মালদা, 10 মার্চ : মালদায় নদীর চর থেকে খুল্লমখুল্লা বালি চুরির অভিযোগ (Illigal Sand mining in mahananda river bank) । শুধু রাতে নয়, দিনের আলোতেও চলছে বালি চুরি ৷ নদীর বুক থেকে অবৈজ্ঞানিক এবং বেআইনিভাবে বালি তোলার অভিযোগ উঠেছে মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ৷ যার জেরে বর্ষায় ভাঙনের আশঙ্কা করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা ৷ এই বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে, স্থানীয়রা এ বার প্রশাসনের দরজায় ৷ তবে, বহুবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ তাদের ৷ যদিও, সংবাদমাধ্যমকে মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, নদী বাঁচাতে কড়া পদক্ষেপ করা হবে ৷
চাঁচল 2 নম্বর ব্লকের চন্দ্রপাড়া পঞ্চায়েতের খানপুর গ্রাম ৷ এই গ্রামের পাশ দিয়ে বইছে মহানন্দা ৷ সেখানে দিনে-রাতে নদীর চর কেটে বালি তুলে নিচ্ছে মাফিয়ারা ৷ এর জন্য নদীর মধ্যে বাঁধ দেওয়া হয়েছে । সেই বাঁধের মধ্যে থেকে পাম্পের সাহায্যে জল বাইরে ফেলা হচ্ছে ৷ তার পর এক্সকেভেটর দিয়ে চলছে নদী থেকে বালি খননের কাজ ৷ ট্র্যাক্টরে চাপিয়ে বালি পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ৷ সবার চোখের সামনে এই ঘটনা ঘটে চললেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছে না ৷ মাফিয়াদের হাতে মরতে কে চায় ! কিন্তু প্রশাসনের মদত ছাড়া এভাবে কি দিনের পর দিন নদীর বালি চুরি করা যায় ? প্রশ্ন স্থানীয়দের ৷
আরও পড়ুন : Smugglers Arrested With Ivory : হাতির দাঁত-সহ গ্রেফতার 2 পাচারকারী
নদীপাড়ের বাসিন্দা বাচ্চু শেখ বলছেন, “দীর্ঘদিন ধরেই এই কাজ চলছে । কিছু মানুষ নদীর বুক থেকে অবৈধভাবে বালি তুলছে । এ নিয়ে প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হয়েছে ৷ কোনও কাজ হয়নি ৷ কিন্তু, যেভাবে নদী থেকে বালি তোলা হচ্ছে, তাতে বর্ষার সময় নদীর ধারের গ্রামগুলি জলে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ নদীর গতিপথও পরিবর্তন হয়ে যাবে ৷ বালি মাফিয়াদের কেউ কিছু বলতে পারে না ৷ কিছু বলতে গেলেই তারা হুমকি দেয় ।”
এ বিষয়ে চাঁচলের মহকুমাশাসক কল্লোল রায় জানান, “এ নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি ৷ সংশ্লিষ্ট ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ সবদিক দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ আমরাও এই ঘটনার উপর নজর রাখছি ।”