কলকাতা, 16 অক্টোবর: পেটের চিকিৎসা না করে বুকের চিকিৎসা করেছিল হাসপাতাল। গত বছর ডিসেম্বর মাসের সেই ঘটনায় দুর্গাপুরে অবস্থিত বেসরকারি এক হাসপাতালকে 50 হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন। শুধু তাই নয়, চিকিৎসায় অবহেলার অন্য একটি অভিযোগও ছিল এই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ৷ সেই অভিযোগের ঘটনায় কমিশনের কাছে ভুল তথ্য় পেশের অভিযোগ উঠেছিল ৷ সেই ঘটনাতেও ওই হাসপাতালকে 20 হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য়ের স্বাস্থ্য় কমিশন।
স্বাস্থ্য কমিশন অর্থাৎ, ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC) জানিয়েছে, দুর্গাপুরের বেসরকারি এক হাসপাতালে পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ভরতি হন বছর ষাটের এক রোগী। অথচ, পেটের চিকিৎসা না করে এই রোগীর বুকের অর্থাৎ, কার্ডিওলজি চিকিৎসা করতে শুরু হয় ৷ অভিযোগে জানানো হয়, ওই হাসপাতালকে রোগীর পরিজনরা অনেকবার জানায়, যে রোগীর পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে। তবে, পরিবারের কথায় গুরুত্ব না দেয় না হাসপাতাল ৷ উলটে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা অসন্তুষ্ট হন। অভিযোগ ওঠে জোর করে রোগীর অ্যাঞ্জিওগ্রাম ও ECG সহ নানা রকম টেস্টও করা হয়েছিল৷ কমিশন জানিয়েছে, পেটের সমস্যার দিকে প্রথমে নজরই দেননি চিকিৎসকরা। দুর্গাপুরের ওই হাসপাতালে ভরতি করানোর আগে এই রোগীর USG করানো হয়েছিল। ওই USG নর্মাল ছিল। তবে, দ্বিতীয়বার আর তাঁর USG করাতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ পরে পরিবারের চাপে USG করালে গলব্লাডারে স্টোন পাওয়া যায় ৷ তবে, তখন আর রোগীকে ওই হাসপাতালে রাখতে চাননি পরিজনরা। এরপর রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছুটি করিয়ে হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তাঁর পেটের অস্ত্রোপচার করা হয়। রোগী বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।
দুর্গাপুরের বেসরকারি এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অন্য একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে স্বাস্থ্য কমিশনে। গত বছরের 30 সেপ্টেম্বর এক প্রৌঢ়কে এই হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছিল। ওই হাসপাতালে গত বছরের 3 অক্টোবর এই রোগীর মৃত্যু হয়। চিকিৎসা সংক্রান্ত এই অভিযোগের জেরে দুর্গাপুরের ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব তলব করে কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, এই জবাব দেওয়ার সময় আসানসোলের বাসিন্দা এই রোগীর বদলে দুর্গাপুরের বাসিন্দা অন্য এক প্রৌঢ়র কেস হিস্ট্রি কমিশনে পেশ করে এই হাসপাতাল। এর ফলে অভিযোগকারীকে হেনস্থা হতে হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগকারীকে ১০ হাজার টাকা এবং এই কমিশনকে 10 হাজার টাকা অর্থাৎ, মোট 20 হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য দুর্গাপুরের বেসরকারি ওই হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ওই হাসপাতালকে সঠিক তথ্য পেশ করতে বলা হয়েছে। পুজোর পরে এই মামলার শুনানি হবে বলেও কমিশন জানিয়েছে।
দুর্গাপুরের এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অন্য আরও একটি অভিযোগ জামা পড়ে রাজ্যের এই স্বাস্থ্য কমিশনে। এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসার পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই অভিযোগটি ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলে জানানোর জন্য অভিযোগকারীকে জানিয়েছে কমিশন।
পেটের বদলে বুকের চিকিৎসা, বেসরকারি হাসপাতালকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ কমিশনের - দুর্গাপুর
