কলকাতা, 3 সেপ্টেম্বর : দিনকয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, আগে শিশুদের মায়েদের ভ্যাকসিন দিতে হবে । কারণ, মায়েদের ভ্যাকসিনেশন হয়ে গেল অনেকটাই সুরক্ষিত থাকবে শিশুরা ৷ সেই নির্দেশ মতোই মায়েদের ভ্যাকসিনেশন করাতে কোমর বেঁধে নেমেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ৷ প্রতিটি জেলায় শিবির করে চলছে মায়েদের ভ্যাকসিনেশেন ৷ রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে খুশি রাজ্যবাসী ৷
সামনেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে । যেখানে শিশুদের সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি ৷ কিন্তু, 18 বছরের নিচের বয়সীদের জন্য এখনও ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি ৷ এই অবস্থায় শিশুদের সুরক্ষিত রাখার বিকল্প পথ হিসেবে মায়েদের ভ্যাকসিনেশনে অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার ৷ পাশাপাশি, সামনেই পুজোর মরসুম, তারপরেই খুলতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ৷ স্বাভাবিকভাবেই তাই শিশুদের মায়েদের ভ্যাকসিনেশনে জোর দিয়েছে রাজ্য ৷ রাজ্যের সর্বত্র মায়েদের ভ্যাকসিনেশনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার ৷ যা নিয়ে আলাদা আলাদা শিবির করে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে । মঙ্গলবার সকাল থেকে নিউ ব্যারাকপুর পৌরসভা এই কর্মসূচিতে নেমেছে ৷ আশাকর্মীরা এলাকায় ঘুরে ঘুরে মায়েদের ভ্যাকসিনেশনের জন্য চিহ্নিত করছেন ৷ সেখানেও অন্তঃসত্ত্বা ও 12 বছর বয়সী বাচ্চার মায়েদের ভ্যাকসিনেশনে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Duare Sarkar : দুয়ারে সরকারের শিবিরে অপেরা ও ড্রাগন ডান্স, অভিনব উদ্যোগ কালিম্পং প্রশাসনের
এক টিকাগ্রহিতা জানিয়েছেন, তাঁদের পৌরসভার তরফ থেকে আগে থেকে ফোন করে জানানো হচ্ছে ভ্যাকসিনেশনের বিষয়ে ৷ ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে লাইনেও দাঁড়াতে হচ্ছে না ৷ একই কথা জানান আরেক গর্ভবতী টিকাগ্রহিতা ৷ তিনি বলেন, ‘‘আশাকর্মীরা বাড়িতে এসে ভ্যাকসিনেশনের জন্য সমস্ত নথি নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ এর পর যেদিন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, আমাকে তার আগেরদিন ফোন করে জানানো হয় ৷’’ বারাসাত হাসপাতালেও মায়েদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে ৷ এ নিয়ে বারাসাত জেলা সদর হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা বা বাচ্চার মায়েরা গাইনি বা অন্যকোনও কারণে ডাক্তার দেখাতে আসেন ৷ কথা বলে যাঁরা টিকা নিতে ইচ্ছুক, তাঁদেরকে টিকা দেওয়া হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন : Corona in India : দেশে কিছুটা কমল দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু
একইভাবে ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে উত্তর 24 পরগনার বিভিন্ন জায়গায় ৷ কারণ কলকাতা সংলগ্ন এই জেলায় করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ৷ আর তাই এই জেলা সুপার স্প্রেডার হিসেবে দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ দেগঙ্গা পঞ্চায়েত এলাকাতে আলাদা ক্যাম্প করে মায়েদের ভ্যাকসিনেশন চলছে ৷ দেগঙ্গার স্বাস্থ্যকর্মী মমতা মণ্ডল বলেন, ‘‘গর্ভবতী মহিলা এবং যে সকল মহিলাদের 12 বছরের নীচে সন্তান রয়েছে, তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে ৷ তিনশো জনকে টিকা দেওয়ার টার্গেট রেখেছি আমরা ৷’’