ETV Bharat / city

কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোরের জেরে শাস্তির মুখে আলাপন

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজ ৷ কেন তাঁকে শোকজ করা হল, কী শাস্তি হতে পারে তাঁর ? সামগ্রিক বিষয়টি জানালেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অরুণাংশু চক্রবর্তী ৷

author img

By

Published : Jun 2, 2021, 5:08 PM IST

why alapan banerjee faced show cause notice explained advocate arunangshu chakraborty
কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোরের জেরে শাস্তির মুখে আলাপন

রাজনৈতিক চাপানউতোর ৷ আপাতত এটাই চলছে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে ৷ আর সেই চাপানউতোরের মুখে পড়েই শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷

কারণ, আসলে তো তিনি সিভিল সার্ভেন্ট বা সরকারি কর্মচারী মাত্র ৷ তার উপর তিনি আবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নিয়োগ করা আধিকারিক ৷ রাজ্যে তাঁকে শুধু নিয়োগ করা হয়েছে ৷ কিন্তু তিনি কেন্দ্রের কোনও নির্দেশ মানতে বাধ্য ৷

এর মূল কারণ হল রাজ্য সরকারের তরফে যাঁরা আইনি বিষয়টি দেখেন, তাঁদের অনভিজ্ঞতা ৷ আর তার জেরেই শাস্তি হতে পারে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে শাস্তি হতে পারে তাঁর ৷ যার সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে দু’বছরের জেল ৷

আরও পড়ুন : বয়ান তৈরি, আলাপনের শোকজে কেন্দ্রকে জোড়া জবাব দিচ্ছে রাজ্য

আর এই বিষয়টির উপর ভিত্তি করেই কেন্দ্রের তরফে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজ করা হয় ৷ কারণ, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা বৈঠকে 15 মিনিট দেরিতে পৌঁছেছিলেন ৷ আর অনুমতি না নিয়েই তিনি বেরিয়ে যান ৷ এখানেই নিয়ম ভাঙা হয়েছে বলে তুলে ধরা হচ্ছে ৷

আমার ধারণা এটা সবে শুরু ৷ এর পর এই ধরনের ঘটনা আবারও ঘটবে ৷ বিশেষ করে নির্বাচনের আগে যে তিনজন আইপিএসকে কেন্দ্রীয় দায়িত্ব পালনে ডাকা হয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে ৷ কারণ, তাঁদের সেই সময় রাজ্য ছাড়েনি ৷ তাছাড়া এর মাধ্যমে অন্য আধিকারিকদের সতর্ক করে দেওয়া গেল যে কেন্দ্রের নির্দেশ না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে ৷

আর এই সব কিছু হচ্ছে দুই পক্ষের ইগোর লড়াইয়ের জেরে ৷ আর সেই যাঁতাকলে পড়ছেন আইএএস, আইপিএস অফিসাররা ৷ আবারও বলছি রাজ্য সরকারের আইনি পরামর্শদাতাদের অনভিজ্ঞতাই এর জন্য দায়ী ৷ কারণ, প্রধানমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠকে মুখ্যসচিব আসতে বাধ্য ৷ মুখ্যমন্ত্রী নাও যেতে পারেন ৷ কিন্তু সরকারি আধিকারিক হিসেবে সেখানে উপস্থিত থাকতে বাধ্য ছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এটা আগে থেকে রাজ্য সরকারের আইনি পরামর্শদাতাদের বোঝা উচিত ছিল ৷ তাহলে আর এই পরিস্থিতি তৈরি হত না ৷

আরও পড়ুন : নির্দিষ্ট সময়েই কেন্দ্রকে শোকজের জবাব পাঠাচ্ছেন আলাপন

যে বিষয়টি এখানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল বিজেপির টার্গেট 2024 ৷ হিন্দি বলয়ে পর পর দু’বার ভালো ফল করলেও এবার কৃষি আইনের জন্য সেটা নাও হতে পারে ৷ তাই বাংলায় সরকার গড়তে চেয়েছিল বিজেপি ৷ তাহলে 2024 সালে বাংলা থেকে আরও বেশি আসনে জিততে পারত ৷ সেটা হল না ৷ সেই কারণে অল আউট আক্রমণে যাচ্ছে কেন্দ্র ৷ কারণ, রাজ্য জয়ের চেয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা বেশি জরুরি মনে করে বিজেপি ৷

এভাবে হয়তো 356 জারির পথে হাঁটতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ ছ’মাসের রাষ্ট্রপতি শাসন করতে পারলে বিজেপির অনেক সুবিধা হতে পারে ৷ তাই এই ধরনের ঘটনা আবারও ঘটতে পারে ৷

আরও পড়ুন : প্রোটোকল ভেঙে আলাপন বিতর্কে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন মমতা, বলছে কেন্দ্র

শেষে একটা বলতে পারি যে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখকে বেআইনি ভাবে নাস্তানাবুদ করে দিচ্ছে কেন্দ্র ৷ সেখানে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কোন হরিদাস পাল ! তাই আগামিদিনে এই ধরনের সঙ্ঘাতে যাওয়ার আগে রাজ্য সরকারের উচিত আইনি দিকগুলি আগে থেকে খতিয়ে দেখা ৷

