ETV Bharat / city

Parents protested in Malda : মালদায় 4 দিন ধরে বন্ধ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, বিক্ষোভ অভিভাবকদের

চারদিন ধরে বন্ধ রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র । দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটল হরিশ্চন্দ্রপুরে । অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা (Parents protested as Anganwari center closed for 4 days in Malda) ।

Parents protested as Anganwari center closed for 4 days in Malda
Parents protested in Malda
author img

By

Published : May 5, 2022, 6:55 PM IST

মালদা, 5 মে : এলাকার প্রায় সবাই গরিব । নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যাওয়ার সংসার । পুষ্টির জন্য অন্তঃসত্তা, প্রসূতি কিংবা শিশুরা স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উপরেই নির্ভর করে । সেখানে অন্তত সপ্তাহে ছ’দিন ডিম পাওয়া যায় । কিন্তু চারদিন ধরে বন্ধ সেই কেন্দ্র । এলাকায় থেকেও কেন্দ্রে আসেন না অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী । বাড়িতে গিয়ে ডাকা হয়েছিল তাঁকে । কিন্তু দুর্ব্যবহার করে তিনি গ্রামবাসীদের তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ । আরও অভিযোগ, ওই কর্মীর সঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাজ করতে আসেন তাঁর সরকারি কর্মী স্বামীও । সব মিলিয়ে ক্ষোভ জমছিলই । তার জেরে আজ কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা, সঙ্গে ছিল শিশুরাও (Parents protested as Anganwari center closed for 4 days in Malda) ।

ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর পূর্বপাড়ায় । যদিও গ্রামবাসীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই কেন্দ্রের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী । এক অভিভাবক সাজেদা বেওয়া বলেন, "এমনিতেই এই সেন্টারে সপ্তাহে চারদিন খাবার দেওয়া হয়। তাও কোনও কোনও দিন ঘুরে যেতে হয় । পরে সেই খাবার দাবি করলে আর দিচ্ছে না । উলটে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছে সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী । এমনকি ওই কর্মীর স্বামী আমাদের খুনের হুমকিও দিচ্ছে । ওর স্বামী সবার কাছ থেকে পোলিও কার্ড নিয়ে খাবার দিচ্ছে । সেই পোলিও কার্ড সে নিজের কাছে রেখে দিচ্ছে । এখানে যে খিচুড়ি দেওয়া হচ্ছে, তার মানও খুব নিম্নমানের । আমরা এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলেও তাঁরা আমাদের পাত্তা দেয়নি ।"

আরও পড়ুন : Businessman shot : জুয়ার আসরে বচসার জেরে মালদায় গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী

যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মৌসুমী চৌধুরী । তিনি বলেন, "আমি সব খাবারই ঠিক দিচ্ছি । আমার মা দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে । বাবা আর ভাই মারা গিয়েছে । তাই চারদিন আমি সেন্টারে যেতে পারিনি । এদিকে হেল্পারের উপরেও নির্ভর করতে পারিনি । আমি যদি ওকে ডিম দিয়ে দিই, তবে সে কী করবে বুঝতে পারছিলাম না । তাই আমি নিজের হাতেই সব বিলি করি । সে চুরি করছে কি না তা গ্রামবাসীরাই বলবে । কেউ বলতে পারবে না আমি সপ্তাহে ছ’দিন ডিম দিই না । প্রতিদিন 120 থেকে 130টি ডিম আমার সেন্টারে যায় । আমার বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে সব বানানো । মায়ের অসুস্থতার জন্য হঠাৎ মেডিক্যালে চলে যাওয়ায় আমি সরকারিভাবে ছুটির আবেদন করতে পারিনি । আর আমার সেন্টারে এত বাচ্চা আর মহিলা আসে যে আমি সামাল দিতে পারি না । তাই আমার স্বামী আমাকে সাহায্য করতে সেখানে যান ।"

মালদা, 5 মে : এলাকার প্রায় সবাই গরিব । নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যাওয়ার সংসার । পুষ্টির জন্য অন্তঃসত্তা, প্রসূতি কিংবা শিশুরা স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উপরেই নির্ভর করে । সেখানে অন্তত সপ্তাহে ছ’দিন ডিম পাওয়া যায় । কিন্তু চারদিন ধরে বন্ধ সেই কেন্দ্র । এলাকায় থেকেও কেন্দ্রে আসেন না অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী । বাড়িতে গিয়ে ডাকা হয়েছিল তাঁকে । কিন্তু দুর্ব্যবহার করে তিনি গ্রামবাসীদের তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ । আরও অভিযোগ, ওই কর্মীর সঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাজ করতে আসেন তাঁর সরকারি কর্মী স্বামীও । সব মিলিয়ে ক্ষোভ জমছিলই । তার জেরে আজ কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা, সঙ্গে ছিল শিশুরাও (Parents protested as Anganwari center closed for 4 days in Malda) ।

ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর পূর্বপাড়ায় । যদিও গ্রামবাসীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই কেন্দ্রের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী । এক অভিভাবক সাজেদা বেওয়া বলেন, "এমনিতেই এই সেন্টারে সপ্তাহে চারদিন খাবার দেওয়া হয়। তাও কোনও কোনও দিন ঘুরে যেতে হয় । পরে সেই খাবার দাবি করলে আর দিচ্ছে না । উলটে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছে সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী । এমনকি ওই কর্মীর স্বামী আমাদের খুনের হুমকিও দিচ্ছে । ওর স্বামী সবার কাছ থেকে পোলিও কার্ড নিয়ে খাবার দিচ্ছে । সেই পোলিও কার্ড সে নিজের কাছে রেখে দিচ্ছে । এখানে যে খিচুড়ি দেওয়া হচ্ছে, তার মানও খুব নিম্নমানের । আমরা এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলেও তাঁরা আমাদের পাত্তা দেয়নি ।"

আরও পড়ুন : Businessman shot : জুয়ার আসরে বচসার জেরে মালদায় গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী

যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মৌসুমী চৌধুরী । তিনি বলেন, "আমি সব খাবারই ঠিক দিচ্ছি । আমার মা দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে । বাবা আর ভাই মারা গিয়েছে । তাই চারদিন আমি সেন্টারে যেতে পারিনি । এদিকে হেল্পারের উপরেও নির্ভর করতে পারিনি । আমি যদি ওকে ডিম দিয়ে দিই, তবে সে কী করবে বুঝতে পারছিলাম না । তাই আমি নিজের হাতেই সব বিলি করি । সে চুরি করছে কি না তা গ্রামবাসীরাই বলবে । কেউ বলতে পারবে না আমি সপ্তাহে ছ’দিন ডিম দিই না । প্রতিদিন 120 থেকে 130টি ডিম আমার সেন্টারে যায় । আমার বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে সব বানানো । মায়ের অসুস্থতার জন্য হঠাৎ মেডিক্যালে চলে যাওয়ায় আমি সরকারিভাবে ছুটির আবেদন করতে পারিনি । আর আমার সেন্টারে এত বাচ্চা আর মহিলা আসে যে আমি সামাল দিতে পারি না । তাই আমার স্বামী আমাকে সাহায্য করতে সেখানে যান ।"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.