কলকাতা, 10 অক্টোবর : দুর্গাপুজোর মরশুমে রাজ্যের পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ৷ এমনই দাবি পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ী ও ট্যুর অপারেটরদের ৷ সূত্রের খবর, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা উপেক্ষা করেই পুজোর ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া পরিকল্পনা করেছে আমবাঙালি ৷ পর্যটনকেন্দ্রগুলিতেও পুজোর বুকিং হয়েছে ভালোই ৷
আরও পড়ুন : Special package for tourists : বাঙালি পর্যটকদের জন্য পুজোর বিশেষ প্যাকেজ হিমাচলপ্রদেশে
ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান অনিল পঞ্জাবী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘অনেকের কাছেই পুজোয় ঘুরতে যাওয়া মানে একটা পারিবারিক অনুষ্ঠান ৷ তাঁরা কোনও একটা সুন্দর জায়গা বেছে নেন ৷ তারপর সবাই মিলে একসঙ্গে সেখানে গিয়ে আনন্দ করেন ৷ অতিমারির আবহে লম্বা সময় ধরে এমন সুযোগ বন্ধ ছিল ৷ বস্তুত, এবার যেভাবে পর্যটকরা বুকিং করছেন, তাতে আমরাও অবাক ৷ আমরা এতটা আশা করিনি ৷ আমরা পর্যটকদের কাছ থেকে খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি ৷ আশা করি, আগামী দিনগুলিতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে ৷’’
অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অফ ট্যুরিজমের আহ্বায়ক রাজ বসু জানিয়েছেন, অতিমারির কথা মাথায় রেখেই পর্যটকদের একাংশ ভিড় এড়াচ্ছেন ৷ তাঁরা জনবহুল কোনও পর্যটনকেন্দ্রের বদলে একটু শান্ত এবং নিরিবিলি জায়গা বেছে নিচ্ছেন বেড়ানোর জন্য ৷ রাজ জানিয়েছেন, তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও মানুষ যেভাবে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ির জন্য বুকিং করেছেন, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য ৷ যেসব জায়গায় গ্রামীণ পর্যটন এবং হোম স্টে-র ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে পুজোর সমস্ত বুকিং শেষ ৷ সিটং, তাগদা, তিনচুলে, পেডংয়ের মতো জায়গাগুলিতে একটাও বুকিং খালি নেই ৷ রাজের মতে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে খরা কাটিয়ে আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠবে রাজ্যের পর্যটন ব্যবসা ৷
তবে শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গ নয়, এবারের পুজোয় পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যগুলিও ৷ ইতিমধ্যেই পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে অরুণাচলপ্রদেশ, সিকিম ৷ বাঙালিরা তো বটেই, এমনকী, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, গুজরাতের মতো দূরের রাজ্যগুলি থেকেও পর্যটকরা দলে দলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বেড়াতে আসছেন ৷ এছাড়া, উত্তরবঙ্গের পাহাড় এবং তরাই-ডুয়ার্সেও ভিনরাজ্যের পর্টকদের দেখা মিলছে ৷
আরও পড়ুন : Sikkim Tourism : সিকিম চেক পোস্টে টিকাকরণের শংসাপত্র, আরটি-পিসিআর রিপোর্ট দেখানো বাধ্যতামূলক নয়
সেক্ষেত্রে কি করোনার সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে না ? মানতে নারাজ রাজ বসু ৷ তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সকলকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে ৷ এছাড়া, গ্রামীণ এলাকাগুলিতে ব্যাপক হারে প্রচার চালানো হয়েছে ৷ কীভাবে কোভিডের সংক্রমণ আটকাতে হবে, তা নিয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়েছে ৷ সরকারের যাবতীয় গাইডলাইন মেনেই পর্যটকদের থাকা, খাওয়া এবং ঘোরার বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৷