কলকাতা, 30 মে : প্রথম পক্ষের সন্তানকে কাছে রাখা নিয়ে দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর সঙ্গে গন্ডগোল ও সম্পর্কের অবনতি । আর সেই মনোমালিন্যের জেরেই কি আত্মঘাতী হলেন মহিলা ? এরকমই অনেক প্রশ্ন উঠছে গড়ফার অভিজাতও আবাসন থেকে উদ্ধার হওয়া মহিলার মৃতদেহকে ঘিরে ৷
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে গড়ফা থানা এলাকার সোনালী পার্কের একটি অভিজাতও আবাসনের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় লিজা মারি নামে এক মহিলার মৃতদেহ (Woman body recovered from Garfa Flat)। রাতেই উদ্ধার হওয়া লিজার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় । ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পর এই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
তবে মৃত মহিলার স্বামী সনু পন্ডিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, লিজার দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী তিনি । লিজার প্রথম পক্ষের স্বামী বেঙ্গালুরুতে কর্মরত । কিন্তু লিজার প্রথম পক্ষের সন্তান মাঝেমধ্যেই তাঁর দ্বিতীয় স্বামী সনু পন্ডিতের গড়ফার ফ্ল্যাটে আসত । এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সনু এবং লিজা মারির মধ্যে গন্ডগোল চলছিল । ইদানিং লিজা মারি তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তানকে নিজের সঙ্গে রাখতে চাইছিলেন । অভিযোগ এরপরেই তাদের পারিবারিক কলহ বাড়তে থাকে । তারপরই রাতে গড়ফা থানা এলাকার আবাসনের ভেতর থেকে রহস্যভাবে লিজা মারির মৃতদেহ উদ্ধার হয় (Woman Death in Garfa)।
আরো পড়ুন : Model Mysterious Death : বান্ধবীকে ‘লাভ ইউ বউ’ ! সমকামিতাই কি বিদিশার মৃত্যুর কারণ ?
পুলিশ সূত্রের খবর, দেহটি প্রথম দেখতে পান তাঁর স্বামী সনু পন্ডিত । তিনি খবর দেন স্থানীয় গড়ফা থানায় । ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ।