কলকাতা, 17 ফেব্রুয়ারি : কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়েছে 14 ফেব্রুয়ারি । তবে এখনও অব্যাহত সমাবর্তন ঘিরে তরজা । আজ রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়ে তৈরি উপাচার্য পরিষদের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয় ৷ জানানো হয়, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছ থেকে জানতে পেরেছে, রাজ্যপাল তথা আচার্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল । কিন্তু, তিনি সমাবর্তনে যোগ দেবেন কি না সেই কনফার্মেশন না মেলায় তিনি সরকারের নতুন বিধি মেনেই সমাবর্তন অনুষ্ঠান করেছেন । অথচ রাজ্যপালের দাবি, রাজভবনে কোন আমন্ত্রণপত্র আসেনি । প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কোথায় গেল আমন্ত্রণপত্র? সেই উত্তর দেওয়ার জন্য এক মুহূর্ত সময় ব্যয় করে না করে চলে যান উপাচার্যরা ।
যাদবপুরের পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় । তারপর কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় । একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে অব্যাহত রাজ্য-রাজ্যপাল, আচার্য-উপাচার্য সংঘাত । কিছুদিন আগেই পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে তাঁর নাম না থাকায় টুইটে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । তারপরই 13 ফেব্রুয়ারি উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়কে শোকজ় করেন আচার্য । তাঁর অভিযোগ, সমাবর্তনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তাঁকে । যদিও উপাচার্যের দাবি, রাজ্য সরকারের নতুন বিধি মেনেই আমন্ত্রণ করা হয়েছিল রাজ্যপাল তথা আচার্যকে । কিন্তু তাঁর অংশগ্রহণের কোনও কনফার্মেশন পাননি তিনি । আচার্যের অনুপস্থিতিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য নিজেই ।
উপাচার্যকে শোকজ় করার ঘটনায় আজ বৈঠক করে উপাচার্য পরিষদ । পরিষদের সভাপতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস । আজ পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সুরঞ্জন দাস, কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী, সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কর, গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ মোট 9 জন ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উপাচার্য পরিষদের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয় ৷ বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, যে নতুন নিয়ম এসেছে ৷ সেই অনুযায়ীই উনি কাজ করেছেন । আমরা ওঁর কাছ থেকে জানতে পেরেছি, উনি চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজভবনে । কিন্তু তার কোনও উত্তর উনি পাননি । এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, রাজ্য সরকারের যে নতুন নিয়ম, তাতে বলা হচ্ছে, ভাইস চ্যান্সেলর এবং প্রো ভাইস-চ্যান্সেলরদের বিষয় যে কোনও সিদ্ধান্তের ব্যবস্থা সরকারের হাতেই আছে ।"
আচার্য বলছেন তিনি চিঠি পাননি ৷ উপাচার্য বলছেন তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন । সেই চিঠি কি আপনারা দেখেছেন? সাংবাদিকের এই প্রশ্নের কোনও উত্তর না দিয়েই বেরিয়ে যান 9 জন উপাচার্য ।