ETV Bharat / city

চণ্ডীপুর গ্রামে যেতে সাংসদকে বাধা পুলিশ-প্রশাসনের - গোষ্ঠী সংঘর্ষ

কোরোনা আতঙ্ক নিয়ে গত পরশু রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর 1নম্বর ব্লকের চণ্ডীপুর গ্রামের সঙ্গে মানকিবাড়ি গ্রামের একাংশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ ওই রাতে গোষ্ঠী সংঘর্ষে চণ্ডীপুরের এক চিকিৎসকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়৷ সেই ঘটনায় আক্রান্ত পরিবারের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এলাকার সাংসদ খগেন মুর্মু৷ আজ তিনি BJP-র জেলা সভাপতি সহ অন্যান্যদের নিয়ে চণ্ডীপুর গ্রামের দিকে রওনা দেন৷ কিন্তু গ্রামে ঢোকার আগেই তাঁদের পথ আটকান BDO অনির্বাণ বসু ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার IC সঞ্জয়কুমার দাস৷ তাঁরা সাংসদকে জানান, যেহেতু এই মুহূর্তে ওই এলাকা কোরোনা কনটেইনমেন্ট জোন, তাই এখন তাঁদের ওই গ্রামে যাওয়া উচিত হবে না৷ BDO এবং IC-র আবেদনে সাড়া দিয়ে সেখান থেকে ফিরে আসেন তিনি৷

chandipur village
খগেন মুর্মু
author img

By

Published : May 13, 2020, 12:28 AM IST

মালদা,12 মে : হরিশ্চন্দ্রপুরের গোষ্ঠী সংঘর্ষ হওয়া চণ্ডীপুর গ্রামে সাংসদ খগেন মুর্মুকে যেতে দিল না পুলিশ ও প্রশাসন৷ আজ মাঝ রাস্তাতেই সাংসদকে আটকে দেওয়া হয়েছে৷ যদিও এনিয়ে কোনও বিরোধিতায় যাননি খগেন মুর্মু ৷ পুলিশ ও প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে এলাকা থেকে ফিরে এসেছেন তিনি৷ তবে প্রশাসনের কাছে তাঁর আবেদন, ওই গ্রামে কিছু মানুষের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে৷ সেই ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুক প্রশাসন৷

উল্লেখ্য, কোরোনা আতঙ্ক নিয়ে গত পরশু রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর 1নম্বর ব্লকের চণ্ডীপুর গ্রামের সঙ্গে মানকিবাড়ি গ্রামের একাংশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ ওই রাতে গোষ্ঠী সংঘর্ষে চণ্ডীপুরের এক চিকিৎসকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়৷ সেই ঘটনায় আক্রান্ত পরিবারের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এলাকার সাংসদ খগেন মুর্মু৷ আজ তিনি BJP-র জেলা সভাপতি সহ অন্যান্যদের নিয়ে চণ্ডীপুর গ্রামের দিকে রওনা দেন৷ কিন্তু গ্রামে ঢোকার আগেই তাঁদের পথ আটকান BDO অনির্বাণ বসু ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার IC সঞ্জয়কুমার দাস৷ তাঁরা সাংসদকে জানান, যেহেতু এই মুহূর্তে ওই এলাকা কোরোনা কনটেইনমেন্ট জোন, তাই এখন তাঁদের ওই গ্রামে যাওয়া উচিত হবে না৷ BDO এবং IC-র আবেদনে সাড়া দিয়ে সেখান থেকে ফিরে আসেন তিনি৷
খগেনবাবু বলেন, “আজ আমরা রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামে আক্রান্তদের বাড়িতে যেতে চেয়েছিলাম৷ গত পরশু ওই গ্রামে একটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে৷ সেখানে বাড়ি ভাঙচুর করা হয়৷ আজ আমরা ওই গ্রামে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম৷ আমার সঙ্গে দলের জেলা সভাপতিও রয়েছেন৷ কিন্তু মাঝপথে আমাদের আটকে দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের আবেদন জানানো হয়, ওই এলাকা এখন কনটেইনমেন্ট জোন৷ এখন সেখানে যাওয়া ঠিক হবে না৷ কোরোনার কথা মাথায় রেখে আমরা পুলিশ ও প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে ফিরে যাচ্ছি৷ তবে আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছি, পরশু রাতের ঘটনায় যারা দোষি, তাদের বিরুদ্ধে যেন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়৷ কারণ, আমাদের দেশ ধর্মনিরপেক্ষ৷ এখানে কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেন আক্রান্ত না হয়৷”

হরিশ্চন্দ্রপুর 1-এর BDO অনির্বাণ বসু বলেন, “ওই গ্রামে একটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে৷ আজ এলাকার সাংসদ সেই গ্রামে যেতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু যেহেতু এই ব্লকে কোরোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, আমরা যেখানে রয়েছি সেই এলাকাও কনটেইনমেন্ট জোনে পড়ে, তাই এখান দিয়ে সবার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ তাই আমরা আজ সাংসদ ও তাঁর অনুগামীদের ওই গ্রামে না যাওয়ার অনুরোধ জানাই৷ তাঁদের ধন্যবাদ, তাঁরা আমাদের অনুরোধ রেখেছেন৷ তাঁদের আমি আরও বলতে চাই, ওই গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আইন রয়েছে৷ আইন আইনের পথেই চলবে৷ দোষিরা নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে৷ হরিশ্চন্দ্রপুরে পাশাপাশি বাড়িতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে৷ এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য রয়েছে৷ আমরা আশাবাদী, যে পরিস্থিতিতে অনভিপ্রেত ঘটনাটি ঘটেছে, তা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না৷”

