ETV Bharat / city

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহেই আজ বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন - Partha Chatterjee

রাজ্য সরকার রাজ্যপালকে জানিয়ে দেয়, তিনি নিজের ইচ্ছে মতো বক্তব্য় জুড়তে পারবেন না ৷ এও বলা হয়, রাজ্যপালের কাছে সরকারের তরফে ভাষণের যে প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে তাই চূড়ান্ত ৷ কোনওভাবেই তাতে কোনও শব্দ বা বাক্য যোগ করা যাবে না, বা ছেঁটে ফেলে যাবে না ৷

Assembly Budget
ফাইল ছবি
author img

By

Published : Feb 7, 2020, 3:45 AM IST

Updated : Feb 7, 2020, 7:46 AM IST

কলকাতা, 7 ফেব্রুয়ারি : বাজেট বক্তৃতায় কী বলবেন রাজ্যপাল ? তিনি মন্ত্রিসভার অনুমোদন দেওয়া বাজেট বক্তৃতা রাখবেন না কি তার সঙ্গে জুড়বেন নিজের বক্তব্য়ও ? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন ৷ এই রাজ্যে রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তৃণমূল পরিচালিত সরকারের মাথা ব্য়থার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন জগদীপ ধনকড় ৷ একাধিক ইশুতে রাজ্য় সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি ৷ সরকারের কাজের সমালোচনাও করেছেন ৷ রাজ্য়ের নেতা-মন্ত্রীরাও প্রকাশ্য় মঞ্চ থেকে আক্রমণ করেছেন রাজ্য়পালকে ৷ দু'পক্ষের বিবাদ আগে থেকেই ছিল ৷ তারই প্রতিফলন রাজ্য়পালের বাজেট ভাষণে দেখা যায় কি না সেটাই এখন দেখার ৷ প্রসঙ্গত আজ দুপুর দু'টোয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ভাষণের মধ্যে দিয়ে বিধানসভায় শুরু হবে বাজেট অধিবেশন ৷

বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপাল যে ভাষণ দেন তা মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষ ৷ নিয়ম হল, রাজ্যপালের ভাষণের প্রতিলিপি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর তা রাজভবনে পাঠানো হয় ৷ এবারও তার ব্য়তিক্রম হয়নি ৷ কিন্তু সমস্যা শুরু হয় বুধবার রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে ৷ সেদিন তিনি জানান, প্রারম্ভিক ভাষণের যে প্রতিলিপি তাঁকে দেওয়া হয়েছে সেখানে তিনি নিজের কিছু বক্তব্য যোগ করতে চান ৷ এই বক্তব্য় সামনে আসার পর শুরু হয় জলঘোলা ৷ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভাষণের অনুমোদিত খসড়া নিয়ে রাজভবনে যান মুখ্যসচিব রাজীব সিং। রাজ্যপাল ভাষণটি দেখেন ৷ ভাষণের একাধিক বিষয় নিয়ে তিনি আপত্তি জানান ৷ মুখ্য়সচিবের সামনেই তিনি রাজ্য়ের পশ্চিমাঞ্চলের উন্নতি ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৷ এর পরদিনই বলেন, তিনি নিজে বাজেটে কিছু জুড়তে চান ৷

আরও পড়ুন : বাজেট অধিবেশনের আগে রাজ্যপালকে নিয়ে শঙ্কিত শাসক শিবির

রাজ্যের ঠিক করে দেওয়া প্রারম্ভিক ভাষণ পড়তে বেঁকে বসলেন কেন রাজ্য়পাল ? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, এর প্রধান কারণ রাজ্য় সরকারের সঙ্গে জগদীপের সংঘাত ৷ আর দ্বিতীয় কারণ হল, বাজেটে বক্তৃতার প্রতিলিপি ৷ বাজেটের প্রারম্ভিক ভাষণে মন্ত্রিসভার গুণগানই করা হয়ে থাকে ৷ মন্ত্রিসভা কী কী কাজ করেছে সেই সবের বিবরণী থাকে সেখানে ৷ অনেকটা সব ভালো গোছের ৷ এরকম একটি বাজেট ভাষণ পড়তে চাননি জগদীপ ৷ তিনি সেটিকে নিজের মতো করে নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ৷

এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, রাজ্যপাল কি ভাষণে নিজের ইচ্ছেমতো কিছু জুড়তে পারেন ? রাজনৈতিক ও আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, রাজ্যপাল বিবৃতি পরিবর্তন করতে পারেন না ৷ মন্ত্রিসভা যা ঠিক করে দেয় তাই পাঠ করতে হয় তাঁকে ৷ এরই মধ্য়ে গতকাল সরকার রাজ্যপালকে জানিয়ে দেয়, তিনি নিজের ইচ্ছে মতো বক্তব্য় জুড়তে পারবেন না ৷ এই বলা হয়, রাজ্যপালের ভাষণের যে প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে তাই চূড়ান্ত ৷ কোনওভাবেই তাতে কোনও শব্দ বা বাক্য যোগ করা যাবে না, বা ছেঁটে ফেলে যাবে না ৷

আরও পড়ুন : "লক্ষ্মণরেখা পার করব না", বিবৃতি রাজ্যপালের

সরকারের এই অবস্থান সামনে আসার পর সুর নরম করেন রাজ্যপাল ৷ রাজভবন থেকে এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি জানান, সংবিধান মেনেই কাজ করবেন ৷ কোনওরকম লক্ষ্মণরেখা পার করবেন না ৷ তবে রাজ্যপাল একথা জানালেও চিন্তা কাটছে না শাসকদলের ৷ কারণ রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্ক যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে রাজ্যপাল কতটা তাঁর বিবৃতি অনুযায়ী কাজ করবেন, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই ৷ শাসকদলের নেতাদের একাংশের আশঙ্কা, বাজেট ভাষণ ঠিকঠাক পড়লেও বিকেলের দিকে সাংবাদিক বৈঠক করে হয়তো ফের রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বসবেন ধনকড় ৷

আরও পড়ুন : রাজ্যে 70 লাখ কৃষক এক পয়সাও পাননি, অভিযোগ রাজ্যপালের

পরে যাই হোক না কেন বাজেট অধিবেশন ঠিকভাবে উতরে যাক, এটাই চাইছে শাসকদল ও বিরোধী শিবিরের কংগ্রেস-CPI(M) ৷ তাদের যুক্তি, রাজভবন ও নবান্নের ঠান্ডা লড়াইয়ের কথা এমনিতেই দেশজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ৷ বাজেটের দিন বিধানসভার মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে যদি রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ফের প্রকট হয়ে ওঠে তাহলে রাজ্য়ের ভাবমূর্তি একেবারে তলানিতে ঠেকবে ৷

কলকাতা, 7 ফেব্রুয়ারি : বাজেট বক্তৃতায় কী বলবেন রাজ্যপাল ? তিনি মন্ত্রিসভার অনুমোদন দেওয়া বাজেট বক্তৃতা রাখবেন না কি তার সঙ্গে জুড়বেন নিজের বক্তব্য়ও ? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন ৷ এই রাজ্যে রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তৃণমূল পরিচালিত সরকারের মাথা ব্য়থার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন জগদীপ ধনকড় ৷ একাধিক ইশুতে রাজ্য় সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি ৷ সরকারের কাজের সমালোচনাও করেছেন ৷ রাজ্য়ের নেতা-মন্ত্রীরাও প্রকাশ্য় মঞ্চ থেকে আক্রমণ করেছেন রাজ্য়পালকে ৷ দু'পক্ষের বিবাদ আগে থেকেই ছিল ৷ তারই প্রতিফলন রাজ্য়পালের বাজেট ভাষণে দেখা যায় কি না সেটাই এখন দেখার ৷ প্রসঙ্গত আজ দুপুর দু'টোয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ভাষণের মধ্যে দিয়ে বিধানসভায় শুরু হবে বাজেট অধিবেশন ৷

বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপাল যে ভাষণ দেন তা মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষ ৷ নিয়ম হল, রাজ্যপালের ভাষণের প্রতিলিপি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর তা রাজভবনে পাঠানো হয় ৷ এবারও তার ব্য়তিক্রম হয়নি ৷ কিন্তু সমস্যা শুরু হয় বুধবার রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে ৷ সেদিন তিনি জানান, প্রারম্ভিক ভাষণের যে প্রতিলিপি তাঁকে দেওয়া হয়েছে সেখানে তিনি নিজের কিছু বক্তব্য যোগ করতে চান ৷ এই বক্তব্য় সামনে আসার পর শুরু হয় জলঘোলা ৷ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভাষণের অনুমোদিত খসড়া নিয়ে রাজভবনে যান মুখ্যসচিব রাজীব সিং। রাজ্যপাল ভাষণটি দেখেন ৷ ভাষণের একাধিক বিষয় নিয়ে তিনি আপত্তি জানান ৷ মুখ্য়সচিবের সামনেই তিনি রাজ্য়ের পশ্চিমাঞ্চলের উন্নতি ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৷ এর পরদিনই বলেন, তিনি নিজে বাজেটে কিছু জুড়তে চান ৷

