মালদা, 30 অগস্ট: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারিতে ব্যাকফুটে শাসকদল । দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফেরাতে মরিয়া তৃণমূল সুপ্রিমো । এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কাটমানি নেওয়ার করার অভিযোগ উঠল ইংরেজবাজারের কাজিগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় (Malda family accuses TMC of taking cut money) । সমস্ত ঘটনা জানিয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছে ওই পরিবার ।
ইংরেজবাজারের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডিপুরের আজিমপুরের বাসিন্দা দ্রৌপদী বসাক । স্বামী ভবেশ বসাক কয়েকবছর আগে মারা গিয়েছেন । তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে । বর্তমানে ছেলে অমল বসাকের সঙ্গেই থাকেন দ্রৌপদী । অমল রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন । গত 5 অগস্ট দ্রৌপদী প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) জন্য আবেদন করেন । সেই আবেদনের ভিত্তিতে গত 25 অগস্ট কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে দুই কর্মী তদন্ত করতে আসেন ।
অভিযোগ, ওই দুই কর্মী আবাস যোজনার সুবিধে পাইয়ে দিতে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন । ওই দুই কর্মী দ্রৌপদীকে জানায়, এই টাকা পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সেক্রেটারি সবাইকে দিতে হবে । টাকা না-দিলে আবাস যোজনার সুবিধে পাওয়া যাবে না । কিন্তু তাতেও টাকা দিতে রাজি হননি দ্রৌপদী । গত 27 অগস্ট ফের ওই দুই কর্মী দ্রৌপদীর বাড়িতে যান । দ্রৌপদী বাড়িতে না-থাকায় তাঁর বোনকে পাশের একটি পাকা বাড়ির সামনে নিয়ে গিয়ে ছবি তুলে নেয় ওই দুই কর্মী বলেও অভিযোগ । বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে যান দ্রৌপদীর ছেলে অমল । কিন্তু সেখানেও কাজ না হওয়ায় অবশেষে আজ জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছে ওই পরিবার ।
আরও পড়ুন: পুলিশের নামে সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে তোলাবাজি, সত্যতা স্বীকার মালদা পুলিশ সুপারের
অমল বলেন, "আমরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘরের জন্য আবেদন করেছিলাম । পঞ্চায়েত থেকে ফোন করে 25 তারিখ ঘরের ছবি তুলতে আসার কথা বলা হয় । সেদিন পঞ্চায়েত থেকে দুই কর্মী এসে ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য 5 হাজার টাকা দাবি করেন । কেন টাকা দিতে হবে তা জানতে চাইলে, ওই দুই কর্মী জানায়, এই টাকা প্রধান ও উপপ্রধানকে দিতে হয় । টাকা দিতে রাজি না-হওয়ায় সেই সময় ওরা ফিরে চলে যায় । 27 তারিখ ফের ওই দুই কর্মী বাড়িতে আসে । সেদিন আমরা বাড়িতে কেউ ছিলাম না । সেই সময় পাশের বাড়ি থেকে মাসিকে ডেকে অন্য একটি বাড়ির সামনে দাঁড় করিয়ে ছবি তুলে নেয় তারা । বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার আমি পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা জানায় কিছু হবে না । বাধ্য হয়ে আজ আমরা জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছি । আমাদের মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ছে । আমরা চাই জেলাশাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখে আমাদের যোজনার সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক ।"