কলকাতা, 18 জুলাই : ভারত-বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য করিডর কলকাতা । শহর কলকাতার সঙ্গে সরাসরি সীমান্তের যোগাযোগ । সেই সূত্রেই পেট্রাপোল সীমান্তকে ধরা হয় অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সাধারণভাবে এই সীমান্ত এলাকায় থাকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। স্মাগলাররা আশেপাশে বর্ডার আউটপোস্ট ব্যবহার করলেও এড়িয়ে চলে পেট্রাপোল সীমান্ত। এবার সেখান থেকেই বড়োসড়ো পরিমাণে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ পাচারের চেষ্টা। যদিও সেই চেষ্টা রুখে দিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সবমিলিয়ে উদ্ধার হয়েছে দু লাখ টাকারও বেশি মূল্যের নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ।
BSF সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট সোর্সের মাধ্যমে 158 নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা জানতে পারে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে হবে চোরাচালান। সেইমতো তৈরি ছিল জাওয়ানেরা। মূল চেকপোস্টের কিছুটা দূরে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দেখতে পায় কয়েকজন মাথায় করে কিছু একটা নিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত সেখানে পৌঁছে যায় BSF। কিন্তু ততক্ষণে মাথার জিনিস নামিয়েই পালিয়েছে চোরাচালানকারীরা। সেখানে উদ্ধার হয়েছে 487 বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ। অন্যদিকে মালদা সেক্টরের মেহেদিপুর বর্ডার আউট পোস্টে কাছে গতরাতে রহস্যজনক গতিবিধি দেখতে পায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। চোরাচালান কারীদের দ্রুত চ্যালেঞ্জ করে জওয়ানেরা। অন্ধকার আর কাদামাটির সুযোগ নিয়ে চোরাচালানকারীরা পালিয়ে যায়। তবে উদ্ধার হয়েছে 450 বোতল ফেনসিডিল। গতকাল রাত থেকে আজ পর্যন্ত আরও 298 বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে সাতটি গোরু।
বাংলাদেশের ফেনসিডিলের চাহিদা ব্যাপক। যুব সমাজের অনেকেই এই নেশায় আসক্ত। ইন্টেলিজেন্সের দাবি, বাংলাদেশে যেভাবে মায়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার হয়, সেভাবেই ভারত থেকে পাচার হয় ফেনসিডিল। আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হয় জাল নোট। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি ফেনসিডিলের এই চক্র ছড়িয়ে রয়েছে গোটা দেশে । উত্তর ভারত থেকে শুরু করে দক্ষিণ ভারত সর্বত্রই রয়েছে স্মাগলিং চক্রের লোকজন। আসলে বাংলাদেশ এক এক বোতল ফেনসিডিল ভারতীয় দামের থেকে পাঁচ গুণ দামে বিক্রি হয়। সেই কারণেই এই চক্র স্মাগলাররা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই।
পেট্রাপোল বর্ডারে উদ্ধার দু'লাখের নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ - ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার হল 487 বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ
কলকাতা, 18 জুলাই : ভারত-বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য করিডর কলকাতা । শহর কলকাতার সঙ্গে সরাসরি সীমান্তের যোগাযোগ । সেই সূত্রেই পেট্রাপোল সীমান্তকে ধরা হয় অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সাধারণভাবে এই সীমান্ত এলাকায় থাকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। স্মাগলাররা আশেপাশে বর্ডার আউটপোস্ট ব্যবহার করলেও এড়িয়ে চলে পেট্রাপোল সীমান্ত। এবার সেখান থেকেই বড়োসড়ো পরিমাণে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ পাচারের চেষ্টা। যদিও সেই চেষ্টা রুখে দিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সবমিলিয়ে উদ্ধার হয়েছে দু লাখ টাকারও বেশি মূল্যের নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ।
BSF সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট সোর্সের মাধ্যমে 158 নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা জানতে পারে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে হবে চোরাচালান। সেইমতো তৈরি ছিল জাওয়ানেরা। মূল চেকপোস্টের কিছুটা দূরে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দেখতে পায় কয়েকজন মাথায় করে কিছু একটা নিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত সেখানে পৌঁছে যায় BSF। কিন্তু ততক্ষণে মাথার জিনিস নামিয়েই পালিয়েছে চোরাচালানকারীরা। সেখানে উদ্ধার হয়েছে 487 বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ। অন্যদিকে মালদা সেক্টরের মেহেদিপুর বর্ডার আউট পোস্টে কাছে গতরাতে রহস্যজনক গতিবিধি দেখতে পায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। চোরাচালান কারীদের দ্রুত চ্যালেঞ্জ করে জওয়ানেরা। অন্ধকার আর কাদামাটির সুযোগ নিয়ে চোরাচালানকারীরা পালিয়ে যায়। তবে উদ্ধার হয়েছে 450 বোতল ফেনসিডিল। গতকাল রাত থেকে আজ পর্যন্ত আরও 298 বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে সাতটি গোরু।
বাংলাদেশের ফেনসিডিলের চাহিদা ব্যাপক। যুব সমাজের অনেকেই এই নেশায় আসক্ত। ইন্টেলিজেন্সের দাবি, বাংলাদেশে যেভাবে মায়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার হয়, সেভাবেই ভারত থেকে পাচার হয় ফেনসিডিল। আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হয় জাল নোট। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি ফেনসিডিলের এই চক্র ছড়িয়ে রয়েছে গোটা দেশে । উত্তর ভারত থেকে শুরু করে দক্ষিণ ভারত সর্বত্রই রয়েছে স্মাগলিং চক্রের লোকজন। আসলে বাংলাদেশ এক এক বোতল ফেনসিডিল ভারতীয় দামের থেকে পাঁচ গুণ দামে বিক্রি হয়। সেই কারণেই এই চক্র স্মাগলাররা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই।