ETV Bharat / city

বিক্ষোভকারীদের এড়িয়ে ভোরে প্রেসিডেন্সির বাইরে উপাচার্য, ফেরত এলেন সকাল 11টায়

সারারাত নিজের অফিসে বন্দী থাকলেও আজ ভোর 5টা 50 থেকে 6টা নাগাদ বিক্ষোভকারীদের নজর এড়িয়ে কোনও একটি গেট দিয়ে বেরিয়ে যান প্রেসিডেন্সির উপাচার্য ৷ বেশ কিছুক্ষণ পর পড়ুয়ারা টের পায় যে, উপাচার্য তাঁর ঘরে নেই ৷

presidency
প্রেসিডেন্সিতে ফিরলেন উপাচার্য
author img

By

Published : Feb 4, 2020, 11:49 AM IST

Updated : Feb 4, 2020, 10:17 PM IST

কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি: পড়ুয়ারা বসেছিল অবস্থান-বিক্ষোভেই । সেই সময়, ভোরে তাদের নজর এড়িয়ে অন্য গেট দিয়ে বেরিয়ে যান প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য । তবে বেলা 11টায় ফিরেও আসেন ।

হিন্দু হস্টেল নিয়ে মোট চারদফা দাবি জানিয়ে 21 জানুয়ারি থেকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস কর্নারের ভিতরে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছিল হস্টেলের আবাসিকরা ৷ তাদের প্রথম দাবি অনুযায়ী হিন্দু হস্টেলের তিন, চার ও পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত তারা ডিন অফ স্টুডেন্টস কর্ণারকেই হিন্দু হস্টেলের তিন, চার ও পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করবে। যদিও তাদের আন্দোলনের জেরে ডিন অফ স্টুডেন্টস অরুণ কুমার মাইতি তাঁর অফিসই পরিবর্তন করে নেন । তারপরও চলতে থাকে আবাসিকদের অবস্থান-বিক্ষোভ । তাদের দ্বিতীয় দাবি ছিল, হিন্দু হস্টেলের মেস স্টাফদের সংখ্যা বাড়াতে হবে । কারণ, বর্তমান যারা মেস স্টাফ রয়েছে তারা চাইলেও পর্যাপ্ত পরিষেবা দিতে পারছে না ৷ এর মূল কারণ হল পড়ুয়াদের অনুপাতে কর্মীদের সংখ্যা অনেক কম । অথচ মেস স্টাফদের সংখ্যা বাড়ানোর পরিবর্তে 6 মেস স্টাফ ও 2 রাঁধুনিকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয় বলে জানায় আন্দোলনকারী আবাসিকরা । তাদের অভিযোগ, গত চারদিন ধরে হস্টেলে রান্না হচ্ছে না । পুরানো স্টাফ, যারা 25-30 বছর ধরে হিন্দু হস্টেলে কাজ করছে তাদের আবার পুনর্বহালের দাবিও তুলেছে পড়ুয়ারা । কিন্তু, তাদের দাবি পূরণে কর্তৃপক্ষ নাকি কোনও পদক্ষেপ করেনি । তাই গতকাল দুপুর দু'টো নাগাদ উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াকে ঘেরাও করে পড়ুয়ারা ৷ তাঁর অফিসে ঢোকার দুটি গেটের বাইরেই অবস্থানে বসে তারা ৷ কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে সমাধানের কোনও আশ্বাস না দিলে এই বিক্ষোভ চলবে বলেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ৷

উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার ঘরে রাত কাটান রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার, ডিন অফ স্টুডেন্টস অরুণ কুমার মাইতি সহ অন্য আধিকারিক ও অধ্যাপকরা । কিন্তু, আজ ভোর সাড়ে 5টা- 6টা নাগাদ উপাচার্য ও তাঁর অফিসে থাকা অন্যরা অন্য একটি গেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে চলে যান । প্রায় 16 ঘণ্টা ধরে উপাচার্যের ঘরের বাইরে বসে থাকলেও উপাচার্য তাঁদের সঙ্গে একবারও কথা বলতে আসেননি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের ।

