কলকাতা, 26 মার্চ : গত 10 বছরে কতগুলি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হয়েছে ? কত সংখ্যক সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ করা হয়েছে ? স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্টের মাধ্যমে কত সংখ্যক পরীক্ষার্থীকে যোগ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ? এই সবেরই খতিয়ান দিল রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশন।
রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলিতে অধ্যক্ষ, সরকারি অধ্যাপক, লাইব্রেরিয়ানের মতো পদগুলিতে প্রার্থী নিয়োগ করার প্রক্রিয়া পরিচালনা করে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন ৷ পাশাপাশি, কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদের যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট (সেট)-ও পরিচালনা করা হয় কমিশনের তরফে ৷ গত 10 বছরে কমিশন এই সবক’টি ক্ষেত্রে কতটা কাজ করেছে, তার একটি খতিয়ান তৈরি করেছে ৷ যেখানে দেখা যাচ্ছে, 2012 সাল থেকে মোট পাঁচটি বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত মোট 7 হাজার 698 জন সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ করা হয়েছে ৷ নিয়োগ করা হয়েছে 327 জন অধ্যক্ষ ৷ 2013 সাল থেকে 2019 সাল পর্যন্ত মোট ছ’টি সেট পরীক্ষার মাধ্যমে মোট 13 হাজার 351 জনকে সহকারী অধ্যাপক পদের জন্য যোগ্য বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শুধু মোট হিসেব নয় ৷ প্রতিটি বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে কত সংখ্যক প্রার্থী নিয়োগ হয়েছে, তারও সম্পূর্ণ হিসাব দিয়েছে কমিশন ৷ যেমন, 2012 সালের বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে 1 হাজার 907 জনকে, 2015 সালের বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে 3 হাজার 260 জনকে, 2017 সালের বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে 106 জনকে, 2018 সালের বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে 2 হাজার 363 জনকে এবং 2019 সালে 62 জনকে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ করা হয়েছে রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলিতে ৷ আবার মোট চারটি বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে 2013 সাল থেকে যথাক্রমে 126, 66, 66 এবং 69 জনকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হয়েছে ৷ প্রতিটি সেট পরীক্ষায় কত সংখ্যক প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাও প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের খতিয়ানে।
আরও পড়ুন : নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় প্রতীকী পাঠশালা গড়ে আন্দোলন শিক্ষক পদপ্রার্থীদের
10 বছরের এই কাজের খতিয়ান নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর জানান, গত 10 বছরে কমিশন যে কাজ করেছে, এটা তারই একটা মূল্যায়ন ৷ এই মুহূর্তে রাজ্যে যত জন সহকারী অধ্যাপক রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে 50 শতাংশকেই গত 10 বছরে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয় ৷ রাজ্য়ে কর্মরত অধ্যক্ষদের মধ্যেও 75 শতাংশের যোগদানের সুপারিশও করা হয় এই সময়ের মধ্যেই ৷ 2018 সাল পর্যন্ত ধরলে 10 হাজার চাকরিপ্রার্থী তৈরি করা হয়েছে ৷ চাকরি দেওয়া হয়েছে সাতহাজার প্রার্থীকে ৷
পশ্চিমবঙ্গের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলির ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে দীপক বলেন, ‘‘অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকের চাহিদা ও জোগানের সামঞ্জস্য রাখাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য ৷ কোনও শূন্যপদ যাতে বেশিদিন পড়ে না থাকে, সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা ৷ যাতে কোনও কলেজই অধ্যক্ষবিহীন বা কোনও বিভাগ অধ্য়াপকবিহীন অবস্থায় বেশি দিন পড়ে না থাকে ৷ এই লক্ষ্যগুলিকে সামনে রেখেই আমরা এগিয়ে চলেছি। প্রতি বছর কাজটা নিয়মিতভাবে করে যাওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য।’’