দুর্গাপুরের ওই হাসপাতালে ভরতি করানোর আগে এই রোগীর USG করানো হয়েছিল। ওই USG নর্মাল ছিল। তবে, দ্বিতীয়বার আর তাঁর USG করাতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ পরে পরিবারের চাপে USG করালে গলব্লাডারে স্টোন পাওয়া যায় ৷
কলকাতা, 16 অক্টোবর: পেটের চিকিৎসা না করে বুকের চিকিৎসা করেছিল হাসপাতাল। গত বছর ডিসেম্বর মাসের সেই ঘটনায় দুর্গাপুরে অবস্থিত বেসরকারি এক হাসপাতালকে 50 হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন। শুধু তাই নয়, চিকিৎসায় অবহেলার অন্য একটি অভিযোগও ছিল এই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ৷ সেই অভিযোগের ঘটনায় কমিশনের কাছে ভুল তথ্য় পেশের অভিযোগ উঠেছিল ৷ সেই ঘটনাতেও ওই হাসপাতালকে 20 হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য়ের স্বাস্থ্য় কমিশন।
স্বাস্থ্য কমিশন অর্থাৎ, ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC) জানিয়েছে, দুর্গাপুরের বেসরকারি এক হাসপাতালে পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ভরতি হন বছর ষাটের এক রোগী। অথচ, পেটের চিকিৎসা না করে এই রোগীর বুকের অর্থাৎ, কার্ডিওলজি চিকিৎসা করতে শুরু হয় ৷ অভিযোগে জানানো হয়, ওই হাসপাতালকে রোগীর পরিজনরা অনেকবার জানায়, যে রোগীর পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে। তবে, পরিবারের কথায় গুরুত্ব না দেয় না হাসপাতাল ৷ উলটে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা অসন্তুষ্ট হন। অভিযোগ ওঠে জোর করে রোগীর অ্যাঞ্জিওগ্রাম ও ECG সহ নানা রকম টেস্টও করা হয়েছিল৷ কমিশন জানিয়েছে, পেটের সমস্যার দিকে প্রথমে নজরই দেননি চিকিৎসকরা। দুর্গাপুরের ওই হাসপাতালে ভরতি করানোর আগে এই রোগীর USG করানো হয়েছিল। ওই USG নর্মাল ছিল। তবে, দ্বিতীয়বার আর তাঁর USG করাতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ পরে পরিবারের চাপে USG করালে গলব্লাডারে স্টোন পাওয়া যায় ৷ তবে, তখন আর রোগীকে ওই হাসপাতালে রাখতে চাননি পরিজনরা। এরপর রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছুটি করিয়ে হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তাঁর পেটের অস্ত্রোপচার করা হয়। রোগী বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।
দুর্গাপুরের বেসরকারি এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অন্য একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে স্বাস্থ্য কমিশনে। গত বছরের 30 সেপ্টেম্বর এক প্রৌঢ়কে এই হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছিল। ওই হাসপাতালে গত বছরের 3 অক্টোবর এই রোগীর মৃত্যু হয়। চিকিৎসা সংক্রান্ত এই অভিযোগের জেরে দুর্গাপুরের ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব তলব করে কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, এই জবাব দেওয়ার সময় আসানসোলের বাসিন্দা এই রোগীর বদলে দুর্গাপুরের বাসিন্দা অন্য এক প্রৌঢ়র কেস হিস্ট্রি কমিশনে পেশ করে এই হাসপাতাল। এর ফলে অভিযোগকারীকে হেনস্থা হতে হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগকারীকে ১০ হাজার টাকা এবং এই কমিশনকে 10 হাজার টাকা অর্থাৎ, মোট 20 হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য দুর্গাপুরের বেসরকারি ওই হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ওই হাসপাতালকে সঠিক তথ্য পেশ করতে বলা হয়েছে। পুজোর পরে এই মামলার শুনানি হবে বলেও কমিশন জানিয়েছে।
দুর্গাপুরের এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অন্য আরও একটি অভিযোগ জামা পড়ে রাজ্যের এই স্বাস্থ্য কমিশনে। এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসার পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই অভিযোগটি ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলে জানানোর জন্য অভিযোগকারীকে জানিয়েছে কমিশন।