মালদা, 23 এপ্রিল : গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসবে সামিল হলেন না ইংরেজবাজারের কোতওয়ালির ধানতলা গ্রামের বাসিন্দারা । তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ না হওয়ায় ভোট বয়কটের ডাকে অনড় থাকলেন তাঁরা । মালদা শহর লাগোয়া ধানতলা গ্রামের এক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যেই রয়েছে মালদা দক্ষিণের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরির বাসভবন। গত দশ বছর ধরে বেহাল রাস্তার সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা । সাংসদ, বিধায়ক, BDO সকলের কাছেই পাকা রাস্তার জন্য আবেদন করেছেন । কিন্তু রাস্তার সমস্যার সমাধান না হওয়ায় নির্বাচন ঘোষণা হতেই ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা । রাজনৈতিক দলগুলির দেওয়াল লিখন মুছেও ভোট বয়কটের বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন দলগুলির কাছে । তারপরও ফল না মেলায় ভোটদান থেকে বিরত থাকলেন ধানতলা গ্রামের বাসিন্দারা ।
কল্যাণপুর প্রাইমারি স্কুলের 64 নম্বর বুথে কল্যাণপুর, চকবন্দী ও ধানতলা গ্রামের মোট 1104 জন ভোটার । আজ সকাল থেকেই কল্যাণপুর ও চকবন্দী গ্রামের ভোটাররা ভোট দিতে এলেও ভোটদান থেকে বিরত থেকেছেন ধানতলা গ্রামের বাসিন্দারা । এবিষয়ে গ্রামের এক ছাত্রী সানন্দা দাস বলেন, "ধানতলা গ্রামের কোনও বাসিন্দা আজ ভোট দেয়নি । আমি তো ছাত্রী । আমাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে প্রতিদিন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় । আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার দাবি করছি । ভোট এলেই প্রত্যেকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান । কিন্তু ভোট পেরোলেই আর দেখা তাঁদের দেখা মেলে না । এবার ভোট ঘোষণা হতেই আমরা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলাম । তারপরে এখানে আর কেউ প্রচারে আসেননি ।"
কল্যাণপুর প্রাইমারি স্কুলের প্রিজ়াইডিং অফিসার জানান, কল্যাণপুর প্রাইমারি স্কুলের 64 নম্বর বুথ ধানতলা, কল্যাণপুর ও চকবন্দী গ্রামের বাসিন্দাদের ভোটকেন্দ্র । এই বুথে মোট ভোটার 1104 । সকাল থেকে মোট 464 জন ভোট দিয়েছেন । যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই কল্যাণপুর ও চকবন্দী গ্রামের বাসিন্দা । ধানতলা গ্রামের মাত্র 3-4 জন ভোট দিয়েছেন ।