ETV Bharat / city

মণিপুর থেকে ইয়াবা পাচারচক্রের পরদা ফাঁস, গ্রেপ্তার 2 - ড্রাগ পাচারের খবর বাংলায়

STF সূত্রে খবর, আগের ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, একটি বিশেষ গাড়িতে করেই পাচার করা হত ইয়াবা । গতকাল দুপুরে ডাফরিন রোডে আটক করা হয় পিছনে নম্বর প্লেটহীন গাড়িটি । সেই গাড়িতে ছিল মণিপুরের আব্বাস খান এবং জিয়াউর রহমান । আব্বাস খান গাড়ি চালাচ্ছিল । গাড়িতে তল্লাশি চালাতে উদ্ধার হয় 50 হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট । ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।

উদ্ধার হওয়া ইয়াবা
author img

By

Published : Oct 20, 2019, 1:37 PM IST

Updated : Oct 20, 2019, 2:45 PM IST

কলকাতা, 20 অক্টোবর : গাঁজা নয় । উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর থেকে শহরে ঢুকেছে ইয়াবা ৷ হাতেনাতে তার প্রমাণ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) । অবশেষে পরদা ফাঁস হল চক্রের । গ্রেপ্তার করা হল দু'জনকে ৷


মণিপুর থেকে এই রাজ্যে ইয়াবা পাচারচক্র । 13 অক্টোবর চিংড়িঘাটা এলাকা থেকে পাকড়াও করা হয়েছিল তিনজনকে । তারা ইয়াবা তুলে দিচ্ছিল উত্তর 24 পরগনার বাসিন্দা দুই যুবকের হাতে । গোয়েন্দাদের তখনই তৈরি হয়েছিল সন্দেহ । চক্রের জাল আরও বড় । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবার আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ।

STF সূত্রে খবর, আগের ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, একটি বিশেষ গাড়িতে করেই পাচার করা হত ইয়াবা । গতকাল দুপুরে ডাফরিন রোডে আটক করা হয় পিছনে নম্বর প্লেটহীন গাড়িটি । সেই গাড়িতে ছিল মণিপুরের আব্বাস খান এবং জিয়াউর রহমান । আব্বাস খান গাড়ি চালাচ্ছিল । গাড়িতে তল্লাশি চালাতে উদ্ধার হয় 50 হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট । ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।

kolkata
গ্রেপ্তার দুই ধৃত

সাধারণভাবে থাইল্যান্ড এবং মায়ানমার থেকে আসে পার্টি ড্রাগ ইয়াবা । সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা বলছে মায়ানমার থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি দিয়ে কলকাতায় আসছে পার্টি ড্রাগ । কখনও তা ব্যবহার করা হচ্ছে এই শহরেই । কখনও আবার তা চলে যাচ্ছে পড়শি দেশ বাংলাদেশে ।

13 অক্টোবর দুপুরে চিংড়িঘাটা ক্রসিংয়ের কাছে সাউথ ক্যানাল রোডে হাত বদল হচ্ছিল মাদক । গোপন সূত্রে খবর পান কলকাতা পুলিশের টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা । হাত বদলের সময়েই হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে । তাদের একজন মণিপুরের বাসিন্দা । নাম মহম্মদ আলি আহমেদ । আলি 60 হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট তুলে দিচ্ছিল বসিরহাটের বাসিন্দা বাকি বিল্লা গাজি এবং স্বরূপনগরের বাসিন্দা আকরামুল গাজির হাতে । যার বাজারমূল্য প্রায় 50 লাখ টাকা । এ রাজ্যের দু'জনই সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন, ওই মাদক চলে যেত বাংলাদেশে । উল্লেখ্য শেষ কয়েক দিনে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর ইয়াবা ট্যাবলেট । গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ইয়াবা পাচার বন্ধে পড়া পদক্ষেপ করেছে বাংলাদেশ প্রশাসন । সেই সূত্রেই উত্তর-পূর্ব ভারতে ঢুকছে মাদক । তারপর ঘুরপথে তা যাচ্ছে বাংলাদেশে ।

kolkata
নম্বরবিহীন এই গাড়িতেই চলত পাচার

ইয়াবার উৎপত্তিস্থান থাইল্যান্ড । বাংলাদেশের বহু যুবক এই ট্যাবলেটের নেশায় পড়ে প্রায় সর্বস্বান্ত । কলকাতাতেও ব্যবহার হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে । পুলিশ জানাচ্ছে, এই ট্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন এবং ক্যাফেইনের মিশ্রণে । ইদানিং নাকি আবার এর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে হেরোইন । মূলত এটি ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা হয় । কখনও আবার এটি ব্রাউন সুগার কিংবা হেরোইনে ইনহেল করা হয় । থাইল্যান্ডের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে মায়ানমারে ।

