ETV Bharat / city

উপাচার্যদের মর্যাদা ও সম্মানকে খাটো করেছেন আচার্য, অভিযোগ উপাচার্য পরিষদের

"উপাচার্যদের সম্মান ও মর্যাদাকে খাটো করেছেন আচার্য। যা একেবারেই অনভিপ্রেত ছিল।" বিবৃতি দিয়ে বলল উপাচার্য পরিষদ।

উপাচার্য পরিষদের বিবৃতি জারি
উপাচার্য পরিষদ
author img

By

Published : Jun 3, 2020, 8:29 PM IST

Updated : Jun 3, 2020, 8:50 PM IST

কলকাতা, 3 জুন: গত দুই দিন ধরে রাজ‍্য-রাজ‍্যপালসংঘাতে সরগরম হয়েছে শিক্ষা মহল। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নিয়োগ ঘিরেযে তরজা চলছিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর ও আচার্যের মধ‍্যে তার প্রভাব উপাচার্যদের উপরওপড়ে। এবার গোটা ঘটনাটি নিয়ে মুখ খুলল উপাচার্য পরিষদ। একটি বিবৃতি জারি করে জানাল,"উপাচার্যদেরমর্যাদা ও সন্মানকে খাটো করেছেন আচার্য। যা একেবারেই অনভিপ্রেত ।"


উপাচার্য পরিষদের বক্তব্য, পরিষদের দুই জন সদস‍্যবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই সাহা ও কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়েরউপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পরপর দুটি চিঠি পেয়েছেন তাঁরা। চিঠিতেতাঁরা আচার্যের সঙ্গে টেলিফোনে হওয়া দুঃখজনক কথোপকথনের কথা তুলে ধরেন। প্রথমটিবর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ও দ্বিতীয়টি বিশ্ববিদ্যালয়েরসমাবর্তন নিয়ে শো-কজের ইশুর সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। আচার্যের সঙ্গে কথোপকথনের সময় অধ‍্যাপকনিমাই সাহা এবং দেবকুমার মুখোপাধ্যায় যেভাবে অপদস্থ হয়েছেন তাতে আমরা গভীরভাবে ব‍্যথিত।উপাচার্য পরিষদ মনে করে, নিমাইসাহা ও দেবকুমার মুখোপাধ্যায় দু'জনেই ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি রুল, 2019 অনুযায়ীই কাজ করেছিলেন এবং যেটাতাঁদের সঙ্গে হয়েছে সেই অভিজ্ঞতা তাঁদের হওয়া উচিত ছিল না।

এর আগে সমাবর্তনকে কেন্দ্র করেকোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ করেছিলেন রাজ‍্যপাল তথাআচার্য জগদীপ ধনকড়‌। সেই ঘটনাতে নিন্দা জানিয়েছিল উপাচার্য পরিষদ। গত 1 জুন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েরসহ-উপাচার্য পদে গৌতম চন্দ্রকে নিয়োগের নির্দেশ জারি করেন রাজ‍্যপাল। আচার্যউচ্চশিক্ষা দপ্তরের সুপারিশের বাইরে গিয়ে তাঁকে নিয়োগ করছে বলে জানা যায়। ওইদিনরাতেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপারিশ করা ব‍্যক্তি আশিস পানিগ্রাহীকেই ওই পদেনিয়োগ করেন উচ্চশিক্ষা দপ্তর। পরেরদিন একবার শিক্ষামন্ত্রী রাজ‍্যপালের উদ্দেশ্যতোপ দাগেন তো কখনও রাজ‍্যপাল শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে প্রেস বিবৃতিজারি করেন। গতকাল আবারও রাজ‍্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উদ্দেশ্যেনির্দেশিকা জারি করেন আচার্য। সেখানে তিনি উপাচার্যদের নির্দেশ দেন, তাঁর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে।পাশাপাশি, কোনওবিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের উর্ধ্বে নয় বলেও জানান তিনি।

সেই নির্দেশ ও দুটি অনভিপ্রেতঘটনা নিয়ে উপাচার্য পরিষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, 2 জুন রাজ‍্যপাল একটি নির্দেশিকা জারিকরেন। সেখানে তিনি সব উপাচার্যদের ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি রুল, 2019 না মানতে বলেছেন। এই প্রেক্ষিতেউপাচার্য পরিষদ মনে করছে যে, আচার্যের সঙ্গে হওয়া ইন্টার‍্যাকশন উপাচার্যদের সন্মান ওমর্যাদাকে খাটো করেছে। যা অবশ্যই হওয়া উচিত ছিল না। উপাচার্যরা রাজ‍্যেরউচ্চশিক্ষার উন্নয়নের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করেন রাজ‍্যসরকার, আচার্য, উপাচার্য এবং অন‍্যান‍্য স্বশাসিতসংস্থার ভূমিকা নিশ্চিত করে দেওয়া আইন ও সময়ে সময়ে জারি করা বিধি অনুযায়ী। এ ছাড়া, বর্তমানে কোরোনা এবং ঘূর্ণিঝড় আমফানেরজেরে তৈরি পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বহু চ‍্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।পরীক্ষা, কোর্সসম্পূর্ণ করা, নতুনসেশনে পড়ুয়াদের ভরতি নেওয়ার মতো একাধিক বিষয় নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সকলেরএকসঙ্গে মিলে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।

