কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি : ব্রিগেডে সমাবেশ শেষ হওয়ার আগে সভামঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কারণ তার কিছুক্ষণ আগে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের নেতা ঘোষণা করেছেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে 294 আসনের সমস্ত জায়গায় তাঁরা বামফ্রন্ট এবং শরিক দলগুলিকে ভোট দেবেন। আব্বাসের বক্তব্যে প্রথম স্থান পায়নি কংগ্রেসের কথা । কংগ্রেসের প্রতি তাঁর বার্তা, ভিক্ষা করতে তাঁরা আসেননি। নির্বাচনে ভাগ নিতে এসেছেন। এখনও আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে। ইচ্ছা করলে হাত ধরতে আসতে পারে কংগ্রেস। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়ে আব্বাস সিদ্দিকীর কোনও আলোচনা যে হয়নি তা এদিনের সভায় স্পষ্ট ।
অধীর চৌধুরির বক্তব্যের সময় আব্বাস সিদ্দিকীর অনুগামীরা প্রবল বিশৃংখলা শুরু করে ব্রিগেডের মাঠে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে হঠাৎ থেমে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি । কোনওমতে বক্তব্য শেষ করে সভামঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যান অধীর-সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা। বামফ্রন্টের প্রতি অগাধ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন আব্বাস সিদ্দিকী। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে 30টি আসন পেয়ে খুশি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। বারবার এদিন সভামঞ্চে থেকে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকী। অথচ কংগ্রেসের নাম মুখে পর্যন্ত আনেননি। আব্বাস সিদ্দিকীর বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়ে ছিল বামফ্রন্ট প্রার্থীদের জয়ী করার বার্তা।
আরও পড়ুন : আব্বাস-অধীরের স্নায়ুযুদ্ধ, জোটের আকাশে কালো মেঘ নিয়ে শেষ হল বামেদের ব্রিগেড
আব্বাস সিদ্দিকী জানান, বামফ্রন্টের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টি এক সপ্তাহ আগে হলে, এই ব্রিগেডে আরও জনসমাগম হত। যদিও কংগ্রেসকে এদিন তিনি আলোচনার বার্তা দিয়েছেন । আজকের ব্রিগেড সমাবেশ থেকে স্পষ্ট হয়ে গেল, বামফ্রন্টের সঙ্গে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের আসন সমঝোতা হলেও কংগ্রেসের সঙ্গে এখনও সমাধান সূত্র অধরা রইল। আর কয়েকদিন পর থেকে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস জোট প্রক্রিয়াকে সম্পন্ন করতে পারল না।