ETV Bharat / city

বোনফোঁটায় মেতে উঠলেন মালদা শহরের মেয়েরা

author img

By

Published : Nov 30, 2020, 10:21 PM IST

ভাইয়েদের মঙ্গল কামনায় ভাইফোঁটা দেয় বোনেরা ৷ কিন্তু বোনেদের মঙ্গল কামনা করে কোনও অনুষ্ঠান নেই ৷ আমাদের বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠান কিংবা ব্রত উদযাপনে ঈশ্বরের কাছে মেয়েরা ঘরের বাবা-দাদা-ভাই-স্বামী সবার মঙ্গল কামনা করে ৷ কিন্তু মেয়েদের জন্য় মঙ্গলকামনা করে কোনও ব্রত বা উৎসব নেই ৷ আজ এক ব্যতিক্রমী পথে হেঁটে সবার কাছে দৃষ্টান্ত রাখলেন মালদা শহরের মেয়েরা। গুরু নানকের জন্মদিনে বোনফোঁটার আয়োজনে মেতে উঠলেন তাঁরা ৷

bonfonta
বোনফোঁটায় মেতে উঠলেন মেয়েরা

মালদা, 30 নভেম্বর : গুরু নানকের জন্মদিনে বোনফোঁটার আয়োজনে মেতে উঠলেন মালদা শহরের মেয়েরা । আজ ইংরেজবাজার পৌরসভার "মালদার উঠোনে" তাঁরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তবে কোরোনা আবহে এবার এই অনুষ্ঠানে বোনেদের অংশগ্রহণ ছিল অনেকটাই কম। প্রথা মেনে রীতিমতো মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে বোনেদের দীর্ঘায়ু কামনা করে বোনেদের কপালে ফোঁটা দেন বোনেরা। আজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন পৌরসভার কাউন্সিলর ও জেলা তৃণমূলের মুখপাত্রও।


গত বছর থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন মালদা শহরের কিছু বোন। মূল ভাবনাটা এসেছিল শহরেরই বাসিন্দা সুদেষ্ণা মৈত্রের মাথায়। তিনি বলেন, "গত বছর থেকে আমরা এই আয়োজন করছি। এটা মেয়েদের মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু কামনায় মেয়েদেরই আয়োজন। আমরা চাই, এই অনুষ্ঠান দীর্ঘস্থায়ী হোক। গতবছর এখানে 40 জন মেয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। এবার কোরোনা আবহে সংখ্যাটা অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। তবে সেটাও খুব কম নয়। আসলে আমরা যদি ক্যালেন্ডার কিংবা পাঁজি দেখি, তবে দেখা যাবে, মেয়েদের মঙ্গল কামনায় মেয়েদের কোনও অনুষ্ঠান নেই। মেয়েরা স্বামী, সন্তান এবং পরিবারের জন্য নানাবিধ ব্রত উদযাপন কিংবা অনুষ্ঠান করে। কিন্তু তাদের নিজেদের জন্য কোথাও কোনও অনুষ্ঠানের উল্লেখ নেই। মেয়েরা মেয়েদের শত্রু নয়। তারা সবাই বন্ধু। এটা বোঝানোর জন্যই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন।" অনুষ্ঠানের আরেক উদ্যোক্তা মৌসুমি ঘোষ দাস বলেন, "সুদেষ্ণার জন্যই গতবছর থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে আসছে। ও যখন নিজের চিন্তাভাবনার কথা আমাদের জানায়, আমরা সবাই তাতে সায় দিই। কারণ, সত্যিই মেয়েদের মঙ্গলবকামনায় কোনওরকম উৎসব, অনুষ্ঠান কিংবা ব্রত উদযাপনের রেওয়াজ নেই। পুরুষ, স্বামী ও সন্তানের জন্য সেসব রয়েছে। তখনই আমরা নিজেদের মঙ্গল কামনায় একটি দিন একসঙ্গে কাটানোর সিদ্ধান্ত নিই। এই দিনটিতে সবাই উপোস করে, স্নান সেরে, নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী জিনিসপত্র নিয়ে এখানে চলে এসেছি। এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আমরা সবাই আনন্দিত। ফোঁটা দেওয়ার সময় আমরা মন্ত্রোচ্চারণও করেছি। সবচেয়ে বড় বিষয়, সেই মন্ত্র লিখেছেন একজন পুরুষ। তিনি রতন চক্রবর্তী। গুরু নানকের জন্মদিনে সবার ছুটি থাকে বলে আমরা এই দিনটিকেই নিজেদের জন্য বেছে নিয়েছি।"

