কলকাতা, 7 জুলাই : সাংসদ থেকে মন্ত্রী ৷ গেরুয়া শিবিরে পদোন্নতি চিকিৎসক সুভাষ সরকারের ৷ বঙ্গ-বিজেপির অন্দরে যিনি ডাক্তারবাবু হিসেবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ৷ বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রী পরিষদের রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তিনি ৷
যদিও 2019 সালে যখন তিনি বাঁকুড়ার সাংসদ হন, তখনই মন্ত্রিত্বে তাঁর অন্তর্ভুক্তির কথা শোনা গিয়েছিল ৷ কিন্তু সেবার তাঁকে মন্ত্রী করা হয়নি ৷ তার পর যতবার মোদি মন্ত্রিসভার রদবদলের খবর সামনে এসেছে, ততবারই তাঁর নাম শোনা গিয়েছে ৷ তাঁকে মন্ত্রী করা হতে পারে বলে খবর শোনা গিয়েছে ৷ যা বুধবার সন্ধ্যায় বাস্তবায়িত হল ৷
আরও পড়ুন : বাংলা থেকে 4 , ত্রিপুরা থেকে প্রথম, মোদির মন্ত্রিসভায় তারুণ্যে জোর
2014 সাল থেকে বাংলা জন্য দু’টি জায়গা ছিল মোদির মন্ত্রিসভায় ৷ আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় টানা ছ’বছর মন্ত্রী থেকে আজ ইস্তফা দিয়েছেন ৷ মোদি জমানার প্রথম অর্ধে রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন দার্জিলিং তৎকালীন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া ৷ 2019 সালে মন্ত্রী করা হয় রায়গঞ্জ থেকে জয়ী দেবশ্রী চৌধুরীকে ৷ তিনিও আজ ইস্তফা দিয়েছেন ৷
কিন্তু এবার বাংলা থেকে চারজন সাংসদকে মন্ত্রী পরিষদে জায়গা দিলেন নরেন্দ্র মোদি ৷ যে চারজন জায়গা পেলেন, সেই চারজনই নিজেদের এলাকায় বিধানসভায় ভালো ফল দিয়েছেন ৷ কিন্তু সুভাষ সরকারের অন্তর্ভুক্তিতে অন্য তাৎপর্য রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷
আরও পড়ুন : বাংলার সরোবরে ফুটে ওঠার আগেই কি শুকিয়ে যাবে পদ্মের পাপড়ি ?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, শুধু বাঁকুড়া নয় সুভাষ সরকারকে মন্ত্রী করে কার্যত গোটা জঙ্গলমহলকেই বার্তা দিতে চেয়েছে বিজেপি ৷ কারণ, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলের চারটি আসনেই (পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও ঝাড়গ্রাম) জেতে বিজেপি ৷ কিন্তু সেই অনুযায়ী, এবার জঙ্গলমহলে ভালো ফল করতে পারেনি বিজেপি ৷ তাই আগামী লোকসভা ভোটে ওই অঞ্চলে সাফল্য ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি ৷
আর এই কাজের জন্য ‘ডাক্তারবাবু’-কেই সবচেয়ে যোগ্য বলে মনে করেছে বিজেপি ৷ রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, ডাক্তারবাবু দীর্ঘদিনের রাজনীতিক ৷ সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবেই পরিচিত ৷ তাছাড়া কখনও তিনি কোনও বিতর্কে থাকেন না ৷ তাই তাঁকে সামনে রেখে 2024 সালেও জঙ্গলমহলে ভালো ফলের অঙ্ক কষছে বিজেপি ৷
আরও পড়ুন : দুপুরের বিপ্লব সন্ধ্যায় শেষ, ইস্তফা প্রত্যাহার সৌমিত্রর