কলকাতা, 20 অক্টোবর : গাঁজা নয় । উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর থেকে শহরে ঢুকেছে ইয়াবা ৷ হাতেনাতে তার প্রমাণ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) । অবশেষে পরদা ফাঁস হল চক্রের । গ্রেপ্তার করা হল দু'জনকে ৷


মণিপুর থেকে এই রাজ্যে ইয়াবা পাচারচক্র । 13 অক্টোবর চিংড়িঘাটা এলাকা থেকে পাকড়াও করা হয়েছিল তিনজনকে । তারা ইয়াবা তুলে দিচ্ছিল উত্তর 24 পরগনার বাসিন্দা দুই যুবকের হাতে । গোয়েন্দাদের তখনই তৈরি হয়েছিল সন্দেহ । চক্রের জাল আরও বড় । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবার আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ।

STF সূত্রে খবর, আগের ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, একটি বিশেষ গাড়িতে করেই পাচার করা হত ইয়াবা । গতকাল দুপুরে ডাফরিন রোডে আটক করা হয় পিছনে নম্বর প্লেটহীন গাড়িটি । সেই গাড়িতে ছিল মণিপুরের আব্বাস খান এবং জিয়াউর রহমান । আব্বাস খান গাড়ি চালাচ্ছিল । গাড়িতে তল্লাশি চালাতে উদ্ধার হয় 50 হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট । ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।

kolkata
গ্রেপ্তার দুই ধৃত

সাধারণভাবে থাইল্যান্ড এবং মায়ানমার থেকে আসে পার্টি ড্রাগ ইয়াবা । সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা বলছে মায়ানমার থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি দিয়ে কলকাতায় আসছে পার্টি ড্রাগ । কখনও তা ব্যবহার করা হচ্ছে এই শহরেই । কখনও আবার তা চলে যাচ্ছে পড়শি দেশ বাংলাদেশে ।

13 অক্টোবর দুপুরে চিংড়িঘাটা ক্রসিংয়ের কাছে সাউথ ক্যানাল রোডে হাত বদল হচ্ছিল মাদক । গোপন সূত্রে খবর পান কলকাতা পুলিশের টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা । হাত বদলের সময়েই হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে । তাদের একজন মণিপুরের বাসিন্দা । নাম মহম্মদ আলি আহমেদ । আলি 60 হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট তুলে দিচ্ছিল বসিরহাটের বাসিন্দা বাকি বিল্লা গাজি এবং স্বরূপনগরের বাসিন্দা আকরামুল গাজির হাতে । যার বাজারমূল্য প্রায় 50 লাখ টাকা । এ রাজ্যের দু'জনই সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন, ওই মাদক চলে যেত বাংলাদেশে । উল্লেখ্য শেষ কয়েক দিনে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর ইয়াবা ট্যাবলেট । গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ইয়াবা পাচার বন্ধে পড়া পদক্ষেপ করেছে বাংলাদেশ প্রশাসন । সেই সূত্রেই উত্তর-পূর্ব ভারতে ঢুকছে মাদক । তারপর ঘুরপথে তা যাচ্ছে বাংলাদেশে ।

kolkata
নম্বরবিহীন এই গাড়িতেই চলত পাচার

ইয়াবার উৎপত্তিস্থান থাইল্যান্ড । বাংলাদেশের বহু যুবক এই ট্যাবলেটের নেশায় পড়ে প্রায় সর্বস্বান্ত । কলকাতাতেও ব্যবহার হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে । পুলিশ জানাচ্ছে, এই ট্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন এবং ক্যাফেইনের মিশ্রণে । ইদানিং নাকি আবার এর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে হেরোইন । মূলত এটি ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা হয় । কখনও আবার এটি ব্রাউন সুগার কিংবা হেরোইনে ইনহেল করা হয় । থাইল্যান্ডের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে মায়ানমারে ।

