কলকাতা, 27 জুন: হরিদেবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যুতে একে অপরের বিরুদ্ধে দায় চাপানো শুরু করল প্রশাসন ও সিইএসসি কর্তৃপক্ষ (Question Over Haridevpur Electrocution Incident) ৷ বিদ্যুৎ সংস্থা সিইএসসি-র তরফে জানানো হয়েছে, ওই পোস্ট তাদের নয় ৷ আর সেখানে কীভাবে বিদ্যুতের সংযোগ গিয়েছে তা তারা জানে না বলে জানিয়েছে ৷
প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধেয় হরিদেবপুরের হাফিজ মহম্মদ ইশাক রোডে জমা জল পেরিয়ে শিক্ষিকার বাড়িতে যাওয়ার সময় বিদ্যুতের খুঁটি স্পর্শ করতেই তড়িদাহত হয় নীতীশ যাদব নামে ওই বালক (Haridevpur Electrocution) ৷ তৎক্ষণাৎ সে রাস্তার জমা জলের মধ্যে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায় ৷
স্থানীয়রাও জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ভয়ে তার কাছে যায়নি ৷ খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও সিইএসসি-কে ৷ পুরো এলাকা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং পুলিশের তরফে দু’টি পাম্প চালিয়ে জল নামানো হয় ৷ এই ঘটনায় পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা ৷ তাঁদের অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় জল জমে যায় ৷ সেই জল নামাতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না ৷ এ নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা ৷ অভিযোগ, একটি নিরীহ প্রাণ চলে যাওয়ার পর টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের ৷ কিন্তু, এর আগে বহুবার পাম্প চালানোর কথা বলা হয়েছিল ৷ সেই সময় কেউ কর্ণপাত করে না বলে অভিযোগ ৷ রবিবার সন্ধের ঘটনার পরেই বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা ৷
আরও পড়ুন: Minor Electrocuted in Haridevpur : জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু কিশোরের, চাঞ্চল্য হরিদেবপুরে
জানা গিয়েছে, হরিদেবপুরের ওই এলাকায় কেইআইআইপি-র কাজ চলছে ৷ ফলে সেখানে রাস্তায় খোঁড়াখুড়ি করা হয়েছে ৷ যার জেরে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল জমে যায় ৷ রবিবার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নীতীশকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন ৷ নীতীশ যাদবের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে ৷