কলকাতা, 7 জানুয়ারি : কলেজে সহকারি অধ্যাপক পদে নিয়োগের জন্য নতুন বিজ্ঞাপন দিয়েছে কলেজ সার্ভিস কমিশন। চলছে আবেদনগ্রহণ প্রক্রিয়াও। তার মধ্যেই বিক্ষোভে সরব 2018 সালের রাজ্যের কলেজগুলিতে অধ্যাপক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে রাজ্যের কলেজগুলিতে প্রায় 30 হাজার শূন্যপদ রয়েছে। যেগুলিতে নিয়োগের জন্য অনুমোদন দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। অথচ, আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওয়েটিং লিস্টে সব বিষয় মিলিয়ে এখনও 400-র মতো প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের সকলের চাকরি পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। এই দাবিতে আজ কলেজ স্ট্রিটে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন ওয়েটিং লিস্টে থাকা কলেজের সহকারী অধ্যাপক পদপ্রার্থীরা।
2018 সিএসসি এমপ্যানেলড ক্যান্ডিডেটস অর্গানাইজেশন নামের একটি সংগঠনের ছাতার তলায় এক হয়ে আজ প্রতিবাদে নামেন 2018 সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা। মূলত, SACT-এর অধীনে অনেকেই কলেজে পড়ানোর ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও কলেজে পড়ানোর স্বীকৃতি পাচ্ছেন, অথচ তাঁরা সব যোগ্যতা অর্জন করেও এখনও পর্যন্ত চাকরি পাননি, এই অভিযোগই জোরালভাবে তোলেন বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি, রাজ্যের 452টি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে প্রায় 30 হাজার শূন্যপদ থাকলেও কেন মেধাতালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন তাঁরা।
নিজেদের দাবি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের তরফে সুতপা বোস বলেন, "আমাদের 2018 সালের মেধাতালিকাভুক্ত প্রার্থীদের সঙ্গে যে অন্যায়, অবিচার হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানাতেই আজ আমরা এখানে জমায়েত হয়েছি। দেখা গিয়েছে যে 2018 সালে বিভিন্ন বিষয়ে ইন্টারভিউ নেওয়া হলেও প্ল্যান্ট প্রোটেকশন নামক বিষয়টির এখনও পর্যন্ত ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি উইমেন্স স্টাডিজ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিস্ট্রি, মলিকিউলার বায়োলজি, এই সমস্ত বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি। শুধু এই তিনটে বিষয় নয়, বিভিন্ন বিষয়ে চূড়ান্ত মেধাতালিকা এখনও প্রকাশিত হয়নি। তার বদলে 'প্রভিশনাল মেধাতালিকা' এই শব্দগুলি ব্যবহার করে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তার পাশাপাশি, আমরা বিভিন্ন কলেজে খোঁজ নিয়ে দেখেছি যে প্রায় 30 হাজার তথা 65 শতাংশ শূন্যপদ রয়েছে, যেগুলিতে সরকার অনুমোদন দিচ্ছে না। এই যে একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা 2018 সালের এমপ্যানেলড প্রার্থীরা বিভিন্ন দিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।"
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে বিক্ষোভ যাদবপুরের পড়ুয়াদের
সুতপা আরও বলেন, "UGC-র গাইডলাইন অনুযায়ী, 6 মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার কথা। সেটাও হয়নি। তাছাড়া, কলেজে SACT নিয়োগ করা হচ্ছে। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি বহু সংখ্যক SACT রয়েছেন যাঁদের কলেজে পড়ানোর ন্যূনতম যোগ্যতা নেই। অথচ, আমরা আজকে যাঁরা এখানে জমায়েত হয়েছি তাঁদের কলেজে পড়ানোর ন্যূনতম যোগ্যতা রয়েছে, NET, SET, M.Phil, P.hd রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের যোগ্যতার পরীক্ষায় পাশ করে ইন্টারভিউ দিয়ে প্যানেলভুক্ত হয়েছি। কিন্তু, আমাদের এখনও নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়নি। পাশাপাশি, নতুন একটা নিয়োগের পদ্ধতি শুরু করা হয়েছে। আমাদের দাবি, আমাদের 400 জনের মতো ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন বিভিন্ন বিষয় মিলিয়ে, আমাদের প্রত্যেককে সরকার নিয়োগ দিক। সঙ্গে আগের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেই নতুন করে নিয়োগের দিকে এগোক সরকার।"