মালদা, 22 সেপ্টেম্বর: প্রসূতিদের সুরক্ষায় রাজ্য সরকার একাধিক প্রকল্প এনেছে ৷ তার মধ্যেও ঘটেছে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা (Woman Dies of Excessive Bleeding After Childbirth in Malda)৷ চিকিৎসায় গাফিলতিতেই মৃত্যু প্রসূতির অভিযোগ মৃতের পরিবারের ৷ মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে মালদা মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে ৷
পরিবার সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম লক্ষ্মী মণ্ডল (23)। বাড়ি ভূতনির নন্দীটোলায় । স্বামী তন্ময় মণ্ডল পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার । বছর চারেক আগে লক্ষ্মীদেবীর সঙ্গে বিয়ে হয় তন্ময় মণ্ডলের। গতকাল রাত ন‘টা নাগাদ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে লক্ষ্মীদেবী মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি হন। অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতির পর লক্ষ্মীদেবীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলেও কোনও চিকিৎসক তাঁকে দেখতে আসেননি ৷ এরপরই রাত দুটো নাগাদ একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন লক্ষ্মীদেবী । সন্তান প্রসবের পরও রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না লক্ষ্মীদেবীর। রোগীর পরিবারের লোকজন নার্সদের বিষয়টি জানালেও কেউ আসেনি চিকিৎসার জন্য ৷ বৃহস্পতিবার সাকালে চিকিৎসক ওই রোগীকে চিকিৎসা করতে এসে রক্ত জোগাড়ের নির্দেশ দেন ৷ তবে পরিবারের লোকজন রক্ত জোগাড় করে নিয়ে আসার আগেই প্রাণ হারান লক্ষ্মীদেবী ৷
মৃত লক্ষ্মীদেবীর স্বামী তন্ময় মণ্ডল বলেন, ‘‘রাত 9টা নাগাদ স্ত্রীকে মালদা মেডিক্যালে ভরতি করি ৷ তার পর থেকেই স্ত্রী প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। আমরা নার্সদের কাছে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি চাই। কিন্তু আমাদের সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসকের কথা বললে, চিকিৎসক আসছেন বলে জানান নার্সরা। রাত দুটো নাগাদ স্ত্রী পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এরপরে স্ত্রী ছোটো একটা অপারেশন হয় বলে জানতে পেরেছি। তারপর থেকে স্ত্রীর রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। আজ সকালেই মৃত্যু হয়েছে স্ত্রী'র ৷’’
আরও পড়ুন: দেশে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ! নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিল মালদা মেডিক্যাল
ইতি মধ্যেই সমস্ত বিষয়টি মেডিক্যাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে পরিবারে পক্ষ থেকে ৷ সে কথা উল্লেখ করে মালদা মেডিক্যালের সুপার পূরঞ্জয় সাহা বলেন, "সবেমাত্র অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, সন্তান প্রসবের পর ওই মহিলার রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সেই কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"