আরও পড়ুন : বাজেট অধিবেশনের আগে রাজ্যপালকে নিয়ে শঙ্কিত শাসক শিবির

রাজ্যের ঠিক করে দেওয়া প্রারম্ভিক ভাষণ পড়তে বেঁকে বসলেন কেন রাজ্য়পাল ? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, এর প্রধান কারণ রাজ্য় সরকারের সঙ্গে জগদীপের সংঘাত ৷ আর দ্বিতীয় কারণ হল, বাজেটে বক্তৃতার প্রতিলিপি ৷ বাজেটের প্রারম্ভিক ভাষণে মন্ত্রিসভার গুণগানই করা হয়ে থাকে ৷ মন্ত্রিসভা কী কী কাজ করেছে সেই সবের বিবরণী থাকে সেখানে ৷ অনেকটা সব ভালো গোছের ৷ এরকম একটি বাজেট ভাষণ পড়তে চাননি জগদীপ ৷ তিনি সেটিকে নিজের মতো করে নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ৷

এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, রাজ্যপাল কি ভাষণে নিজের ইচ্ছেমতো কিছু জুড়তে পারেন ? রাজনৈতিক ও আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, রাজ্যপাল বিবৃতি পরিবর্তন করতে পারেন না ৷ মন্ত্রিসভা যা ঠিক করে দেয় তাই পাঠ করতে হয় তাঁকে ৷ এরই মধ্য়ে গতকাল সরকার রাজ্যপালকে জানিয়ে দেয়, তিনি নিজের ইচ্ছে মতো বক্তব্য় জুড়তে পারবেন না ৷ এই বলা হয়, রাজ্যপালের ভাষণের যে প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে তাই চূড়ান্ত ৷ কোনওভাবেই তাতে কোনও শব্দ বা বাক্য যোগ করা যাবে না, বা ছেঁটে ফেলে যাবে না ৷

আরও পড়ুন : "লক্ষ্মণরেখা পার করব না", বিবৃতি রাজ্যপালের

সরকারের এই অবস্থান সামনে আসার পর সুর নরম করেন রাজ্যপাল ৷ রাজভবন থেকে এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি জানান, সংবিধান মেনেই কাজ করবেন ৷ কোনওরকম লক্ষ্মণরেখা পার করবেন না ৷ তবে রাজ্যপাল একথা জানালেও চিন্তা কাটছে না শাসকদলের ৷ কারণ রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্ক যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে রাজ্যপাল কতটা তাঁর বিবৃতি অনুযায়ী কাজ করবেন, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই ৷ শাসকদলের নেতাদের একাংশের আশঙ্কা, বাজেট ভাষণ ঠিকঠাক পড়লেও বিকেলের দিকে সাংবাদিক বৈঠক করে হয়তো ফের রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বসবেন ধনকড় ৷

আরও পড়ুন : রাজ্যে 70 লাখ কৃষক এক পয়সাও পাননি, অভিযোগ রাজ্যপালের

পরে যাই হোক না কেন বাজেট অধিবেশন ঠিকভাবে উতরে যাক, এটাই চাইছে শাসকদল ও বিরোধী শিবিরের কংগ্রেস-CPI(M) ৷ তাদের যুক্তি, রাজভবন ও নবান্নের ঠান্ডা লড়াইয়ের কথা এমনিতেই দেশজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ৷ বাজেটের দিন বিধানসভার মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে যদি রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ফের প্রকট হয়ে ওঠে তাহলে রাজ্য়ের ভাবমূর্তি একেবারে তলানিতে ঠেকবে ৷

New Delhi, Feb 06 (ANI): Ministry of External Affairs spokesperson Raveesh Kumar on February 6 held a weekly briefing in Delhi. He reacted on the evacuation of countrymen and people from other countries from China due to Coronavirus. He said, "We've successfully carried out evacuation of 640 Indian nationals and 7 Maldives nationals on 2 flights. It was a complex operation and we do appreciate the support and facilitation extended by Government of China during the exercise."
Last Updated : Feb 7, 2020, 7:46 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.