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার IC সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, “কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে চণ্ডীপুর গ্রামে যাওয়ার রাস্তায় বটতলায় নাকা চেকপোস্ট করা হয়েছে৷ শুধুমাত্র অত্যন্ত জরুরি কারণে কাউকে ভিতরে যাওয়া কিংবা বাইরে আসার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে৷ আজ সাংসদ চণ্ডীপুর গ্রামে যাওয়ার জন্য এখানে আসলে তাঁকেও বিষয়টি জানানো হয়৷ তিনি আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে এখান থেকে চলে যান৷”

মালদা,12 মে : হরিশ্চন্দ্রপুরের গোষ্ঠী সংঘর্ষ হওয়া চণ্ডীপুর গ্রামে সাংসদ খগেন মুর্মুকে যেতে দিল না পুলিশ ও প্রশাসন৷ আজ মাঝ রাস্তাতেই সাংসদকে আটকে দেওয়া হয়েছে৷ যদিও এনিয়ে কোনও বিরোধিতায় যাননি খগেন মুর্মু ৷ পুলিশ ও প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে এলাকা থেকে ফিরে এসেছেন তিনি৷ তবে প্রশাসনের কাছে তাঁর আবেদন, ওই গ্রামে কিছু মানুষের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে৷ সেই ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুক প্রশাসন৷

উল্লেখ্য, কোরোনা আতঙ্ক নিয়ে গত পরশু রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর 1নম্বর ব্লকের চণ্ডীপুর গ্রামের সঙ্গে মানকিবাড়ি গ্রামের একাংশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ ওই রাতে গোষ্ঠী সংঘর্ষে চণ্ডীপুরের এক চিকিৎসকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়৷ সেই ঘটনায় আক্রান্ত পরিবারের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এলাকার সাংসদ খগেন মুর্মু৷ আজ তিনি BJP-র জেলা সভাপতি সহ অন্যান্যদের নিয়ে চণ্ডীপুর গ্রামের দিকে রওনা দেন৷ কিন্তু গ্রামে ঢোকার আগেই তাঁদের পথ আটকান BDO অনির্বাণ বসু ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার IC সঞ্জয়কুমার দাস৷ তাঁরা সাংসদকে জানান, যেহেতু এই মুহূর্তে ওই এলাকা কোরোনা কনটেইনমেন্ট জোন, তাই এখন তাঁদের ওই গ্রামে যাওয়া উচিত হবে না৷ BDO এবং IC-র আবেদনে সাড়া দিয়ে সেখান থেকে ফিরে আসেন তিনি৷
খগেনবাবু বলেন, “আজ আমরা রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামে আক্রান্তদের বাড়িতে যেতে চেয়েছিলাম৷ গত পরশু ওই গ্রামে একটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে৷ সেখানে বাড়ি ভাঙচুর করা হয়৷ আজ আমরা ওই গ্রামে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম৷ আমার সঙ্গে দলের জেলা সভাপতিও রয়েছেন৷ কিন্তু মাঝপথে আমাদের আটকে দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের আবেদন জানানো হয়, ওই এলাকা এখন কনটেইনমেন্ট জোন৷ এখন সেখানে যাওয়া ঠিক হবে না৷ কোরোনার কথা মাথায় রেখে আমরা পুলিশ ও প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে ফিরে যাচ্ছি৷ তবে আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছি, পরশু রাতের ঘটনায় যারা দোষি, তাদের বিরুদ্ধে যেন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়৷ কারণ, আমাদের দেশ ধর্মনিরপেক্ষ৷ এখানে কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেন আক্রান্ত না হয়৷”

হরিশ্চন্দ্রপুর 1-এর BDO অনির্বাণ বসু বলেন, “ওই গ্রামে একটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে৷ আজ এলাকার সাংসদ সেই গ্রামে যেতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু যেহেতু এই ব্লকে কোরোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, আমরা যেখানে রয়েছি সেই এলাকাও কনটেইনমেন্ট জোনে পড়ে, তাই এখান দিয়ে সবার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ তাই আমরা আজ সাংসদ ও তাঁর অনুগামীদের ওই গ্রামে না যাওয়ার অনুরোধ জানাই৷ তাঁদের ধন্যবাদ, তাঁরা আমাদের অনুরোধ রেখেছেন৷ তাঁদের আমি আরও বলতে চাই, ওই গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আইন রয়েছে৷ আইন আইনের পথেই চলবে৷ দোষিরা নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে৷ হরিশ্চন্দ্রপুরে পাশাপাশি বাড়িতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে৷ এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য রয়েছে৷ আমরা আশাবাদী, যে পরিস্থিতিতে অনভিপ্রেত ঘটনাটি ঘটেছে, তা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না৷”

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার IC সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, “কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে চণ্ডীপুর গ্রামে যাওয়ার রাস্তায় বটতলায় নাকা চেকপোস্ট করা হয়েছে৷ শুধুমাত্র অত্যন্ত জরুরি কারণে কাউকে ভিতরে যাওয়া কিংবা বাইরে আসার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে৷ আজ সাংসদ চণ্ডীপুর গ্রামে যাওয়ার জন্য এখানে আসলে তাঁকেও বিষয়টি জানানো হয়৷ তিনি আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে এখান থেকে চলে যান৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.