উপাচার্যদের মর্যাদা ও সম্মানকে খাটো করেছেনআচার্য, অভিযোগ উপাচার্য পরিষদের

কলকাতা, 3 জুন: গত দুই দিন ধরে রাজ‍্য-রাজ‍্যপালসংঘাতে সরগরম হয়েছে শিক্ষা মহল। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নিয়োগ ঘিরেযে তরজা চলছিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর ও আচার্যের মধ‍্যে তার প্রভাব উপাচার্যদের উপরওপড়ে। এবার গোটা ঘটনাটি নিয়ে মুখ খুলল উপাচার্য পরিষদ। একটি বিবৃতি জারি করে জানাল,"উপাচার্যদেরমর্যাদা ও সন্মানকে খাটো করেছেন আচার্য। যা একেবারেই অনভিপ্রেত ।"


উপাচার্য পরিষদের বক্তব্য, পরিষদের দুই জন সদস‍্যবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই সাহা ও কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়েরউপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পরপর দুটি চিঠি পেয়েছেন তাঁরা। চিঠিতেতাঁরা আচার্যের সঙ্গে টেলিফোনে হওয়া দুঃখজনক কথোপকথনের কথা তুলে ধরেন। প্রথমটিবর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ও দ্বিতীয়টি বিশ্ববিদ্যালয়েরসমাবর্তন নিয়ে শো-কজের ইশুর সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। আচার্যের সঙ্গে কথোপকথনের সময় অধ‍্যাপকনিমাই সাহা এবং দেবকুমার মুখোপাধ্যায় যেভাবে অপদস্থ হয়েছেন তাতে আমরা গভীরভাবে ব‍্যথিত।উপাচার্য পরিষদ মনে করে, নিমাইসাহা ও দেবকুমার মুখোপাধ্যায় দু'জনেই ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি রুল, 2019 অনুযায়ীই কাজ করেছিলেন এবং যেটাতাঁদের সঙ্গে হয়েছে সেই অভিজ্ঞতা তাঁদের হওয়া উচিত ছিল না।

এর আগে সমাবর্তনকে কেন্দ্র করেকোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ করেছিলেন রাজ‍্যপাল তথাআচার্য জগদীপ ধনকড়‌। সেই ঘটনাতে নিন্দা জানিয়েছিল উপাচার্য পরিষদ। গত 1 জুন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েরসহ-উপাচার্য পদে গৌতম চন্দ্রকে নিয়োগের নির্দেশ জারি করেন রাজ‍্যপাল। আচার্যউচ্চশিক্ষা দপ্তরের সুপারিশের বাইরে গিয়ে তাঁকে নিয়োগ করছে বলে জানা যায়। ওইদিনরাতেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপারিশ করা ব‍্যক্তি আশিস পানিগ্রাহীকেই ওই পদেনিয়োগ করেন উচ্চশিক্ষা দপ্তর। পরেরদিন একবার শিক্ষামন্ত্রী রাজ‍্যপালের উদ্দেশ্যতোপ দাগেন তো কখনও রাজ‍্যপাল শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে প্রেস বিবৃতিজারি করেন। গতকাল আবারও রাজ‍্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উদ্দেশ্যেনির্দেশিকা জারি করেন আচার্য। সেখানে তিনি উপাচার্যদের নির্দেশ দেন, তাঁর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে।পাশাপাশি, কোনওবিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের উর্ধ্বে নয় বলেও জানান তিনি।

সেই নির্দেশ ও দুটি অনভিপ্রেতঘটনা নিয়ে উপাচার্য পরিষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, 2 জুন রাজ‍্যপাল একটি নির্দেশিকা জারিকরেন। সেখানে তিনি সব উপাচার্যদের ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি রুল, 2019 না মানতে বলেছেন। এই প্রেক্ষিতেউপাচার্য পরিষদ মনে করছে যে, আচার্যের সঙ্গে হওয়া ইন্টার‍্যাকশন উপাচার্যদের সন্মান ওমর্যাদাকে খাটো করেছে। যা অবশ্যই হওয়া উচিত ছিল না। উপাচার্যরা রাজ‍্যেরউচ্চশিক্ষার উন্নয়নের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করেন রাজ‍্যসরকার, আচার্য, উপাচার্য এবং অন‍্যান‍্য স্বশাসিতসংস্থার ভূমিকা নিশ্চিত করে দেওয়া আইন ও সময়ে সময়ে জারি করা বিধি অনুযায়ী। এ ছাড়া, বর্তমানে কোরোনা এবং ঘূর্ণিঝড় আমফানেরজেরে তৈরি পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বহু চ‍্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।পরীক্ষা, কোর্সসম্পূর্ণ করা, নতুনসেশনে পড়ুয়াদের ভরতি নেওয়ার মতো একাধিক বিষয় নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সকলেরএকসঙ্গে মিলে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।

Last Updated : Jun 3, 2020, 8:50 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.