কলকাতা, 11 মার্চ : আক্রান্ত হলেও প্রচার থামাতে চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ভাঙা পা নিয়েই প্রচার করতে চান তিনি ৷ প্রয়োজনে হুইলচেয়ারে বসেই ভাষণ দেবেন তৃণমূলনেত্রী ৷ তাই দ্রুত জেলা সফরে বেরিয়ে পড়তে চান৷
কিন্তু তাঁর সেই ইচ্ছেয় আপাতত চিকিৎসকরা বাধ সাধছেন বলে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে ৷ আপাতত তাঁকে বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা ৷
যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, শনিবার থেকেই জেলা সফরে বেরিয়ে পড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী ৷ ঠিক ছিল ওইদিন তিনি যাবেন পুরুলিয়া ৷ সেখানে তিনি দু’টি জনসভা করবেন ৷ সেখান থেকে তিনি চলে যাবেন বাঁকুড়ায় ৷ পরদিন রবিবার বাঁকুড়ায় তিনি তিনটি জনসভা করবেন ৷ সেখান থেকে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে যাবেন ঝাড়গ্রামে ৷
তৃণমূলের ওই সূত্র জানাচ্ছে যে শনিবার মুখ্যমন্ত্রীকে জেলা সফরের ধকল না নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷ তাই শনি ও রবিবারের কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হচ্ছে ৷ তা কবে হবে তা ঠিক করা হয়নি ৷ আপাতত ঠিক আছে যে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে যাবেন ঝাড়গ্রামে ৷
সেখান মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরে তাঁর তিনটি জনসভা রয়েছে ৷ তাঁর সভা হবে কলাইকুন্ডা, গড়বেতা, কেশিয়াড়িতে ৷ পূর্ব মেদিনীপুরে বুধবার জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ ওই দিন তিনি সভা করবেন এগরা, পটাশপুর ও তমলুকে ৷ কিন্তু এই কর্মসূচি নিশ্চিত নয়৷ কারণ, এর জন্যও চিকিৎসকদের অনুমতির অপেক্ষা করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ তৃণমূল সূত্র থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে ৷
উল্লেখ্য, ভবানীপুরের বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার পূর্ব নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ছেন ৷ মঙ্গলবার তিনি নন্দীগ্রামে যান ৷ বুধবার সকালে বেশ কয়েকটি মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র পেশ করেন ৷ তার পর ফিরে আসেন নন্দীগ্রামে ৷
সেখানে আবার প্রচার সংক্রান্ত কর্মসূচিতে যোগদান করেন ৷ সেখান থেকে নন্দীগ্রামে তাঁর জন্য নির্দিষ্ট বাড়িতে যাওয়ার পথে রওনা দেন ৷ তার মধ্যেই মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে আহত হন মমতা ৷ তাঁর পায়ে আঘাত লাগে ৷ তাঁর মাথা ও শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাত লাগে ৷
আরও পড়ুন : সিসিটিভিতেই সূর্যোদয় ! উত্তর খুঁজছে নন্দীগ্রাম
তার পর সেখান থেকে গ্রিন করিডর করে সোজা কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ আপাতত তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ৷