মালদা, 12 সেপ্টেম্বর: কয়েকমাস পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ তার আগে হাই মাদ্রাসার নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা মালদার রতুয়ায় (High Madrassa election in Malda) ৷ রবিবার রতুয়া হাই মাদ্রাসা, পুখুরিয়ার রানিনগর হাই মাদ্রাসা এবং চাঁচলের বসন্তপুর হাই মাদ্রাসায় অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন ছিল ৷ নির্বাচনের পর গণনা শেষ হতেই দেখা য়ায় তিনটির মধ্যে দু'টিতে জিতেছে তৃণমূল, একটি আসন গিয়েছে সিপিএম-কংগ্রেস জোটের দখলে (TMC win 2 seats in Madrassa election) ৷ তবে প্রতিটি মাদ্রাসাতেই সন্ত্রাস, ভোট লুটের অভিযোগ উঠেছে ৷
শুধু ভোট লুটই নয়, এই হাই মাদ্রাসার নির্বাচনে বোমাবাজির অভিযোগও তুলেছেন সিপিএমের রতুয়া 1 নম্বর লোকাল কমিটির সম্পাদক নজরুল ইসলাম ৷ তিনি বলেন, "সকাল ন'টা থেকে শান্তিতেই ভোট হচ্ছিল ৷ হার অনিবার্য বুঝে তৃণমূলের কর্মীরা ভোট লুটের চেষ্টা করে ৷ স্থানীয় মানুষ তাঁদের রুখে দেয় ৷ এরপর তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীরা জেলা তৃণমূল সভাপতির ছেলে বাবু বকসির নেতৃত্বে এখানে সন্ত্রাস শুরু করে ৷ তিনটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ৷ পুলিশ সব দেখেও চোখ বন্ধ করে রাখে ৷ উলটে রতুয়া থানার আইসির উপস্থিতিতে সিভিক ভলান্টিয়াররা ছাপ্পা ভোট দিতে শুরু করে ৷ আমরা এ নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হব ৷" বসন্তপুর মাদ্রাসার টিআইসি সরিফুল ইসলাম বলেন, "এই মাদ্রাসায় সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷ ছ’টি আসনেই সিপিএম-কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন ৷"
আরও পড়ুন: পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট, তফশিলি উপজাতি মোর্চায় শূন্যপদ পূরণ বিজেপির
বিরোধীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বকসি বলেন, "কোনও মাদ্রাসার নির্বাচনেই রবিবার কোনও গোলমাল হয়নি ৷ তিনটি মাদ্রাসাতেই শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে ৷ যদি তৃণমূল গোলমালই করে, তবে বসন্তপুর মাদ্রাসায় বিরোধীরা জিতল কী করে? আসলে পায়ের তলায় মাটি নেই জেনে বিরোধীরা তৃণমূলকে যে কোনও প্রকারে বদনাম করার চেষ্টা করে ৷"