কলকাতা, ১ ফেব্রুয়ারি : হাসপাতালে ভরতি পরিজনকে দেখতে গেছিলেন দুই বোন । অভিযোগ, রোগীকে দেখতে দিতে যাওয়ার জন্য তাঁদের কাছে টাকা চান এক নিরাপত্তাকর্মী । টাকা দিতে অস্বীকার করায়, নিরাপত্তাকর্মী এবং আয়াদের সঙ্গে বচসা বাধে । আরও অভিযোগ, তীব্র বচসার সময় দুই বোনকে মারধর করেন অভিযুক্তরা । রোগীর এই দুই পরিজন অন্তঃসত্ত্বা । শুক্রবারের এই ঘটনা আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের । এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । আজ এই ঘটনার তদন্ত করা হবে । তদন্তে অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণিত হলে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।
বেলগাছিয়ার বাসিন্দা দুই বোন অঞ্জু বিবি এবং মঞ্জু বিবি । শুক্রবার দুপুরে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি তাঁদের কাকাকে দেখতে যান । ওই সময় ভিজ়িটিং আওয়ারস ছিল না । অভিযোগ, ভিজ়িটিং আওয়ারস না থাকার জন্য টাকা না দিলে হাসপাতালে ভরতি ওই রোগীর কাছে পরিজনদের যেতে দেওয়া হবে না বলে জানান কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মী । ২০ টাকা চেয়েছিলেন নিরাপত্তাকর্মী । তবে, টাকা দিতে অস্বীকার করেন দুই বোন । এরপরে তাঁদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মী এবং আয়াদের বচসা বাধে । দুই বোন বলেন, রোগীকে দেখতে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল থেকে দেওয়া কার্ড ছিল । ওই কার্ডের মাধ্যমে একজনকে রোগীর কাছে যেতে দেওয়া হবে বলে প্রথমে জানিয়েছিলেন নিরাপত্তাকর্মী । একজন যেতেও চেয়েছিলেন । অভিযোগ, পরে মত বদল করেন নিরাপত্তাকর্মী । তখনই বচসা বাধে । এই বচসা এক সময় ধাক্কাধাক্কিতে পরিণত হয় ।
দুই বোনের একজন তিনমাসের এবং অন্যজন চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা । অভিযোগ, ধাক্কাধাক্কির সময় দুই বোন প্রহৃত হন । তাঁদের একজনের পেটে "লাথি" মারার অভিযোগ উঠেছে । তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন । তাঁদের একজন অচৈতন্যও হয়ে পড়েন । এরই মাঝে রোগীর বাড়ির অন্য লোকজন হাজির হন ঘটনাস্থানে । হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতি শুরু হয় । পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থানে আসে পুলিশ । প্রহৃত এই দুই বোনকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভরতি নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয় ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি অভিযোগকারিণীরা । তবে, এই অভিযোগের বিষয়ে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ শুদ্ধোধন বটব্যাল বলেন, "তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে । শনিবার তদন্ত করে দেখা হবে । অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"
অভিযোগ ওঠার পরে, অভিযুক্তদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে । যতক্ষণ না তদন্ত শেষ হচ্ছে ততক্ষণ তাঁদের কাজ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি ।