কলকাতা, 12 মার্চ : নন্দীগ্রাম দিবস ৷ 2008 সাল থেকে যে দিনটির তাৎপর্য তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে অপরিসীম ৷ এবার নির্বাচনী আবহে সেই তাৎপর্য আরও কয়েকগুন বেড়ে গিয়েছে ৷ আর তাতে নতুন মাত্রা যোগ হতে চলেছে ৷ এবার সেই নন্দীগ্রাম দিবসেই ইস্তাহার প্রকাশ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তৃণমূলের সূত্র থেকে অন্তত তেমনটাই জানা গিয়েছে ৷
2007 সালের 14 মার্চ ৷ পূর্ব মেদিনীপুরে নন্দীগ্রাম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে ৷ তার আগে থেকেই অবশ্য উত্তেজনার পারদ চড়েছিল ওই এলাকায় ৷ তৎকালীন বাম সরকারের জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি গড়ে আন্দোলন চলছিল ৷ 2007 সালের 14 মার্চ পুলিশের সঙ্গে মূলত ওই ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটিরই খণ্ডযুদ্ধ হয় ৷
সেদিন পুলিশের গুলিতে 14 জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ৷ অনেকে নিখোঁজ হয়ে যান ৷ তার পর নন্দীগ্রামের আন্দোলনকে পুঁজি করে বাংলার রাজনীতিতে তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি হতে শুরু করে ৷ ভোটের রাজনীতিতেও বামেদের ক্রমশ পিছনে ফেলতে শুরু করে তৃণমূল ৷ সিঙ্গুরের সঙ্গে নন্দীগ্রামও 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেসের বাংলায় ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছে ৷
তাই নন্দীগ্রাম বরাবর তৃণমূলের কাছে আলাদা গুরুত্ব পায় ৷ কিন্তু গত কয়েক মাসে সেই নন্দীগ্রাম আবার আলোচনার কেন্দ্রে ৷ কারণ, নন্দীগ্রামে সেদিনের আন্দোলনের কৃতিত্ব কার, তা নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে ৷ তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বারবার দাবি করছেন যে ওই আন্দোলনে তাঁরই কৃতিত্ব সবচেয়ে বেশি ৷
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সেদিন নন্দীগ্রামের মানুষ বাম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন ৷ তাই আন্দোলনে মমতার একার কৃতিত্ব রয়েছে বলে দাবি করছে তৃণমূল ৷ আর সেটা প্রমাণ করতে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রয়েছেন বিজেপির শুভেন্দুর অধিকারীও ৷
আরও পড়ুন : বাড়ি ফিরলেন মমতা, 7 দিন পর ফের পরীক্ষা
তাই এবার 14 মার্চ নন্দীগ্রাম দিবসের গুরুত্ব তৃণমূলের কাছে স্বাভাবিক ভাবেই অনেক বেশি ৷ সম্ভবত সেই কারণে তৃণমূল এবার ইস্তাহারও 14 মার্চ প্রকাশ করতে চলেছে ৷ তৃণমূল কংগ্রসের সূত্র থেকে এই খবর পাওয়া গিয়েছে ৷