কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি : পুলিশ আধিকারিক ও ভোট কর্মীদের নিজেদের জেলা ও কাজের জায়গা থেকে দূরে রাখতে তৈরি করা হচ্ছে একটি বিশেষ অ্যাপ । পুলিশ কর্মী ও নির্বাচনী আধিকারিকদের যেকোনও রকম রাজনৈতিক চাপ থেকে মুক্ত রাখতেই এই ব্যবস্থা । নির্বাচন কমিশনের তরফে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে ৷ কমিশন সূত্রে খবর, এই অ্যাপের মাধ্যমে পুলিশ ইন্সপেক্টর ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের পোস্টিং ব়্যানডম ভাবে করা হবে ৷ সবার নাম দিয়ে ডিজিটাল একটি ডেটাবেস তৈরি করা হবে । কম্পিউটার নিজের মতো করে সাজিয়ে নেবে নামগুলি ৷ সেই কারণেই বলা হচ্ছে যে পুরো কাজটি ব়্যানডম ভাবে করা হবে ৷ এখানে বাইরে থেকে কেউ এই ডেটাবেস বদল করতে পারবেন না ৷
এখানে দু’টি ডিটাবেস তৈরি করা হবে । একটি পুলিশ আধিকারিকদের এবং অপরটি নির্বাচনী আধিকারিকদের । পুলিশের ডেটাবেসটিতে পুলিশ আধিকারিকদের সম্পর্কে খুঁটিনাটি সব তথ্য দেওয়া থাকবে, যেমন- পুলিশ আধিকারিকদের নাম, ঠিকানা ও কাজের জায়গা । এছাড়াও এই ডেটাবেসে কোন রাজ্যে কোথায় কত পুলিশ আধিকারিক রয়েছে, কোন আধিকারিকদের কোথায় পোস্টিং, কতজনকে ভোটের কাজের জন্য ব্যবহার করা যাবে-সহ আরও অন্যান্য তথ্য থাকবে । ঠিক একইভাবে নির্বাচনী আধিকারিকদের ডিটাবেসটিতে সমস্ত আধিকারিকদের সম্বন্ধে সব তথ্য দেওয়া থাকবে ।
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানা গিয়েছে, দু’টি ডেটাবেসই এলোমেলোভাবে সাজানো হবে । ব়্যানডন ভাবে তালিকা তৈরির তিনটি ধাপ থাকবে । প্রথম ধাপে আরও বর্ধিত একটি জেলা সম্পর্কিত ডেটাবেস থেকে যোগ্যতা সম্পন্ন পুলিশ আধিকারিক ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নাম চূড়ান্ত করা হবে । এরপর এঁদের নির্বাচন পরিচালনা সম্পর্কিত একটি প্রশিক্ষণ নিতে হবে । দ্বিতীয় পর্যায়ে এই প্রশিক্ষিত আধিকারিকদের তালিকা থেকে কয়েকজনের নাম বেছে নেওয়া হবে । জেনারেল অবজারভারের সামনে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হবে । তৃতীয় পর্যায় এই পর্যায়ে এই আধিকারিকদের জন্য পোলিং স্টেশনের বণ্টন হবে ৷
আরও পড়ুন : এবার হিংসাহীন নির্বাচন হবে, রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মন্তব্য রাজ্যপালের
অন্যদিকে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশন এবার তিনটি বিভাগের সৃষ্টি করেছে । শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তি, যাঁরা করোনা চিকিৎসাধীন ও প্রবীণ নাগরিক যাঁদের বয়স 80 বছরের উর্ধ্বে । নির্বাচন ঘোষণার পরই তাঁদের বাড়ি গিয়ে ফর্ম দেওয়ার কাজ শুরু হবে ।