কলকাতা, ১১ মে: পদ্মভূষণ ওয়াই সি দেবেশ্বরের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ITC চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া কলকাতা সহ ভারতের শিল্পমহলে ।
কলকাতার প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি তথা প্যাটন গ্রুপের কর্ণধার সঞ্জয় বুধিয়া বলেন, "ITC-র চেয়ারম্যান ছিলেন বাংলার প্রতিনিধি । তাঁর সঙ্গে শিল্পপতিরা যেতে গর্ববোধ করতেন । যে কোনও বাণিজ্য সামিটে তাঁর উপস্থিতি ছিল গুরুত্বপূর্ণ । তাঁর কাছে শিল্পে বিনিয়োগের অন্যতম ক্ষেত্র বাংলা । বাংলা মানেই বাণিজ্যক্ষেত্র, যার অন্যতম আইকন ছিল ওয়াই সি দেবেশ্বর । বাংলার প্রতি উনি ছিলেন আস্থাশীল । সেজন্যই একের পর এক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন এই বাংলায় । তাঁর প্রয়াণে আজ ভারতের শিল্পমহলে অপূরণীয় ক্ষতি হল । আমরা একজন নেতা, একজন পথপ্রদর্শক, একজন বন্ধুকে হারালাম ।"
শিল্পপতি হর্ষবর্ধন নেওটিয়া বলেন, "পারিবারিক সূত্রে অনেক দিন ধরে ওঁকে চিনতাম । ওঁর মৃত্যু ব্যক্তিগতভাবে খুব বড় ক্ষতি আমাদের । যেভাবে উনি ITC-কে দুঃসময় থেকে তুলে এনে আন্তর্জাতিকস্তরে পৌঁছে দিয়েছেন, সেটা অসাধারণ । উনি কেবলমাত্র আমাদের দেশে নয়, আন্তর্জাতিকস্তরেও যথেষ্ট পরিচিত ছিলেন ।"
কলকাতার প্রাক্তন সুইডিশ কনস্যুলেট জেনেরাল অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, "আজকের দিনটি সকলের কাছে সত্যিই দুঃখের । দেবেশ্বর এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি ITC-কে অনন্যস্তরে নিয়ে গেছিলেন । খুব সহজেই কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে একাজ করেছিলেন । ওঁর সময়ে ITC চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করেছিল । ITC ভারতের প্রথম সংস্থা যারা পরিবেশ সচেতনতায় জোর দিয়েছিল । দেবেশ্বর ছিলেন একজন নেতা ও পথপ্রদর্শক ।"
দেবেশ্বরের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে IIS ইয়ং ইন্ডিয়ান-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান হর্ষ খেমকা বলেন, "আমি সৌভাগ্যবান যে ওঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল । ওঁর সঙ্গে ঘণ্টাখানেকের সাক্ষাৎ সারাজীবনের অভিজ্ঞতা । তাঁর মৃত্যু ভারতেরই নয়, বিশ্বের অপূরণীয় ক্ষতি । তাঁর মতো ব্যক্তিত্ব সত্যিই বিরল ।"