কলকাতা, 30 জুন : স্বামী এবং মেয়ের সঙ্গে ছুটির দিনে যাচ্ছিলেন আত্মীয়ের বাড়ি । উঠেছিলেন ধুলাগড়- শিয়ালদা রুটের একটি বাসে । হঠাৎই দু'জন যুবক উত্যক্ত করতে শুরু করে যুবতিকে । অভিযোগ ওঠে শ্লীলতাহানির । খবর পৌঁছায় কলকাতা পুলিশে । ট্রাফিক পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে শিয়ালদা NRS-এর সামনে বাসটি থামিয়ে আটক করে একজনকে । অন্যজন যদিও পলাতক ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবতি থাকেন হাওড়ার বাকসারা এলাকায় । বাসটিতে আগে থেকেই ওই দু'জন ছিল । যুবতির অভিযোগ, বাসে ওঠার পর থেকেই তারা তাঁর দিকে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে । ইশারা ছিল অশালীন । কিছুক্ষণ পর শুরু হয় কটূক্তি । প্রতিবাদ করেন ওই যুবতি এবং তাঁর স্বামী । এবার মেয়ের সামনেই যুবতিকে শ্লীলতাহানি করা হয় । বাসে উপস্থিত প্রায় কেউই ঘটনার প্রতিবাদ করেনি বলে দাবি যুবতির । তবে বাস থেকেই তিনি ফোন করেন কলকাতা পুলিশের হেল্পলাইন নম্বর 100- তে । সকাল 10টা নাগাদ বাসটি ওয়েলিংটনে পৌঁছতেই পুলিশ বাসটিকে ধাওয়া করতে শুরু করে । পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় শিয়ালদা ট্রাফিক গার্ডে ।
পুলিশ সূত্রে খবর, 10টা 55 মিনিট নাগাদ NRS-এর সামনে কর্তব্যরত ট্রাফিক অফিসার বাসটিকে থামান । বাসে উঠে সার্চ করতেই চিহ্নিত হয় অভিযুক্ত । তার নাম মহম্মদ খান । 24 বছরের ওই যুবক উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়ার বাসিন্দা । এরপর কর্তব্যরত ট্রাফিক অফিসার তাকে আটক করেন । মহম্মদ খানের সঙ্গী পালিয়ে যায় । কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থানে আসে মুচিপাড়া থানার পুলিশ । পরে ওই যুবতির অভিযোগের ভিত্তিতে মহম্মদ খানকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
প্রসঙ্গত, উষসী সেনগুপ্ত হেনস্থার ঘটনার পর কলকাতা পুলিশ জানিয়েছিল, প্রয়োজনে ট্রাফিক পুলিশও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে সাহায্য করবে । বক্সার সুমন কুমারীর ক্ষেত্রে সেই নির্দেশ পালন না হলেও, আজ সকালে অভিযোগ পাওয়ার মাত্র সাত মিনিটের মধ্যে ট্রাফিক পুলিশের সাহায্য নিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয় ।