প্রেসিডেন্সিতে বিক্ষোভকারী পড়ুয়া ও তাদের বক্তব্য

হিন্দু হস্টেলের আবাসিক আত্মজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা যে দাবিগুলি নিয়ে ঘেরাওতে বসেছিলাম, সারাদিন অবস্থান-বিক্ষোভ চালানোর পরও উপাচার্য একবারও বেরিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেননি । রাতে আমরা সবাই এখানেই করিডোরে শুয়েছিলাম । ভোর পাঁচটা, তখনও অন্ধকার কাটেনি, এরকম সময় উপাচার্য এবং তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁরা বেরিয়ে যান । আমাদের ঘেরাও চলছিল, চলবে। আমরা আমাদের আন্দোলন থেকে নড়ব না ৷’’

এভাবে উপাচার্যের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এই সংস্কৃতিটা প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিনের । বস্তুত মেরুদণ্ড বলে ন্যূনতম জিনিসটা থাকার কথা কর্তৃপক্ষের আসনে থাকতে গেলে, সেটা ABCD রাজনৈতিক দলের কাছে তাঁরা বিকিয়ে দিয়েছেন ৷ এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আমরা ঘেরাও করেছি, বিভিন্ন বিষয়ের উত্তর চেয়েছি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে । কিন্তু আমাদের দাবি অগ্রাহ্য করে পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান তাঁরা । আজও সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল । এদের থেকে আর বেশি কিছু আমরা আশা করি না ৷’’

পরে 11টা 20 নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া । সেই সময় স্লোগান তুলে উপাচার্যের ঘরের একটি গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল আন্দোলনকারীরা । উপাচার্য লিফ্টে করে উপরে উঠে অন্য দরজা দিয়ে ঢুকে যান নিজের অফিসে । উপাচার্যের অফিসের বাইরে এখনও ঘেরাও চলছে ৷

এদিকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘেরাওয়ের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । বলেন, কথায় কথায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন, তাঁদের ঘেরাও করার রাজনীতি ঠিক নয়।

কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি: পড়ুয়ারা বসেছিল অবস্থান-বিক্ষোভেই । সেই সময়, ভোরে তাদের নজর এড়িয়ে অন্য গেট দিয়ে বেরিয়ে যান প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য । তবে বেলা 11টায় ফিরেও আসেন ।

হিন্দু হস্টেল নিয়ে মোট চারদফা দাবি জানিয়ে 21 জানুয়ারি থেকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস কর্নারের ভিতরে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছিল হস্টেলের আবাসিকরা ৷ তাদের প্রথম দাবি অনুযায়ী হিন্দু হস্টেলের তিন, চার ও পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত তারা ডিন অফ স্টুডেন্টস কর্ণারকেই হিন্দু হস্টেলের তিন, চার ও পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করবে। যদিও তাদের আন্দোলনের জেরে ডিন অফ স্টুডেন্টস অরুণ কুমার মাইতি তাঁর অফিসই পরিবর্তন করে নেন । তারপরও চলতে থাকে আবাসিকদের অবস্থান-বিক্ষোভ । তাদের দ্বিতীয় দাবি ছিল, হিন্দু হস্টেলের মেস স্টাফদের সংখ্যা বাড়াতে হবে । কারণ, বর্তমান যারা মেস স্টাফ রয়েছে তারা চাইলেও পর্যাপ্ত পরিষেবা দিতে পারছে না ৷ এর মূল কারণ হল পড়ুয়াদের অনুপাতে কর্মীদের সংখ্যা অনেক কম । অথচ মেস স্টাফদের সংখ্যা বাড়ানোর পরিবর্তে 6 মেস স্টাফ ও 2 রাঁধুনিকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয় বলে জানায় আন্দোলনকারী আবাসিকরা । তাদের অভিযোগ, গত চারদিন ধরে হস্টেলে রান্না হচ্ছে না । পুরানো স্টাফ, যারা 25-30 বছর ধরে হিন্দু হস্টেলে কাজ করছে তাদের আবার পুনর্বহালের দাবিও তুলেছে পড়ুয়ারা । কিন্তু, তাদের দাবি পূরণে কর্তৃপক্ষ নাকি কোনও পদক্ষেপ করেনি । তাই গতকাল দুপুর দু'টো নাগাদ উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াকে ঘেরাও করে পড়ুয়ারা ৷ তাঁর অফিসে ঢোকার দুটি গেটের বাইরেই অবস্থানে বসে তারা ৷ কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে সমাধানের কোনও আশ্বাস না দিলে এই বিক্ষোভ চলবে বলেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ৷

উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার ঘরে রাত কাটান রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার, ডিন অফ স্টুডেন্টস অরুণ কুমার মাইতি সহ অন্য আধিকারিক ও অধ্যাপকরা । কিন্তু, আজ ভোর সাড়ে 5টা- 6টা নাগাদ উপাচার্য ও তাঁর অফিসে থাকা অন্যরা অন্য একটি গেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে চলে যান । প্রায় 16 ঘণ্টা ধরে উপাচার্যের ঘরের বাইরে বসে থাকলেও উপাচার্য তাঁদের সঙ্গে একবারও কথা বলতে আসেননি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের ।

প্রেসিডেন্সিতে বিক্ষোভকারী পড়ুয়া ও তাদের বক্তব্য

হিন্দু হস্টেলের আবাসিক আত্মজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা যে দাবিগুলি নিয়ে ঘেরাওতে বসেছিলাম, সারাদিন অবস্থান-বিক্ষোভ চালানোর পরও উপাচার্য একবারও বেরিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেননি । রাতে আমরা সবাই এখানেই করিডোরে শুয়েছিলাম । ভোর পাঁচটা, তখনও অন্ধকার কাটেনি, এরকম সময় উপাচার্য এবং তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁরা বেরিয়ে যান । আমাদের ঘেরাও চলছিল, চলবে। আমরা আমাদের আন্দোলন থেকে নড়ব না ৷’’

এভাবে উপাচার্যের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এই সংস্কৃতিটা প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিনের । বস্তুত মেরুদণ্ড বলে ন্যূনতম জিনিসটা থাকার কথা কর্তৃপক্ষের আসনে থাকতে গেলে, সেটা ABCD রাজনৈতিক দলের কাছে তাঁরা বিকিয়ে দিয়েছেন ৷ এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আমরা ঘেরাও করেছি, বিভিন্ন বিষয়ের উত্তর চেয়েছি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে । কিন্তু আমাদের দাবি অগ্রাহ্য করে পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান তাঁরা । আজও সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল । এদের থেকে আর বেশি কিছু আমরা আশা করি না ৷’’

পরে 11টা 20 নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া । সেই সময় স্লোগান তুলে উপাচার্যের ঘরের একটি গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল আন্দোলনকারীরা । উপাচার্য লিফ্টে করে উপরে উঠে অন্য দরজা দিয়ে ঢুকে যান নিজের অফিসে । উপাচার্যের অফিসের বাইরে এখনও ঘেরাও চলছে ৷

এদিকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘেরাওয়ের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । বলেন, কথায় কথায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন, তাঁদের ঘেরাও করার রাজনীতি ঠিক নয়।

Mohali (Punjab), Feb 03 (ANI): A 62-year-old private security guard Nirmal Singh is running school for children of migrant labourers. Nirmal Singh, a resident of Ropar district, educates poor children and also provides them with books, toys, eatables, clothes. Besides guarding, Nirmal teaches students different languages including English, Punjabi, Hindi and mathematics. "It was my childhood dream to educate poor children. It took me around a year to convince parents of these children living in slums. At present, I am teaching around 60 children in Guru Nanak School," said Nirmal Singh.


Last Updated : Feb 4, 2020, 10:17 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.