতে বিপন্ন হয়ে পড়বে শংকরটোলার সঙ্গে গোটা মথুরাপুর এলাকা ৷ এনিয়ে আন্দোলনে নামে CPI(M) ৷ তাতে শামিল হয় এলাকার বহু মানুষ ৷ অবশেষে আজ থেকে বালির বস্তা ফেলে সেই বাঁধ অস্থায়ীভাবে রক্ষা করার কাজ শুরু করল জেলা সেচ দপ্তর ৷

মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন , “আজ থেকেই শংকরটোলা ঘাটে ফুলহর নদীর বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে ৷ কয়েকদিন আগে রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরা একটি রাজনৈতিক দলের লোকজন এনিয়ে অনেক চিৎকার চ্যাঁচামেচি করেছে ৷ এনিয়ে আমি অনেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম ৷ তাঁদের উদ্যোগে এই কাজ দ্রুত শুরু করা গেল ৷ এই কাজের জন্য প্রায় 43 লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে ৷ আপাতত বর্ষা মরশুমকে সামনে রেখে অস্থায়ী মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে ৷ পরবর্তীতে ওই ভাঙা বাঁধের স্থায়ী মেরামত করা হবে ৷ ” এদিকে এই কাজ নিয়ে আন্দোলন শুরু করা CPI(M) জেলা কমিটির সদস্য দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, “বর্ষার সময় বাঁধ মেরামতির কাজে হাত দেওয়া হয়েছে ৷ এতে সাধারণ মানুষের কতটা উপকার হবে জানা নেই ৷ তবে একশ্রেণির পকেট যে ভরবে তা বিলক্ষণ বলা যায় ৷ আমাদের দাবি, কোনও অস্থায়ী কাজ নয়, শংকরটোলা সহ গোটা মথুরাপুরকে বাঁচাতে স্থায়ীভাবে বাঁধ মেরামত করতে হবে ৷ এই দাবিতে আমরা আবার এলাকার মানুষকে নিয়ে আন্দোলনে নামব ৷” এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা দুঃখু মণ্ডল, নিবারণ মণ্ডলরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই কাজে কোনও দালালরাজ মেনে নেওয়া হবে না ৷ এই কাজের উপর বর্ষা মরশুমে গোটা মথুরাপুর এলাকার ভাগ্য নির্ভর করছে ৷ কিন্তু বর্ষার মধ্যে এই অস্থায়ী কাজ বাঁধকে কতটা রক্ষা করতে পারবে তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারাও ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.