কলকাতা, 21 মে: দুর্যোগ কাটিয়ে কাজ শুরু করে দিল কলকাতা ও হলদিয়া বন্দর। আজ কলকাতা এবং হলদিয়া বন্দর থেকে পণ্যবাহী 3 টি ভেসেল রওনা দেয়। পোর্ট ট্রাস্ট সূত্রে এমনটাই খবর। তবে কার্গো অপারেশন সম্পূর্ণভাবে শুরু করা যায়নি। যেহেতু উভয় বন্দর এলাকাতেই ঝড়ে বহু গাছ রাস্তায় পড়ে যায়। ফলে, বন্দরে ট্রাকগুলি ঢুকতে পারছে না আপাতত, খালি করা যাচ্ছে না ওয়াগনগুলিও।
আবহাওয়া দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী আমফানের আগেভাগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার পোর্টট্রাস্টে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। তারপরই ঝড়ের দাপট থেকে বাঁচতে নেওয়া হয় একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত। কলকাতা এবং হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সের যাতে কোনওরকম ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করা হয়। সাগর এবং ডায়মন্ডহারবারের সমস্ত কার্গো হ্যান্ডলিং অপারেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। বার্জগুলিকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দেওয়া হয়। হলদিয়া এবং বজবজের অয়েল জেটিগুলিতে কোনও জাহাজ নোঙর করতে দেওয়া হয়নি মঙ্গলবার থেকেই। দুটি জাহাজকে হলদিয়া বন্দরের ভেতরে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়। পাশাপাশি মা গঙ্গার মতো পাইলট ভেসেল এবং 4 টি পাইলট লঞ্চকেও হলদিয়া বন্দরের ভেতরে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়। বন্দরে নোঙর করা সবকটি ভেসেলকে অতিরিক্ত দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। সাগর এবং হলদিয়াতে কন্ট্রোল রুম থেকে দুর্যোগের সময় নজরদারি চালায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এইসব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ফলেই বড়সড় ক্ষতি হয়নি বলেই জানাচ্ছে পোর্টট্রাস্ট।
তথাপি বজবজ ও কুকড়াহাটির জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া হলদিয়া পোর্ট কলোনিতে ঝড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হলদিয়াতে 9 নম্বর বার্থের সেট এবং 5 নম্বর বার্থের টিপ্লার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হলদিয়া পোর্ট কলোনিতে প্রায় 1 হাজার গাছ পড়ে যাওয়ায় জায়গাটি রীতিমতো ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। অন্যদিকে সাগরে ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের তার ছিড়ে ক্ষতি হয়েছে। তবে, বড়সড় ক্ষতি এড়াতে পারায় খুশি বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, আজ দুপুরেই ফের সচল হল বন্দর। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে 12 টা নাগাদ কলকাতা থেকে রওনা দেয় একটি মার্চেন্ট ভেসেল। বিকেলের জোয়ারকে কাজে লাগিয়ে হলদিয়া থেকে রওনা দিয়েছে আরও 2টি ভেসেল। তবে কার্গো অপারেশন পুরোপুরি শুরু হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।