Intro:কলকাতা, ২০ অক্টোবর: গাঁজা নয়। উত্তর-পূর্বের রাজ্য মনিপুর থেকে শহরে ঢুকেছে ইয়াবা! হাতেনাতে তার প্রমাণ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। অবশেষে পর্দা ফাঁস হল পুরো চক্রের। মনিপুর থেকে এই রাজ্যে ইয়াবা পাচার চক্র। গত 13 অক্টোবর চিংড়িঘাটা এলাকা থেকে পাকড়াও করা হয়েছিল তিনজনকে। 8 মিরপুরের বাসিন্দা ইয়াবা তুলে দিচ্ছিল দুই উত্তর 24 পরগনার বাসিন্দাকে। গোয়েন্দাদের তখনই তৈরি হয়েছিল সন্দেহ। চক্রের জাল আরও বড়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবার আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। Body:STF সূত্রে খবর, আগে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, একটি বিশেষ গাড়িতে করেই পাচার করা হতো ইয়াবা। গতকাল দুপুরে ডাফরিন রোডে আটক করা হয় পিছনে নম্বর প্লেট হীন সেই গাড়িটি। সেই গাড়িতে ছিল মণিপুরের আব্বাস খান এবং জিয়াউর রহমান। আব্বাস খান গাড়ি চালাচ্ছিল। গাড়িতে তল্লাশি চালাতে উদ্ধার হয় ৫০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট। ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সাধারণভাবে থাইল্যান্ড এবং মায়ানমার থেকে আসে পার্টি ড্রাগ ইয়াবা। সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা বলছে মায়ানমার থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি দিয়ে কলকাতায় আসছে পার্টি ড্রাগ। কখনো তা ব্যবহার করা হচ্ছে এই শহরেই। কখনো আবার তা চলে যাচ্ছে পড়শি দেশ বাংলাদেশে।

13 অক্টোবর দুপুরে চিংড়িঘাটা ক্রসিংয়ের কাছে সাউথ ক্যানাল রোডে হাত বদল হচ্ছিল মাদক। গোপন সূত্রে খবর পায় কলকাতা পুলিশের টাস্কফোর্সের গোয়েন্দারা। হাত বদলের সময়েই হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় তিন জনকে। তাদের একজন মনিপুরের বাসিন্দা। নাম মহম্মদ আলি আহমেদ। আলি 60000 ইয়াবা ট্যাবলেট তুলে দিচ্ছিল বসিরহাটের বাসিন্দা বাকি বিল্লা গাজি এবং স্বরূপনগরের বাসিন্দা আকরামুল গাজির হাতে। যার বাজার মূল্য প্রায় 50 লাখ টাকা। এ রাজ্যের দুজনই সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা বলে গোয়েন্দারা মনে করছে ওই মাদক চলে যেত বাংলাদেশে। উল্লেখ্য শেষ কয়েক দিনে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর ইয়াবা ট্যাবলেট। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ইয়াবা পাচার তাই বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসন। সেই সূত্রেই উত্তর-পূর্ব ভারতে ঢুকছে মাদক। তারপর ঘুরপথে তা যাচ্ছে বাংলাদেশে।
Conclusion:ইয়াবার উৎপত্তিস্থল থাইল্যান্ড। বাংলাদেশের বহু যুবক এই ট্যাবলেট এর নেশায় পড়ে প্রায় সর্বস্বান্ত। সে দিক থেকে কলকাতাতেও আসছে এই মাদক। ব্যবহার হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে। পুলিশ জানাচ্ছে, এই ট্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন এবং ক্যাফেইনের মিশ্রনে। ইদানিং নাকি আবার এর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে হেরোইন। মূলত এটি ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কখনো আবার এটি ব্রাউন সুগার কিংবা হেরোইনের ইনহেল করা হয়। থাইল্যান্ডের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে মায়ানমারে। সেখান থেকেই ঢুকছে বাংলাদেশ। তারপর সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসছে কলকাতায়। সম্প্রতি কলকাতায় পার্টি ড্রাগ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই ইয়াবা। ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে।
Last Updated : Oct 20, 2019, 2:45 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.