কলকাতা, 20 অগাস্ট : সোমেন মিত্রর পর কে হচ্ছেন পরবর্তী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ? এনিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসে টানাপোড়েনের মধ্য়েই সম্প্রতি দিল্লি গেছেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। 14 অগাস্ট তিনি দিল্লি যান । তার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিস্তর জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যসভার এখন অধিবেশন না চলা সত্ত্বেও কেন হঠাৎ দিল্লি গেলেন তিনি ? গতকাল তাঁর ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি ফেরেননি । স্বাভাবিকভাবেই এনিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ, পরবর্তী প্রদেশ সভাপতি হিসেবে বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতার নাম উঠে আসছে।
উঠে আসছে আরও কয়েকজনের নাম । প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দলের মধ্যে কার্যত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ। কারণ, প্রদীপ ভট্টাচার্যর দিল্লি-যাত্রার মধ্যেই আজ বৈঠকে বসতে পারেন দলের রাজ্য নেতৃত্বের বেশ কয়েকজন। সেই বৈঠকে থাকার কথা আবদুল মান্নান, নেপাল মাহাত, অমিতাভ ভট্টাচার্যসহ অন্যদের।
30 অগাস্ট প্রয়াত হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র । তারপর থেকে কেটে গিয়েছে প্রায় 20 দিন ৷ AICC এখনও পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম ঘোষণা করেনি । তবে দলের রাজ্য নেতৃত্ব চাইছেন, অবিলম্বে প্রদেশ সভাপতির নাম ঘোষণা করুক AICC । সম্ভাব্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির তালিকায় নাম রয়েছে- প্রদীপ ভট্টাচার্য, পুরুলিয়ার বাগমুণ্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতর । দীর্ঘদিন পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য নাম উঠে এসেছে দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়েরও । আছে কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক মানোজ চক্রবর্তীর নামও । তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন হাওড়া আমতার বিধায়ক অসিত মিত্র, শংকর মালাকার এবং দীপা দাশমুন্সিসহ প্রদেশ কংগ্রেসের অন্য নেতার নামও ।
AICC-র অন্যতম সাধারণ সম্পাদক বি পি সিং ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন নেপাল মাহাত। দীর্ঘদিন পর একজন আদিবাসী নেতা এবং দক্ষ সংগঠককে সভাপতির পদে পেতে পারে প্রদেশ কংগ্রেস ।
তবে এই মুহূর্তে প্রদীপ ভট্টাচার্য দিল্লিতে কেন ? সে প্রশ্ন উঠছে ৷ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল । তিনি জানিয়েছেন, দলের কাজে দিল্লি গিয়েছেন । প্রদীপ ভট্টাচার্যের দিল্লি-যাত্রা নিয়ে বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে প্রকট হয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব । দলেরই অনেক বিধায়ক এবং নেতা চাইছেন না, অশীতিপর প্রদীপবাবু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হোন । পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে তাতে দ্রুত AICC প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম ঘোষণা না করলে রাজ্যে কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছাতে পারে ।