(মতামত লেখকের নিজস্ব)

রাজনৈতিক চাপানউতোর ৷ আপাতত এটাই চলছে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে ৷ আর সেই চাপানউতোরের মুখে পড়েই শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷

কারণ, আসলে তো তিনি সিভিল সার্ভেন্ট বা সরকারি কর্মচারী মাত্র ৷ তার উপর তিনি আবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নিয়োগ করা আধিকারিক ৷ রাজ্যে তাঁকে শুধু নিয়োগ করা হয়েছে ৷ কিন্তু তিনি কেন্দ্রের কোনও নির্দেশ মানতে বাধ্য ৷

এর মূল কারণ হল রাজ্য সরকারের তরফে যাঁরা আইনি বিষয়টি দেখেন, তাঁদের অনভিজ্ঞতা ৷ আর তার জেরেই শাস্তি হতে পারে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে শাস্তি হতে পারে তাঁর ৷ যার সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে দু’বছরের জেল ৷

আরও পড়ুন : বয়ান তৈরি, আলাপনের শোকজে কেন্দ্রকে জোড়া জবাব দিচ্ছে রাজ্য

আর এই বিষয়টির উপর ভিত্তি করেই কেন্দ্রের তরফে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজ করা হয় ৷ কারণ, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা বৈঠকে 15 মিনিট দেরিতে পৌঁছেছিলেন ৷ আর অনুমতি না নিয়েই তিনি বেরিয়ে যান ৷ এখানেই নিয়ম ভাঙা হয়েছে বলে তুলে ধরা হচ্ছে ৷

আমার ধারণা এটা সবে শুরু ৷ এর পর এই ধরনের ঘটনা আবারও ঘটবে ৷ বিশেষ করে নির্বাচনের আগে যে তিনজন আইপিএসকে কেন্দ্রীয় দায়িত্ব পালনে ডাকা হয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে ৷ কারণ, তাঁদের সেই সময় রাজ্য ছাড়েনি ৷ তাছাড়া এর মাধ্যমে অন্য আধিকারিকদের সতর্ক করে দেওয়া গেল যে কেন্দ্রের নির্দেশ না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে ৷

আর এই সব কিছু হচ্ছে দুই পক্ষের ইগোর লড়াইয়ের জেরে ৷ আর সেই যাঁতাকলে পড়ছেন আইএএস, আইপিএস অফিসাররা ৷ আবারও বলছি রাজ্য সরকারের আইনি পরামর্শদাতাদের অনভিজ্ঞতাই এর জন্য দায়ী ৷ কারণ, প্রধানমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠকে মুখ্যসচিব আসতে বাধ্য ৷ মুখ্যমন্ত্রী নাও যেতে পারেন ৷ কিন্তু সরকারি আধিকারিক হিসেবে সেখানে উপস্থিত থাকতে বাধ্য ছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এটা আগে থেকে রাজ্য সরকারের আইনি পরামর্শদাতাদের বোঝা উচিত ছিল ৷ তাহলে আর এই পরিস্থিতি তৈরি হত না ৷

আরও পড়ুন : নির্দিষ্ট সময়েই কেন্দ্রকে শোকজের জবাব পাঠাচ্ছেন আলাপন

যে বিষয়টি এখানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল বিজেপির টার্গেট 2024 ৷ হিন্দি বলয়ে পর পর দু’বার ভালো ফল করলেও এবার কৃষি আইনের জন্য সেটা নাও হতে পারে ৷ তাই বাংলায় সরকার গড়তে চেয়েছিল বিজেপি ৷ তাহলে 2024 সালে বাংলা থেকে আরও বেশি আসনে জিততে পারত ৷ সেটা হল না ৷ সেই কারণে অল আউট আক্রমণে যাচ্ছে কেন্দ্র ৷ কারণ, রাজ্য জয়ের চেয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা বেশি জরুরি মনে করে বিজেপি ৷

এভাবে হয়তো 356 জারির পথে হাঁটতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ ছ’মাসের রাষ্ট্রপতি শাসন করতে পারলে বিজেপির অনেক সুবিধা হতে পারে ৷ তাই এই ধরনের ঘটনা আবারও ঘটতে পারে ৷

আরও পড়ুন : প্রোটোকল ভেঙে আলাপন বিতর্কে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন মমতা, বলছে কেন্দ্র

শেষে একটা বলতে পারি যে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখকে বেআইনি ভাবে নাস্তানাবুদ করে দিচ্ছে কেন্দ্র ৷ সেখানে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কোন হরিদাস পাল ! তাই আগামিদিনে এই ধরনের সঙ্ঘাতে যাওয়ার আগে রাজ্য সরকারের উচিত আইনি দিকগুলি আগে থেকে খতিয়ে দেখা ৷

(মতামত লেখকের নিজস্ব)

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.