ETV Bharat / city

Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় রাজ্য পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশের আর্জি, সরকারের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

author img

By

Published : Sep 27, 2022, 2:35 PM IST

গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) রাজ্য পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে (Calcutta High Court)৷ এই মামলায় রাজ্যের হলফনামা তলব করেছে আদালত (PIL filed in Calcutta High Court)৷

why-state-will-investigate-cattle-smuggling-case-pil-filed-in-calcutta-high-court
গরু পাচার মামলায় রাজ্য পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশের আর্জি, সরকারের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

কলকাতা, 27 সেপ্টেম্বর: গরু পাচার সংক্রান্ত মামলায় (Cattle Smuggling Case) কেন রাজ্য তদন্ত করবে ? এই প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে । এই মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন রাজ্যকে তাদের বক্তব্য তিন সপ্তাহের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে (PIL filed in Calcutta High Court)।

গরু পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে যেখানে সিবিআই তদন্ত করছে, সেখানে কেন ফের আলাদা করে রাজ্য পুলিশ তদন্ত করবে, সেই প্রশ্ন তুলে মামলা করেছিলেন সুমন শংকর চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি । এ দিন মামলাকারীর হয়ে আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, "রাজ্য পুলিশের থেকে সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত নিয়ে যেতে চাইছি । কারণ সিবিআই ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত করছে । সীমান্ত এলাকায় গরু পাচার এবং রাজস্ব সংক্রান্ত অন্য আরও একটি কারণে এফআইআর দায়ের করা হয় । তার ভিত্তিতে বিএসএফের একজন আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে । সিবিআই অনেক আগে থেকেই সীমান্ত এলাকায় এই ব্যাপারে তদন্ত করছে । রাজ্যের তদন্তের এক্তিয়ার নেই ।"

তাঁর যুক্তি, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে চলতি বছরের 10 জুন গ্রেফতার করা হয় । পুরনো একটি মামলায় রাজ্য এই ঘটনায় তদন্ত করে 2019 সালেই চার্জশিট দিয়ে দেয় । কিন্তু সেই মামলা ফের 12 জুলাই নতুন করে উত্থাপন করা হয়েছে । সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করার পর রাজ্য 10 জুলাই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানায় এই মামলায় ফের তদন্তের জন্য । অথচ আগে চার্জশিটে পরবর্তী তদন্তের আর্জি ছিল না । সিবিআই দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত করছে । পরবর্তী তদন্তের দরকার হলে সিবিআই করতে পারে । কেন রাজ্য পুলিশ হঠাৎ সক্রিয় হল ?

আরও পড়ুন: সায়গলকে ইডি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন গৃহীত হল না সিবিআই আদালতে

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (এজি) বলেন, 2019 সালের 24 নভেম্বর বিএসএফের এফআইআর-এর ভিত্তিতেই রাজ্য তদন্ত শুরু করেছিল । এতদিন পরে কেন এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা ? এখানে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়া উচিত নয় ।

সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, এনামুল হক নামে গরুপাচার চক্রের মাথাকে গ্রেফতার করার পর সিবিআই জানতে পারে মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলায় এই চক্র অত্যন্ত সক্রিয় । এই ধরনের সীমান্তবর্তী এলাকায় সিবিআই তদন্ত করছে কারণ এর সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে । রাজ্যই সুপ্রিম কোর্টের একটা মামলায় বলেছে, সিবিআই এই ব্যাপারে কিছু করছে না ।

আইনজীবী জয়দীপ কর ফের বলেন, "তদন্ত স্থগিত রাখার কোনও আর্জি আমরা জানাচ্ছি না । আমরা চাই তদন্ত সিবিআই করছিল করুক । এই এলাকাটা কেন্দ্রীয় এলাকা । যদি এখানে গরু পাচারের বিষয়ে তদন্ত করা হয়, তাহলে সিবিআই সেটা করছে ।"

দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ 3 সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ 14 নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ।

কলকাতা, 27 সেপ্টেম্বর: গরু পাচার সংক্রান্ত মামলায় (Cattle Smuggling Case) কেন রাজ্য তদন্ত করবে ? এই প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে । এই মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন রাজ্যকে তাদের বক্তব্য তিন সপ্তাহের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে (PIL filed in Calcutta High Court)।

গরু পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে যেখানে সিবিআই তদন্ত করছে, সেখানে কেন ফের আলাদা করে রাজ্য পুলিশ তদন্ত করবে, সেই প্রশ্ন তুলে মামলা করেছিলেন সুমন শংকর চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি । এ দিন মামলাকারীর হয়ে আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, "রাজ্য পুলিশের থেকে সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত নিয়ে যেতে চাইছি । কারণ সিবিআই ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত করছে । সীমান্ত এলাকায় গরু পাচার এবং রাজস্ব সংক্রান্ত অন্য আরও একটি কারণে এফআইআর দায়ের করা হয় । তার ভিত্তিতে বিএসএফের একজন আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে । সিবিআই অনেক আগে থেকেই সীমান্ত এলাকায় এই ব্যাপারে তদন্ত করছে । রাজ্যের তদন্তের এক্তিয়ার নেই ।"

তাঁর যুক্তি, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে চলতি বছরের 10 জুন গ্রেফতার করা হয় । পুরনো একটি মামলায় রাজ্য এই ঘটনায় তদন্ত করে 2019 সালেই চার্জশিট দিয়ে দেয় । কিন্তু সেই মামলা ফের 12 জুলাই নতুন করে উত্থাপন করা হয়েছে । সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করার পর রাজ্য 10 জুলাই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানায় এই মামলায় ফের তদন্তের জন্য । অথচ আগে চার্জশিটে পরবর্তী তদন্তের আর্জি ছিল না । সিবিআই দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত করছে । পরবর্তী তদন্তের দরকার হলে সিবিআই করতে পারে । কেন রাজ্য পুলিশ হঠাৎ সক্রিয় হল ?

আরও পড়ুন: সায়গলকে ইডি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন গৃহীত হল না সিবিআই আদালতে

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (এজি) বলেন, 2019 সালের 24 নভেম্বর বিএসএফের এফআইআর-এর ভিত্তিতেই রাজ্য তদন্ত শুরু করেছিল । এতদিন পরে কেন এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা ? এখানে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়া উচিত নয় ।

সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, এনামুল হক নামে গরুপাচার চক্রের মাথাকে গ্রেফতার করার পর সিবিআই জানতে পারে মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলায় এই চক্র অত্যন্ত সক্রিয় । এই ধরনের সীমান্তবর্তী এলাকায় সিবিআই তদন্ত করছে কারণ এর সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে । রাজ্যই সুপ্রিম কোর্টের একটা মামলায় বলেছে, সিবিআই এই ব্যাপারে কিছু করছে না ।

আইনজীবী জয়দীপ কর ফের বলেন, "তদন্ত স্থগিত রাখার কোনও আর্জি আমরা জানাচ্ছি না । আমরা চাই তদন্ত সিবিআই করছিল করুক । এই এলাকাটা কেন্দ্রীয় এলাকা । যদি এখানে গরু পাচারের বিষয়ে তদন্ত করা হয়, তাহলে সিবিআই সেটা করছে ।"

দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ 3 সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ 14 নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.