গুরু নানকের জন্মদিনে বোনফোঁটার আয়োজন
আজ বোনেদের হাত থেকে ফোঁটা নিয়ে ইংরেজবাজার পৌরসভার বিদায় কাউন্সিলর সুমালা আগরওয়াল বলেন, "কাউন্সিলর হিসেবে নয়, বোনেদের ডাকেই আজ এখানে এসেছি। এখানে মেয়েরা মেয়েদের মঙ্গল কামনায় এই অনুষ্ঠান করছে। আমরা পরিবারের সবার জন্য বিভিন্ন লোকাচার কিংবা ব্রত উদযাপন করে থাক। ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করার সময়ও আমাদের মাথায় থাকে পরিবারের সবার মঙ্গলের কথা। কিন্তু আজ শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য মেয়েরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বিষয়টি আমার খুব ভালো লেগেছে। তাই আমিও এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি।"

মালদা, 30 নভেম্বর : গুরু নানকের জন্মদিনে বোনফোঁটার আয়োজনে মেতে উঠলেন মালদা শহরের মেয়েরা । আজ ইংরেজবাজার পৌরসভার "মালদার উঠোনে" তাঁরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তবে কোরোনা আবহে এবার এই অনুষ্ঠানে বোনেদের অংশগ্রহণ ছিল অনেকটাই কম। প্রথা মেনে রীতিমতো মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে বোনেদের দীর্ঘায়ু কামনা করে বোনেদের কপালে ফোঁটা দেন বোনেরা। আজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন পৌরসভার কাউন্সিলর ও জেলা তৃণমূলের মুখপাত্রও।


গত বছর থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন মালদা শহরের কিছু বোন। মূল ভাবনাটা এসেছিল শহরেরই বাসিন্দা সুদেষ্ণা মৈত্রের মাথায়। তিনি বলেন, "গত বছর থেকে আমরা এই আয়োজন করছি। এটা মেয়েদের মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু কামনায় মেয়েদেরই আয়োজন। আমরা চাই, এই অনুষ্ঠান দীর্ঘস্থায়ী হোক। গতবছর এখানে 40 জন মেয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। এবার কোরোনা আবহে সংখ্যাটা অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। তবে সেটাও খুব কম নয়। আসলে আমরা যদি ক্যালেন্ডার কিংবা পাঁজি দেখি, তবে দেখা যাবে, মেয়েদের মঙ্গল কামনায় মেয়েদের কোনও অনুষ্ঠান নেই। মেয়েরা স্বামী, সন্তান এবং পরিবারের জন্য নানাবিধ ব্রত উদযাপন কিংবা অনুষ্ঠান করে। কিন্তু তাদের নিজেদের জন্য কোথাও কোনও অনুষ্ঠানের উল্লেখ নেই। মেয়েরা মেয়েদের শত্রু নয়। তারা সবাই বন্ধু। এটা বোঝানোর জন্যই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন।" অনুষ্ঠানের আরেক উদ্যোক্তা মৌসুমি ঘোষ দাস বলেন, "সুদেষ্ণার জন্যই গতবছর থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে আসছে। ও যখন নিজের চিন্তাভাবনার কথা আমাদের জানায়, আমরা সবাই তাতে সায় দিই। কারণ, সত্যিই মেয়েদের মঙ্গলবকামনায় কোনওরকম উৎসব, অনুষ্ঠান কিংবা ব্রত উদযাপনের রেওয়াজ নেই। পুরুষ, স্বামী ও সন্তানের জন্য সেসব রয়েছে। তখনই আমরা নিজেদের মঙ্গল কামনায় একটি দিন একসঙ্গে কাটানোর সিদ্ধান্ত নিই। এই দিনটিতে সবাই উপোস করে, স্নান সেরে, নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী জিনিসপত্র নিয়ে এখানে চলে এসেছি। এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আমরা সবাই আনন্দিত। ফোঁটা দেওয়ার সময় আমরা মন্ত্রোচ্চারণও করেছি। সবচেয়ে বড় বিষয়, সেই মন্ত্র লিখেছেন একজন পুরুষ। তিনি রতন চক্রবর্তী। গুরু নানকের জন্মদিনে সবার ছুটি থাকে বলে আমরা এই দিনটিকেই নিজেদের জন্য বেছে নিয়েছি।"

গুরু নানকের জন্মদিনে বোনফোঁটার আয়োজন
আজ বোনেদের হাত থেকে ফোঁটা নিয়ে ইংরেজবাজার পৌরসভার বিদায় কাউন্সিলর সুমালা আগরওয়াল বলেন, "কাউন্সিলর হিসেবে নয়, বোনেদের ডাকেই আজ এখানে এসেছি। এখানে মেয়েরা মেয়েদের মঙ্গল কামনায় এই অনুষ্ঠান করছে। আমরা পরিবারের সবার জন্য বিভিন্ন লোকাচার কিংবা ব্রত উদযাপন করে থাক। ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করার সময়ও আমাদের মাথায় থাকে পরিবারের সবার মঙ্গলের কথা। কিন্তু আজ শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য মেয়েরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বিষয়টি আমার খুব ভালো লেগেছে। তাই আমিও এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.